ডিম-মুরগি রসিকতার সমাধান করলেন বিজ্ঞানীরা।
ডিম আগে না মুরগি? কবে থেকে এই বিতর্ক শুরু হয়েছিল জানা নেই, তবে তর্কটি সুপ্রাচীন। এতদিন বিষয়টি ছিল বিতর্কিত। তর্কের নিরসন করার চেষ্টা যে বিভিন্ন সময়ে হয়নি তা নয়, তবে শেষ পর্যন্ত সমাধা হয়নি।এবার সেই সাবেকি তর্কের নিরসন করে ফেলেছেন বিজ্ঞানীরা।অনেক দিন ধরেই এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছিলেন শেফিল্ড এবং ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপক।অবশেষে এই গবেষণার একটা সঠিক উত্তর খুঁজে পেয়েছেন তারা। বিজ্ঞানীরা বলেছেন,ওসব বিতর্ক করে লাভ নেই।উত্তরটি হল, ডিমের আগে মুরগি এসেছে পৃথিবীতে।নিজেদের বক্তব্যের নেপথ্যে যুক্তিও তারা দিয়েছেন। ওই গবেষকদের মতে,প্রাণীর উদ্ভব ছাড়া কোনও সন্তান বা ডিম আসতে পারে না (সঙ্গের গ্রাফিক্স)। গবেষণায় তারা দেখেছেন, ডিমের খোসায় থাকে ওভোক্লিডিন।এটি একটি প্রোটিন। এই প্রোটিন ডিমের খোসা তৈরি করে। এই প্রোটিন থাকে শুধুমাত্র মুরগির জরায়ুতে। তাই মুরগির জরায়ু থেকে এই প্রোটিন না বেরনো পর্যন্ত ডিম কখনওই তৈরি হবে না। কাজেই সোজা কথায়,আগে মুরগি এসেছে, তারপরে ডিম এসেছে। প্রযুক্তিগতভাবে বলতে হলে, একটি ডিম হল ঝিল্লি-আবদ্ধ পাত্র যার ভিতরে একটি ভ্রূণ বাড়তে পারে এবং বিকাশ করতে পারে যতক্ষণ না এটি নিজে থেকে বেঁচে থাকে।এই পদ্ধতিকে ওই গবেষকরা ব্যাখ্যাও করেছেন। তারা জানিয়েছেন,প্রথমে মুরগি আসে। তারপর তার জরায়ুতে ওভোক্লিডিন প্রোটিন তৈরি হয়। তারপর সেই প্রোটিন থেকে ডিমের খোসা তৈরি হয়। অবশেষে আসে ডিম। তবে ডিম আগে না মুরগি আগে, সেই নিয়ে নানা মুনির নানা মত রয়েছে। আমেরিকার এক গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, বহু বছর তাও কম করে কয়েকশো বছর আগে এই পৃথিবীতেই মুরগির মতো দেখতে একটা পাখি ছিল। ওই পাখির সঙ্গে মুরগির জিনগত মিল ছিল। এই ধরনের মুরগিকে বিজ্ঞানীরা প্রোটো চিকেন নাম দিয়েছিলেন। সেই প্রোটো চিকেন ডিম পাড়ে। তারপর ঘটে যায় বিবর্তন।সেখান থেকে এই ডিম এসেছে।আর সেই ডিম থেকেই বিবর্তন ঘটে মুরগির জন্ম হয়েছে। প্রায় ৩৪ কোটি বছর বা তারও আগে অ্যামনিওটিক ডিম দেখানো হয়েছিল এবং প্রথম মুরগিগুলি প্রায় ৫৮ হাজার বছর আগে বিবর্তিত হয়েছিল।ফলে এ নিয়ে আজ সংশয় নেই যে মুরগি আগে, ডিম পরে।এই গবেষণা ‘সায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।গবেষণাপত্রের চিফ অথর এমা বাৰ্থহোল্ড