ডিজিটাল দুনিয়ায় ঢাকের শব্দে ছন্দপতন!

 ডিজিটাল দুনিয়ায় ঢাকের শব্দে ছন্দপতন!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-এসেছে শরত হিমের পরশ লেগেছে হাওয়ার পরে সকাল বেলা ঘাসের আগায় শিশির রেখা ঝরে! সকালের সবুজ ঘাসের শিক্ত শিশির আর কাশফুলের দোলা জানান দেয় মায়ের আগমনী বার্তা। হাতে গোনা আর মাত্র বাকি কয়েকটা দিন। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে উদ্যোক্তাদের মধ্যে এখন চরম ব্যস্ততা। দিকে দিকে মন্ডপ তৈরিতে নাওয়া খাওয়া ভুলে চুড়ান্ত ব্যাস্ততার ছাপ কুমোড়টুলি থেকে মূর্তিপাড়ার শিল্পীদের মধ্যে।তবে পূজার আয়োজনে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে ঢাকের শব্দে তাল কাটছে। দিকে দিকে যুগের পর যুগ ধরে যারা পারিবারিকভাবে ঢাককে পুঁজি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন, তারা আজ অনিশ্চয়তার মধ্যে। একটা সময় ছিল যখন তেলিয়ামুড়া সহ প্বার্শবর্তী এলাকার শিববাড়ি, সুকান্ত পল্লী, শান্তিনগর এলাকায় বসবাসকারী ঢাকিদের যথেষ্ট কদর ছিল, গ্রাম বাংলার পূজা থেকে শুরু করে শহরের পূজো সবকিছুতেই তেলিয়ামুড়া এলাকার ঢাকিদের ডাকাসাই ছিল।কিন্তু কালের বিবর্তনে ঢাক ও বাদক দুয়েই তার কদর হারিয়েছে। তেলিয়ামুড়া এলাকার জনৈক ঢাক বাদক বলরাম ঋষি দাসের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, বর্তমান যুগে ঢাকের কদর নেই, আধুনিক যুগে বিভিন্ন ধরনের অত্যাধুনিক ক্ষমতা সম্পন্ন শব্দ যন্ত্র বাজার দখল নিয়েছে, যার ফলে মানুষের কাছে ঢাক তার কদর হারিয়েছে। আর চাহিদা থাকলেও বর্তমানে এই পেশাকে আঁকড়ে ধরে অর্থ উপার্জন করা অনেকটাই কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বলরাম বাবু আরো বললেন, বর্তমানে এখোনো যারা এই পেশায় যুক্ত রয়েছেন তাঁরা এই পেশাকে আঁকড়ে ধরে জীবিকা নির্বাহ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। তাই ঢাক বাদক থেকে একাংশ সচেতন মহলের মধ্যে দাবি উঠতে শুরু করেছে আগামী দিনে ঢাক শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার যদি একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়, তাহলে আধুনিকতার যুগেও টিকে থাকবে ঢাক ও ঢাকিরা। আধুনিক সাউন্ডের কাছে হেরে যাবেনা যুগ যুগ ধরে পারিবারিক ব্যবসার সাথে যুক্ত ঢাকবাদকরা। জীবনযুদ্ধে ঘুরে দাড়িয়ে আবারো পারিবারিক পেশাকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে পারে। হ্যাঁ অবশ্যই যদি সরকার তাদের দিকে একবার চোখ তুলে তাঁকায়।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.