ডাক শুনে মুরগির ‘কথা’ বুঝে নেবে এআই, দাবি গবেষণায়।
জাপানের একদল গবেষক দাবি করছেন, তারা এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রযুক্তিতে এমন একটি মডেল তৈরি করেছেন, যা মুরগির ডাক শুনে মানসিক স্থিতি বুঝতে পারে। গবেষকরা বলেছেন, মুরগির ডাক আদতে তাদের মুখের ‘ভাষা’। এআই মডেলটি সেই ভাষা শুনে বলে দিতে পারে, মুরগির খিদের কারণে ডাকছে, নাকি সে উত্তেজিত, নাকি সে কাউকে বা কোনও কিছুকে ভয় পেয়েছে।মুরগিদের উপর ইতিপূর্বে এমন গবেষণা হয়নি বলে দাবি করেছেন জাপানি গবেষকরা।টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যাড্রিয়ান ডেভিড চেওকের নেতৃত্বে করা এই গবেষণাটি যদিও এখনও ‘পিয়ার-রিভিউ’ করা হয়নি,অর্থাৎ এখনও স্বীকৃত কোনও বিজ্ঞান জার্নালে প্রকাশিত হয়নি।ডক্টর অ্যাড্রিয়ান চেওক জানিয়েছেন,এআই সিস্টেমটি
গবেষকদের ‘ডিপ ইমোশনাল
অ্যানালাইসিস লার্নিং’ নামক একটি কৌশলের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে,যা পরিবর্তনশীল কণ্ঠস্বরের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এআই মডেলটি ক্ষুধা, ভয়, রাগ, তৃপ্তি, উত্তেজনা এবং কষ্টসহ মুরগির বিভিন্ন মানসিক অবস্থা বোঝাতে সক্ষম।গবেষণায় বলা হয়েছে,এটি একটি অত্যন্ত গাণিতিক এবং উদ্ভাবনী পদ্ধতি যা শ্রবণযোগ্য ডেটার ভিত্তিতে মুরগির আবেগের অবস্থা ব্যাখ্যা করতে পারে।অধ্যাপক অ্যাড্রিয়ান নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেন, ‘প্রাণীরা কী অনুভব করছে তা যদি আমরা জানি, তাহলে তাদের জন্য আরও ভাল ব্যবস্থা আমরা নিশ্চিত করতে পারব।’ গবেষকরা ৮০টি মুরগির উপর এআই সিস্টেমটি নিয়ে গবেষণা করেছেন।প্রাণী মনোবিজ্ঞানী ও পশুচিকিৎসকদের একটি দলও তাদের সঙ্গে কাজ করেছেন।ডক্টর চেওক বলেন, “গবেষণালব্ধ ফলাফলে দেখা গেছে, উচ্চ মাত্রার নির্ভুলতায় সিস্টেমটি মুরগিগুলির মানসিক অবস্থা শনাক্ত করছে।’ অধ্যাপক অ্যাড্রিয়ান বলেন, “বিষয়টি প্রমাণ করে যে, আমাদের এআই মডেল মুরগির শব্দ থেকে অর্থপূর্ণ নির্দেশনা উদ্ধারে সক্ষম।’
গবেষকরা অবশ্য সংশ্লিষ্ট এআই মডেলের সম্ভাব্য সীমাবদ্ধতাও স্বীকার করেছেন।যেমন শরীরী ভাষার মতো যোগাযোগের ক্ষেত্রে ও প্রজাতির ভিন্নতার কারণে অর্থ উদ্ধারে জটিলতার কথা বলেছেন তারা।