ডরান্ডের ফাইনালে মাঠে থাকতে পারেন রাষ্ট্রপতি
এশিয়ার প্রাচীনতম এবং বিশ্বের তৃতীয় প্রাচীনতম টুর্নামেন্ট ডুরাণ্ড কাপের এবার ১৩১ তম সংস্করণ । আগামী ১৬ আগষ্ট থেকে শুরু হতে চলেছে ডুরাণ্ড কাপ । চলবে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত । স্বাধীনতার ৭৫ বছর পালিত হচ্ছে সারা দেশজুড়ে । স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবকে মাথায় রেখে এবারের ডুরাও কাপ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দেশের তিন প্রান্তে । এবারের ডুরাণ্ডের ম্যাচ হবে তিনটি ভেন্যুতে । সব থেকে বেশি ম্যাচ অর্থাৎ ৪৭ টি ম্যাচের মধ্যে কোয়ার্টার ফাইনাল , সেমিফাইনাল ফাইনাল সহ ২৭ টি ম্যাচ হবে যুবভারতীতে । বাকি ২০ টি ম্যাচ হবে গুয়াহাটির ইন্দিরা গান্ধী অ্যাথলেটিক স্টেডিয়াম এবং ইম্ফলে কুমান লাম্পাক মেন স্টেডিয়ামে । গত বারের মতো এবারেও ডুরাণ্ডের কাপের উদ্বোধন করবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তবে সমাপ্তিতে থাকছে চমক । আয়োজকদের তরফে দেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে । এবারের টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৬০ লাখ টাকা , রানার্স দল পাবে ৪০ লাখ টাকা । স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে জাতীয় সঙ্গীত দিয়ে প্রতিটি ম্যাচ শুরু করার ভাবনায় রয়েছে ডুরাণ্ড কমিটির । এছাড়াও কলকাতার তিন প্রধান আর যুবভারতীর কাউন্টার থেকে মিলবে অফলাইন টিকিট । ম্যাচের আগের দিন পাওয়া যাবে সেই টিকিট । তবে বড় ম্যাচের টিকিট পাওয়া যাবে ২২ তারিখ থেকে । অর্থাৎ ইস্টবেঙ্গল- মোহনবাগান হাইভোল্টেজ ডার্বি দেখার জন্য যে সমর্থকরা অনলাইনে টিকিট কাটতে পারেননি , তাদের কাছে আরও একটা সুযোগ রয়েছে ডার্বির টিকিট কাটার । পুলিশের অনুমতি মিললে হাউসফুল যুবভারতীতেই হবে বড় ম্যাচ । শুক্রবার ডুরাণ্ড কাপের সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ রায় বলেন , অনেকদিন পর মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে । ২০২০ সালেও কলকাতায় ডুরাণ্ড কাপ করেছিলাম । সেবারও সফল হয়েছিল । এবারও হবে । রাজ্য সরকার প্রস্তুত আছে এই টুর্নামেন্ট সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার ব্যাপারে । কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে ।