ডার্ক ওয়েব থেকে একে-৪৭ বাড়িতে আনল নেদারল্যান্ডসের বালক।

 ডার্ক ওয়েব থেকে একে-৪৭ বাড়িতে আনল নেদারল্যান্ডসের বালক।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

বিজ্ঞানীদের একাংশ দাবি করেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে মানবজাতির স্বার্থে বিজ্ঞান কোনও আবিষ্কার করেনি। তারা যুক্তি দেন, গত সাত দশকে বিজ্ঞানের তথাকথিত যে কোনও অগ্রগতি আদতে বৃহত্তর সমাজের সামনে অভিশাপ। এই নিয়ে বিজ্ঞানীমহলে বিতর্কও কম নেই। গত শতকের আটের দশকের শেষ দিকে বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার ছিল সম্ভবত ইন্টারনেট। সেই প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষের হাতের মুঠোয় এখন বন্দি গোটা জগৎসংসার। কিন্তু আমেরিকার এই বালকের ঘটনা ইন্টারনেটের ব্যবহার সম্পর্কে নতুন ভাবনা ভাবার সম্ভাবনা উস্কে দিয়েছে। নেদারল্যান্ডসের বাসিন্দা আট বছরের ওই ছেলেটির মা বারবারা জেমেন(ছবি) সম্প্রতি গোটা কাহিনি অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেছেন।মায়ের আশঙ্কা, ছেলে সাইবার অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বের প্রত্যেক মাকে তিনি নিজের সন্তানের মর্মান্তিক কাহিনী বলে সতর্ক করতে চেয়েছেন। বারবারা জেমেন জানিয়েছেন, অজান্তেই তার ছেলে হ্যাকিং করতে শিখে যায় এবং লুকিয়ে ডার্ক ওয়েব থেকে অর্ডার করে ফেলে একটি একে-৪৭ রাইফেল!
ইউরোনিউজ নামে একটি সংবাদমাধ্যম জেমেনের একটি সাক্ষাৎকার সম্প্রতি প্রকাশ করেছে। সেখানে মা বলেন, তার ছেলে খুব ছোট থেকেই কম্পিউটারের পোকা ছিল। দিনের অনেকটা সময় সে কম্পিউটার ঘেঁটেই কাটাত। ইন্টারনেট জগতে তার ছিল অবাধ আনাগোনা। প্রথম দিকে বারবার ‘চাইল্ড লক’ জাতীয় নানা প্রযুক্তির সাহায্য নিলেও, তার ছেলে সে-সব অনায়াসে ভেঙে ফেলত এবং খুব অল্প বয়সে হ্যাকিং করতেও শুরু করেছিল।এই সূত্রে শুরু হয় একরত্তি বালকের অসৎ পথে অনলাইনে জিনিস অর্ডার করা। ডার্ক ওয়েব থেকে অর্ডার করতে পয়সা লাগে না। প্রথমদিকে, বার্গার-পিৎজার মতো
ছোটখাটো জিনিস সে অর্ডার করত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। ধীরে ধীরে মায়ের সন্দেহ দানা বাঁধতে থাকে। হঠাৎ কখনও তিনি ছেলের ঘরে ঢুকে পড়লেই অনলাইন গেমে ছেলে বলে উঠত, ‘পিট আসছে, সাবধান!”যেন মায়ের এসে যাওয়া নিয়ে কাউকে সাবধান করার চেষ্টা করত কোড ল্যাঙ্গুয়েজে। এর মধ্যেই একদিন বাড়িতে ডেলিভারি বয় এসে দিয়ে যায় আস্ত একটি একে-৪৭ রাইফেল! আঁৎকে উঠেন জেমেন।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.