ডিএ, চাকরি নিয়ে সরব সুদীপ বর্মণ
সাড়া দেশ জুড়ে অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে । দেশে চলছে লুটপাটের সরকার । আক্রান্ত সংবাদ মাধ্যম। সংবিধানের উপর আঘাত । দেশে দ্রব্যমূল্যের চরম রাজ্য ঊর্ধ্বগতি । সরকারের এই সমস্ত ব্যর্থতা ঢাকতে নয়া কৌশল নিয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার ।
মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে নিয়েছে অপপ্রয়াস । ধর্মের জিগির দিয়ে মানুষের প্রতিবাদের ভাষা কেড়ে নিতে উদ্যোগ নিয়েছে বিজেপি সরকার । এই সমস্ত কিছু গটআপ । বিজেপি দেশ শাসন করতে জানে না । কংগ্রেসকে দুর্বল করে দিতেই নানা কৌশল নিয়েছে বিজেপি । সোমবার সন্ধ্যায় ৩০ বাগমা কংগ্রেস কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত বাগমা বাজারে এক সভায় এই কথাগুলি বলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মণ । ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির যোগদান সভায় বিকাশ দে মঞ্চে এই আলোচনা সভায় কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মণ আরও বলেন , দেশবাসী এখন বুঝতে পারছে মোদি সরকারের ৮ বছরে দেশের কোনও কল্যানমুলক প্রকল্প গ্রহণ করেনি দেশের মোদি সরকার । ২০১৪ সালের তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের দেওয়া প্রকল্পের শুধু নাম পরিবর্তন করে দিয়েছে বিজেপি সরকার।
সুদীপবাবু দেশের গদি মিডিয়ার সমালোচনা করেন । তিনি বলেন , সংবিধানের উপর আঘাত | প্রতিবাদ করলে রাজ্যের জেলে পাঠিয়ে দিয়েছে । রাজ্যের বিজেপি সরকারের সমালোচনা করে সুদীপবাবু বলেন , রোজভ্যালির টাকার কেন তদন্ত হলো না । ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে বিজেপি দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে , রাজ্যে একটি দুর্নীতি মুক্ত সরকার দেবে । কোথায় দুর্নীতি মুক্ত সরকার । সবক্ষেত্রেই দুর্নীতি চলছে । সপ্তম পে কমিশন কোথায় । ৩১ শতাংশ ডি এ বকেয়া । ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর চাকরির তথ্যে ব্যাপক ফারাক । রাজ্যের শিক্ষিত বেকারদের কি কোনও সরকারী চাকরি হয়েছে । রাজ্যের বিজেপি জোট সরকারের এই সময়ে রাজ্যে কয়টা শিল্প হয়েছে । প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নেশা মুক্ত ত্রিপুরার করুণ দশা । পুলিশ যে নেশা সামগ্রী উদ্ধার করেছে সেগুলি কোথায় যাচ্ছে ? প্রশ্ন তোলেন সুদীপবাবু । এতো গাঁজা কোথায় নষ্ট হচ্ছে । কোথায় যাচ্ছে । সুদীপবাবুর দাবি রাজ্যের যুবকদের ভুল পথে পরিচালিত করছে বিজেপি সরকার । রাজ্যের বিদ্যুৎ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সুদীপবাবু । তিনি অভিযোগ করেন , রাজ্যের গ্রাম পাহাড়ে খাদ্যের অভাব । রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় চিকিৎসার বেহাল অবস্থা । শিক্ষা , যোগাযোগ সব ক্ষেত্রেই চলছে এক অরাজকতা । তিনি অভিযোগ করেন , রাজ্যে তুঘলকি রাজত্ব চলছে । সমাজের কোনও অংশের মানুষ খুশি নয় । এখন ভাবনার সময় এসেছে । একবার কংগ্রেসকে সুযোগ করে দিন । একমাত্র কংগ্রেস সকলের জন্য ভাবে ।
কংগ্রেস সকলকে বুকে আগলে ধরে । কংগ্রেসকে শক্তিশালী করা মানে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা । তিনি বলেন , আমরা মুখ্যমন্ত্রী বা উপ মুখ্যমন্ত্রীর জন্য রাজনীতি করি না। প্রধান বক্তার ভাষণে প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ কুমার সাহা বলেন , প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিষয়ে কেন এতো বড় সুশাসককে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত হয়েছে । উন্নয়নের নামে রাজ্যের সর্বনাশ করে দিয়েছে সরকার । সেই মুখ্যমন্ত্রীকে আজ রাজ্যে পাওয়া যাচ্ছে না । তিনি বলেন , বিজেপি সরকারের রাজ্যে ধস নামছে । এখনো সময় আছে । বিপ্লব বাবুর নামে কি প্রকাশ হচ্ছে রাজ্যের সংবাদ মাধ্যমে । প্রত্যাশার অপমৃত্যু হয়েছে । মিথ্যা মামলা দিয়ে সেই পথ তৈরি হয়েছে । প্রস্তুত থাকতে হবে । রাজ্যের রেগার অর্থ গায়েব । উন্নয়নের নামে নিম্ন মানের কাজ । রাজ্যের মানুষ এই জনবিরোধী সরকারের পরিত্রাণের উপায় চাইছে । উপ নির্বাচনেই এই ফল হবে । যদি সাহস থাকে এবার উপ নির্বাচনে মানুষের গণতন্ত্রের অধিকার চুরির চেষ্টা করলে প্রতিরোধ করা হবে।আশীষবাবুর দাবি , যেই রাজনৈতিক দলের কোনও দিশা নেই – আদর্শ নেই । সেই দলের উপর মানুষের কোনও আস্থা নেই । এই সরকার থেকে মানুষ মুক্তি চায় । এই কংগ্রেস দলই মুক্তির কান্ডারী । এই সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রদেশ কংগ্রেস ইন চার্জ – সযারিতা লাইতফিয়াং , নেতা টিটন পাল , অভিজিত সরকার প্রমূখ । এই সভায় টিটন পালের নেতৃত্বে ১৬৭ জন বিজেপি দল ছেড়ে জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে । তাদের বরণ করে নেন কংগ্রেস দলের নেতৃবৃন্দ।