ঠোঙার মতো দেখতে ব্যাগ, দাম ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা!

 ঠোঙার মতো দেখতে ব্যাগ, দাম ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-দূর থেকে দেখে মনে হবে যেন বাদামি রঙের মোটা কাগজের তৈরি বড় ঠোঙা। কেউ অবশ্য বটুয়াও বলতে পারেন। আদতে এটি হল চামড়ার একটি ব্যাগ। সাদামাঠা দেখতে এই ব্যাগের ভারতীয় মুদ্রায় দাম ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। মূল দাম ৩০০০ মার্কিন ডলার। এর পোশাকি নাম স্যান্ডউইচ ব্যাগ। স্ট্যান্ডউইচ ব্যাগ বলতে যা এই বোঝায়, তা হল খয়েরি রঙের। তার মোটা কাগজের ঠোঙা। আর ও তার মুখখানি মুড়ে যেন নীল রঙের মোটা সেলোটেপে আটকানো। আসলে এই ব্যাগটি তৈরি করেছে বিশ্বের অন্যতম দামি এবং বিলাসবহুল ফরাসি ফ্যাশন সংস্থা লুই ভিতোঁ। ইংরেজি হরফে ‘এলভি’ লেখা মনোগ্রামটি হল এই ব্র্যান্ডের ফ্যাশন স্টেটেমন্ট। গত ৪ জানুয়ারী লুই ভিতোঁ এই অভিনব ব্যাগ নিজেদের ওয়েবসাইটে বিক্রি করা শুরু করেছে। সেখানেই জানা গেছে ব্যাগটির দাম ৩০০০ ডলার। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। এছাড়া বিশ্বের পঞ্চাশটি দেশে সংস্থার ৪৬০টি স্টোর থেকে অফলাইনে একই দামে এটি বিক্রি হচ্ছে। বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্যান্ডউইচ বা অন্য কোনও মূল্যবান জিনিসগুলি সুরক্ষিত রাখার জন্য এই ব্যাগ আদর্শ। তবে তাদের স্যান্ডউইচ ব্যাগটি সাধারণ কাগজের নয়। হুবহু একইরকম ব্যাগ তারা তৈরি করেছে মহার্ঘ চামড়া দিয়ে। তবে ব্যাগের দাম শুনে কার্যত মাথা ঘুরে গেছে অনেকের। লুই ভিতোঁর ওই ব্যাগটি তৈরি করেছেন সংস্থার পুরুষদের। ফ্যাশন বিভাগের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর ফ্যারেল উইলিয়াম। এই বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ডের হয়ে নিজের প্রথম যে সমস্ত ডিজাইন প্রকাশ করেছিলেন তিনি, তারই একটি এই স্যান্ডউইচ ব্যাগ। ৩০ সেন্টিমিটার দীর্ঘ, উচ্চতায় ২৭ সেন্টিমিটার। প্রস্থে ১৭ সেন্টিমিটার। এক কথায় ব্যাগটির আয়তন ছোটখাটো। ভিতরে দু’টি পকেট রয়েছে। এ ছাড়া চেইন দেওয়া একটি পকেটও আছে ভিতরে। এই স্যান্ডউইচ ব্যাগে আবার লুই ভিতোঁর ঐতিহ্যবাহী প্রতীক ‘মেজন ফন্দে এন ১৮৫৪’ লেখাও রয়েছে বলে সম্ভাব্য ক্রেতাদের লুব্ধ করেছে সংস্থাটি। এই ব্যাগের ছবি-সহ তার দাম লেখা ওয়েবসাইটের পাতাটি ভাইরাল হয়েছে সমাজ মাধ্যমে। সেখানে বহু মানুষ ব্যাগটি প্রসঙ্গে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। একজন ব্যবহারকারী এটিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা উৎপাদিত বলে মন্তব্য করেছেন। আবার একজন হাস্যকরভাবে মন্তব্য করেছেন, ‘এটি দেখে ম্যাক ডোনাল্ডসের পণ্যের প্যাকিং মনে হচ্ছে।’ কেউ কেউ দাম নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে মন্তব্য করেছেন, অতি- ধনীদের বোকা বানানোর এ এক অভিনব কৌশল।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.