ডঙ্কা বাজছে ভোটের!!

 ডঙ্কা বাজছে ভোটের!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-লোকসভার ভোটের ঢাকে কার্যত কাঠি পড়ে গেছে।দেশের নির্বাচন কমিশনের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ রবিবার থেকে রাজে রাজ্যে ভোট প্রস্তুতি দেখতে সফর শুরু করেছেন।বর্তমান সপ্তদ লোকসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৬ জুন।তাই এই তারিখের আগেই অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ,নতুন সরকারে শপথ এবং ১৮তম লোকসভার অধিবেশন শুরু করতে হবে।তাই অনেকে আগে থেকেই দেশের নির্বাচন কমিশনকে এই সম্পর্কিত বেশ কিছু প্রস্তুতি পর্ব শুরু করতে হয়।কারণ নির্ধারিত সময়ে লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন করতে হলে মার্চের মাঝামাঝি নাগাদ নির্বাচনি নির্ঘন্ট প্রকাশ করতেই হবে।সেক্ষেত্রে ১৮তম লোকসভার নির্বাচন ঘোষণার জন্য নির্বাচন কমিশনের হাতে আর মাত্র মাস দুয়েক সময় আছে।তাই রাজ্যে রাজ্যে ভোটের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে ৭ জানুয়ারী থেকে দেশের নির্বাচন কমিশনের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ভোট প্রস্তুতির সফে বেরুচ্ছেন।ইতিমধ্যেই দেশের প্রায় সবগুলো রাজ্য ও কেন্দ্রশাসি অঞ্চলে জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ভোটার তালিব আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়েছে।তাই নির্বাচন কমিশনের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের তরফে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হওয়ায় ভোট প্রস্তুতি সংক্রান্ত যাবতীয় খুঁটিনাটি বিচার বিশ্লেষণ ও অনুধাবন করা সহজ হবে। যদি সব কিছু ঠিকঠাক থাকে এবং শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কোন জটিলতা বা আকস্মিক পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেক্ষেত্রে এপ্রিল মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে লোকসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পর্ব শুরু হে যাবে এবং তা মে মাসের মাঝামাঝি নাগাদ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা নিয়েই দেশের নির্বাচন কমিশন এগোচ্ছেন বলেই মনে হচ্ছে।সেক্ষেত্রে সাত কিংবা বড়জোর আট দফায় নির্বাচন অর্থাৎ ভোটগ্রহণ পর্ব সম্পন্ন হতে পারে এবং ভোট গ্রহণ পর্ব সম্পন্ন হয়ে গেলে মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ ভোটের ফল ঘোষণা করা হতে পারে।তাই লোকসভার ভোট এগিয়ে আনা হতে পারে বলে এতদিন বিস্তর জলঘোলা ও গুঞ্জন সত্ত্বেও এবার দেশের নির্বাচন কমিশনের ভোট প্রস্তুতির লক্ষ্যে রাজ্যে রাজ্যে সফরসূচি ঘোষণার পর মনে করা যেতেই পারে,লোকসভার ভোট যথাসময়েই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।বিশেষ করে দেশজুড়ে ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়ে যাওয়ার পর প্রতিটি রাজ্যে প্রশাসনের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের যোগসূত্র এবং বৈঠকপ নিয়ে আলাপ আলোচনা শুরু হতেই নতুন বছরের শুরুতেই লোকসভার ভোটে ঢাকে যে কাঠি পড়ে গেছে তা স্পষ্ট।আগামী ৭ থেকে ১০ জানুয়ারী দক্ষিণ ভারতের দুই রাজ্য তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশ দিয়েই শুরু হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের ভোট প্রস্তুতি।এই চারদিন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এবং দুই নির্বাচন কমিশনার অনুপচন্দ্র পান্ডে এবং অরুণ গোয়েল দুই রাজ্য ঘুরে ভোটের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন।এই দুই রাজ্যের পর মধ্য ভারতের রাজ্যগুলোর ভোট প্রস্তুতি দেখতে যাবেন নির্বাচন কমিশনের পূর্ণাঙ্গ টিম। ইতিমধ্যে প্রায় প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মুখ্যসচিব এবং মুখ্য নির্বাচন আধিকারিককে লোকসভা ভোটের জন্য প্রস্তুতি নিতে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন।আরক্ষা ও সাধারণ প্রশাসনের ক্ষেত্রে গত চার বছরের মধ্যে কেউ যদি তিন বছর কোন জেলায় নিযুক্ত থাকেন কিংবা জেলা বা হোম টাউনে কর্মরত থাকেন তাদের বদলির নির্দেশের পাশাপাশি, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত যাদের তিন বছর পূর্ণ হবে তাদেরও বদলি করার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।আসলে আদর্শ নির্বাচনি ব্যবস্থার শেষকথাই হচ্ছে নিরপেক্ষ স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচন তথা ভোটাধিকার সুনিশ্চিত করা।ভারতের নির্বাচন ব্যবস্থায় এই উৎকর্ষতা ও শ্রেষ্ঠত্ব সময়ে সময়ে পরীক্ষিত ও স্বীকৃত। তবে এবারের নির্বাচন নিঃসন্দেহে নির্বাচন কমিশনের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।কারণ সর্বশেষ ৫ রাজ্যের নির্বাচনে জিতে ক্ষমতাসীন বিজেপি এ নিয়ে লোকসভা নির্বাচনে হ্যাটট্রিক করার প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত করে নিয়েছে।অন্যদিকে বিজেপির আধিপত্যবাদকে পরাস্ত করে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ২৮ টি দলের জোট নিয়ে বিরোধীরা সংঘবদ্ধভাবে ভোটের ময়দানে নেমেছে।তাই এবারে নির্বাচনে রাজনীতির পারদ যথেষ্ট চড়বে।তাই নিরাপত্তার আটোসাঁটো ব্যবস্থাপনায় অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ ভোটদানই হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের সামনে বড় পরীক্ষা।নির্বাচনে অশান্তির জন্য জেলাশাসক বা রিটার্নিং অফিসারকে যতই দায়বদ্ধ করা হোক না কেন,পুলিশ ও জেলা শাসকদের প্রত্যক্ষ এ পরোক্ষে নিয়ন্ত্রণ পরিচালনা করে থাকেন নির্বাচন কমিশন।তাই তাদের নিরপেক্ষতার বিষয়টার সবটাই নির্ভর করবে কমিশনের ভাবমূর্তি ও কাজকর্মের উপর।ইতিপূর্বে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে দেশের নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট দক্ষ ও নিরপেক্ষতার নজির রেখেছে। তাই সব মিলিয়ে আগামী ৫ মাস ভোট ভোট উৎসবে মাতবে দেশ সেটা বলাই বাহুল্য।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.