ডবল ইঞ্জিন আছে বলেই এতটা সম্ভব হচ্ছেঃ রতন!!

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি:- যেকোনও রাজ্যের উন্নয়নের প্রধান শর্তই হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। যোগাযোগ ব্যবস্থা যত উন্নত এবং আধুনিক হবে, সেই রাজ্যের উন্নয়ন তত বেশি ত্বরান্বিত হবে। তাই ২০১৮ সালে রাজ্যে প্রথমবার বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার গঠিত হওয়ার পর, আধুনিক ও উন্নত-ত্রিপুরা গড়ার ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর। খুব অল্প সময়ের মধ্যে গোটা রাজ্যকে জাতীয় সড়কে ঘিরে ফেলা হচ্ছে। যা এক কথায় অভূতপূর্ব। ২০১৮ থেকে ২০২৪, মাঝে কোভিডের জন্য দুই বছর কোনও কাজই করা যায়নি। ওই দুই বছর বাদ দিলে থাকে চার বছর। এই চার বছরে রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে যে পরিমাণ কাজ হয়েছে, তা এক কথায় অভূতপূর্ব বললেও কম বলা হবে। আর এটা সম্ভব হয়েছে ডবল ইঞ্জিন সরকার থাকার কারণে। প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গড়করি আছেন বলেই সম্ভব হয়েছে এবং হচ্ছে। শুক্রবার মহাকরণে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এই কথাগুলি বলেন, রাজ্য মন্ত্রিসভার বরিষ্ঠ সদস্য রাজ্যের কৃষি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথ। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগে আমবাসা,কুমারঘাট-সাব্রুম গেলে নাইট হল করতে হতো। এখন নাইট হল তো দূরের কথা, প্রয়োজনে দিনে দুই-তিনবার আসা-যাওয়া করা যাবে। তিনি বলেন, শুধু মুখে বললেই হবে না। বাস্তবে কাজ করিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে। আমরা শুধু মুখেই ডবল ইঞ্জিন সরকার বলি না। ডবল ইঞ্জিন সরকার আছে বলেই এতো কাজ করা সম্ভব হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী তথ্য দিয়ে বলেন, ২০১৮ সালের আগে পর্যন্ত রাজ্যে দুই লাইনের জাতীয় সড়ক ছিল মাত্র ৯৯ কিলোমিটার। । এই ৯৯ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক নির্মাণে খরচ হয়েছে ১১২৮ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা। ২০১৮ সালের পর এখন পর্যন্ত রাজ্যে দুই লাইনের জাতীয় সড়ক নির্মাণ হয়েছে ৩৩৪ কিলোমিটার। এর জন্য খরচ হয়েছে ৪৬৭৯ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। এটা সম্ভব হয়েছে ভবল ইঞ্জিন (কেন্দ্র-রাজ্য) সরকার আছে বলেই। শুধু তাই নয়, চার লাইনের সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে ৪৪ কিলোমিটার। দুই লাইনের জাতীয় সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে আরও ৭৪ কিলোমিটার। চার লাইনের সড়ক রাজ্যে এর আগে তৈরি হয়নি। এই দুটি কাজের জন্য খরচ হবে ৩৪৪৩ কোটি টাকা। মন্ত্রী জানান, এছাড়াও ২০৫ কিলোমিটার চার লাইনের সড়ক নির্মাণের ডিপিআর তৈরি হয়ে গেছে। এই ২০৫ কিলোমিটার চার লাইনের সড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে ১৬,২৩৫ কোটি টাকা। এছাড়াও ডিপিআর তৈরি হচ্ছে চার লাইনের ইস্টার্ন বাইপাস লেম্বুছড়া থেকে খয়েরপুর দশ কিলোমিটার। চার লাইনের ১৪০ কিলোমিটার চম্পকনগর থেকে আমবাসা-কুমারঘাট-চুড়াইবাড়ি। চার লাইনের আমতলি-উদয়পুর মাতাবাড়ি ৫৫ কিলোমিটার। সব ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরেই এই সড়কগুলির নির্মাণ কাজ শুরু হবে। মন্ত্রী বলেন, আমার পঞ্চাশ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এত কম সময়ের মধ্যে এত পরিমাণ উন্নয়ন কাজ ত্রিপুরায় আসতে দেখিনি। এককথায় অভূতপূর্ব। কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাজ্যেও বিজেপি সরকার আছে বলে এটা সম্ভব হয়েছে। নতুবা কল্পনাও করা যেতো না। এমনটাই দাবি করেন মন্ত্রী শ্রীনাথ।

Dainik Digital

Recent Posts

নি:শব্দে এগোচ্ছে চিন!!

প্রতিবেশী বাংলাদেশে গত ছয়মাস ধরে চলতে থাকা অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে একেবারে নিঃশব্দে এগিয়ে…

13 hours ago

নেতা-মন্ত্রীদের বারবার ঘোষণা সত্ত্বেও গ্রুপ ডি নিয়োগ হচ্ছে না!!

অনলাইন প্রতিনিধি:-প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা করছে না সরকার। জেআরবিটির মাধ্যমে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা…

14 hours ago

স্মার্টসিটি প্রকল্পের কাজে বন্ধ উড়াল সেতু!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যেররাজধানী শহর আগরতলার যোগাযোগ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে উড়াল সেতু। শহরের পশ্চিম…

14 hours ago

বার্ষিক পরীক্ষার সূচি নিয়ে শিক্ষা দপ্তরের রসিকতায় চরম ক্ষোভ!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যেরসরকারী স্কুলে পরীক্ষার সূচি প্রকাশ হতেই রাজ্যের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের উপর জুলুমের অভিযোগ উঠেছে…

14 hours ago

রাজ্যের প্রতীকে স্বীকৃতি কেন্দ্রের!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট একটি প্রতীককে ত্রিপুরা সরকারের রাজ্য প্রতীক/লোগো হিসেবে ব্যবহারের…

14 hours ago

চূড়ান্ত সীলমোহর পড়বে ১০টি সাংগঠনিক জেলা সভাপতির নামে!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকালই বিজেপির দশটি সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের নামে চূড়ান্ত সীলমোহর পড়বে।…

14 hours ago