ঢোল পিটিয়ে মিটার অটোয় মুখ পুড়ল, নীরব দপ্তর

 ঢোল পিটিয়ে মিটার অটোয় মুখ পুড়ল, নীরব দপ্তর
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

ঢাক – ঢোল পিটিয়ে শহরে মিটার অটো চালু করার নামে কার্যত ল্যাজে গোবরে পরিবহণ দপ্তর । প্রচলিত প্রবাদ আছে , ‘ নেই কাজ তো খই ভাজ ‘ । পরিবহণ দপ্তরের অবস্থাটা অনেকটা ওই খই ভাজার মতোই । শহরে মিটার অটো চালুর নামে দপ্তরের মুখ যেমন পুড়েছে , তেমনি গরিব অটো চালকদের মাথায় বাড়ি দিয়ে দুই হাজার টাকার মিটার চার হাজার টাকায় ক্রয় করতে বাধ্য করা হয়েছে । একদিকে অটো চালকদের পকেট ফাঁকা হয়েছে , অন্যদিকে পরিবহণ দপ্তরের কিছু অসাধু আধিকারিকের পকেট ভারী হয়েছে । এছাড়া কাজের কাজ কিছুই হয়নি । অটোতে মিটার লাগিয়ে প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে । ফলে মুখ থুবড়ে পড়েছে মিটার অটো বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত । শুধু তাই নয় , এই সিদ্ধান্ত রূপায়ণে বড় ধরনের দুর্নীতি সংগঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে । খবর নিয়ে জানা গেছে , এখন পর্যন্ত ৪৪৭৬ টি অটোতে মিটার লাগানো হয়েছে । কিন্তু আজ পর্যন্ত একটি মিটারও ইনস্টল করা হয়নি । এগুলি শুধু লোক দেখানো শোভা বর্ধন করছে । এখন পর্যন্ত যে মিটারগুলি লাগানো হয়েছে , সেগুলি মূলত দুটি সংস্থা সরবরাহ করেছে । এর মধ্যে একটি সংস্থার মালিক আবার রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের একজন মোটর ভ্যাহিকেল ইনস্পেক্টরের আপন ভাই । জানা গেছে , প্রথমে দপ্তর থেকে যে টেন্ডার দেওয়া হয়েছিল তার মধ্যেই ছিলো । প্রথমে তিনটি সংস্থাকে মিটার বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু একটি সংস্থা সরে যায় বলে খবর । পরবর্তীকালে অবশ্য আরও চারটি সংস্থাকে মিটার বিক্রি করার অনুমোদন দেওয়া হয় । প্রথমে মিটার অটোর যে চার্জ ( ভাড়া ) নির্ধারিত করা হয়েছিল মন্ত্রিসভার বৈঠকে , তা ভারতবর্ষের কোথাও প্রযোজ্য নয় বলে জানা গেছে । কেননা তিন ধাপে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছিল । এই তিন ধাপে ভাড়া কোথাও প্রযোজ্য নয় । এরপর বিষয়টি প্রায় এক বছর পড়ে থাকে । এরপর আবার নতুন করে ভাড়া নির্ধারণ করা হয় । কিন্তু সব থেকে বড় প্রশ্ন হচ্ছে , মিটারে ভাড়া নির্ধারণ করে রিডিং সেট করার জন্য যে পালস জেনেরেটার মেশিন প্রয়োজন সেটাই তো সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ( মেট্রোলজি ) কাছে নেই । এখানেই শেষ নয় , যে মিটারগুলি অটোতে লাগানো হয়েছে , সে মিটারগুলি অটোর জন্য সঠিক কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য যে ধরনের মেশিন পরিবহণ দপ্তরের কাছে থাকা প্রয়োজন , তাও নেই । এককথায় পরিকাঠামোহীন । এখানেই শেষ নয় , আগরতলা পুর নিগমের বাইরে যে অটোগুলি চলে সেই অটোগুলিকে মোটা অর্থের বিনিময়ে মিটার অটোর নামে নিগম এলাকায় পারমিট দেওয়া হচ্ছে । পরিবহণ দপ্তর সূত্রেই এই সংবাদ জানা গেছে । সব মিলিয়ে মিটার অটো পরিষেবার নামে মুখ পুড়েছে দপ্তর ও সরকারের । পরিষেবা চালু হওয়াতো দূরের কথা উল্টো পকেট ভারী হয়েছে এবং হচ্ছে কয়েকজনের ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.