নেতা-মন্ত্রীদের বারবার ঘোষণা সত্ত্বেও গ্রুপ ডি নিয়োগ হচ্ছে না!!
ট্রফি ট্যুরের সূচনা কলকাতায়
ঢাকে কাঠি পড়ে গেল ডুরান্ড কাপের । আগামী ১৬ আগষ্ট ফুটবলপ্রেমী দিবসের দিন কলকাতা ডার্বি দিয়ে শুরু হতে চলেছে বিশ্বের তৃতীয় ও এশিয়ার প্রাচীনতম ১৩১ তম ডুরান্ড কাপের । এই প্রথমবার কলকাতার সাথে গুয়াহাটি এবং ইম্ফলেও হবে এই ঐতিহ্যবাহী ফুটবল টুর্নামেন্ট । অংশগ্রহণ করেছে মোট ২০ টি দল যা আগে কোনও দিন হয়নি । স্বাভাবিকভাবেই নবকলেবরে ডুরাণ্ড কাপকে সাজাতে বাড়তি উদ্যোগ নিয়েছে সেনাবাহিনী । যার যোগ্য সঙ্গতে আছে বঙ্গ সরকার । আগামী পাঁচ বছর ডুরাণ্ডের আয়োজন কলকাতাতেই হবে ।
অংশগ্রহণকারী ২০ টি দলের মধ্যে থাকছে ৪ টি সেনাবাহিনীর দল , ৫ টি আইলিগের সেরা দল এবং ১১ টি আইএসএলের দল । মঙ্গলবার , ফোর্ট উইলিয়ামের প্যারেড গ্রাউণ্ডের জিওসি ইস্টার্ন কমাণ্ড লেফটন্যান্ট জেনারেল আরপি কলিতা ( ইউওয়াই এসএম , এভিএসএম , এসএম ভিএসএম ) , অন্য সেনা আধিকারিকরা এবং ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের উপস্থিতিতে ট্রফি উন্মোচিত হল । একই সঙ্গে এদিন ফ্ল্যাগ অফ করে ট্রফি টুরর সূচনা করেন ক্রীড়ামন্ত্রী । তিনটি শহরে ঘুরবে ডুরাণ্ডের এই ট্রফি । প্রথমে যাবে গুয়াহাটি , এরপর ইম্ফল এবং শেষেজয়পুর ঘুরে ফের চলতি মাসের ৩০ তারিখ কলকাতায় ফিরবে।
ট্রফি কলকাতায় আসার পর তা সাধারণ দর্শকদের দেখার জন্য একদিন রাখা থাকবে গোষ্ঠ পালের মূর্তির পাদদেশে । এদিন ট্রফি উন্মোচনের পর ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন , ‘ ডুরাণ্ডের মতো ঐতিহ্যশালী টুর্নামেন্টে ইস্টবেঙ্গল- মোহনবাগানের ম্যাচ দিয়ে শুরু করাটা একটা বড় ধামাকা । একই সঙ্গে তিনি জানান , অতীতে ১৬ আগষ্ট কলকাতা ফুটবলের দুঃখজনক ঘটনা ঘটে যাওয়ায় তা ফুটবলপ্রেমীদের মনে দাগ কাটে । তাই এবার ডুরাণ্ড কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ফুটবলপ্রেমীদের সচেতন করার উদ্যোগ নেবেন সংগঠকরা । একই সঙ্গে চেষ্টা করা হবে ১৯৮০ সালে ইডেনে নিহত ফুটবল প্রেমীদের পরিবারের সদস্যদের আমন্ত্রণ জানিয়ে সম্মান জানানো এবং প্রাণ হারানো সমর্থকদের শ্রদ্ধা জানাতে ডার্বির শুরুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা।