ডিএপি সারে ভর্তুকি অব্যাহত চিন্তামুক্ত চাষিরা : কৃষিমন্ত্রী!!

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-কৃষিকাজে বহুল ব্যবহৃত ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সারে স্পেশাল ভর্তুকি রবি ও বোরো মরশুম পর্যন্ত দিয়ে যাবে কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে ডিএপি সারের দাম বাড়ছে না।ডিসেম্বরের শেষের দিকে বিভিন্ন সার প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলির তরফে প্রচার করা হচ্ছিল ডিএপি সহ ফসফেটিক সারের দাম জানুয়ারী থেকে বৃদ্ধি পাবে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দেখা দেয় কৃষক মহলে।
এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট পয়লা জানুয়ারী বসে সিদ্ধান্ত নেয় ডিএপি সারে প্রদত্ত স্পেশাল ভর্তুকি প্যাকেজ ডিসেম্বরের পরও অব্যাহত থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই কৃষক দরদি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কৃষকদের মধ্যে অস্থিরতা দেখতে পেয়েছি। অনেকে এসে সারের দাম বাড়াতে অনুরোধ করেন। ডিএপি সারের মূল্য অপরিবর্তিত থাকছে খবর পেয়ে চাষিদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। তারা এবার চিন্তামুক্ত হয়ে চাষাবাদে মন দিতে পারবেন বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
রাজ্যেও কৃষিকাজে ইউরিয়ার পর দ্বিতীয় সর্বাধিক ব্যবহৃত সার ডিএপি। এই সার দেশের প্রয়োজনীয়তার অর্ধেক বিদেশ থেকে আমদানি হয়। অবশিষ্ট অর্ধেক তৈরি হয় এই দেশে। আবার দেশে তৈরি ডিএপি সারের কাঁচামালের একশ শতাংশ আমদানি করতে হয় বিদেশ থেকে।রাশিয়া, মরক্কো, সৌদি, আরব, জর্ডন মিশর ও চিন থেকে আসে ডিএপি এবং এর কাঁচামাল। যুদ্ধ ও সমুদ্রপথ ঘুরে আসার কারণে ডিএপির মূল্যবৃদ্ধি ও পরিবহণ খরচ দুটোই বৃদ্ধি পায়।
মূল্য অপরিবর্তিত রাখতে গত বছরের জানুয়ারী মাসে ডিএপির উপর প্রতি টনে ৩৫০০ টাকা (প্রতি ব্যাগে ১৭৫ টাকা) স্পেশাল ভর্তুকির প্যাকেজ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার, যার মেয়াদ শেষ হয় ৩১ ডিসেম্বর।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তুকির এককালীন স্পেশাল প্যাকেজে ব্যয় বরাদ্দ ছিল ২৬২৫ কোটি টাকা। এই প্যাকেজটি ডিসেম্বরের পরেও অব্যাহত রাখতে বরাদ্দ বেড়ে হচ্ছে ৩৮৫০ কোটি টাকা। যার প্রেক্ষিতে প্রতি ব্যাগ ডিএপিতে দুশো থেকে আড়াইশ টাকা বৃদ্ধির দাবি থেকে সরে এলো সার উৎপাদকরা।
মন্ত্রী শ্রীনাথ বলেন, প্রতিটি ডিএপি ব্যাগের (৫০ কেজি) প্রকৃত মূল্য ২৪৪৫.৫০ টাকা। এর মধ্যে সরকার ভর্তুকি দেয় ১০৯৫.৫৫ টাকা। অবশিষ্ট ১৩৫০ টাক হলো বিক্রয়মূল্য। তিনি জানান, বিজেপি সরকার বরাবরই কৃষক দরদি। তা শুধু মুখের কথা নয়। এর প্রমাণ ভর্তুকি বৃদ্ধি। যেখানে ২০০৪-১৪ অর্থবছরে ৫.৫০ লক্ষ কোটি সারে ভর্তুকি দেয় কেন্দ্রীয় সরকার, যেখানে ২০১৪-২৪ অর্থবছরে বিজেপি সরকার ভর্তুকি দেয় ১১.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। দ্বিগুণের বেশি।
রাজ্যে সারের সংকট মোকাবিলায় কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। বর্তমানে আলুচাষিরা প্রয়োজনীয় ইউরিয়া সার পাচ্ছেন না। ইউরিয়া আনাতে দিল্লীর সাথে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

Dainik Digital

Recent Posts

হোলিতে বিস্ফোরণ অমৃতসরের মন্দিরে !!

শুক্রবার গভীর রাতে অমৃতসরের খান্ডওয়ালার ঠাকুরদ্বারা মন্দিরের বাইরে বিস্ফোরণ ঘটে। জানা যায়, দু'জন বাইক আরোহী…

24 mins ago

বাংলাদেশের সংস্কৃতি!!

ধর্ষণ নারী নির্যাতন লইয়া এই উপমহাদেশে অধিকাংশ দেশে একই অবস্থানে চলিয়া যায় দেশের শাসক। একই…

29 mins ago

সংবাদপত্রে টেণ্ডারের বিজ্ঞাপন, সংক্রান্ত অর্থ দপ্তরের বিতর্কিত সার্কুলার ঘিরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া!!

অনলাইন প্রতিনিধি ;-রাজ্যের বর্তমানবিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিক বান্ধব বলে মুখে মুখে প্রচার…

2 days ago

বাংলাদেশের নির্বাচন!!

বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসন চলিতেছে। একটি গণ অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সেই দেশে…

2 days ago

স্মার্ট সিটি প্রকল্পের কাজে ফের বিপর্যয়, দুর্ভোগে মানুষ!

অনলাইন প্রতিনিধি :-আবারও ক্ষতি হলো পাইপলাইন গ্যাসের পরিবহণ ও সরবরাহ ব্যবস্থার।আবারও বিপর্যয় ঘটলো আগরতলায়।বিপাকে পড়লো…

2 days ago

৪ কোটি টাকা দিলেই মন্ত্রিপদ, অমিত শাহের ছেলে সেজে বিধায়কদের ফোন!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-মণিপুরে বিরাট প্রতারণা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে সেজে বিধায়কদের সাথে প্রতারণার ফাঁদ।…

3 days ago