অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে তপশিলি
জাতির উন্নয়নে রাজ্য সরকারের প্রয়াস জারি রয়েছে, সব মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, বিভাজনের রাজনীতি এই সরকার করে না, এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত গড়ে তোলাই লক্ষ্য, সকলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারলেই এই লক্ষ্য পূরণ হবে, আজ নলছড়ে ১১১তম অদ্বৈত মল্লবর্মণের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এই মন্তব্য করেন। তিনদিনব্যাপী এই উৎসবের সূচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যে ১৫ থেকে ৩৫ বছর পর্যন্ত যুবক যুবতীর সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৬০%। এই যুবক শ্রেণীকে ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে। অদ্বৈত মল্লবর্মণের বিভিন্ন গ্রন্থ এবং তার সংগ্রামী জীবন সম্পর্কে জানার মধ্য দিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। অদ্বৈত মল্লবর্মণের অমর সৃষ্টির জন্যই তাকিয়ে আজ আমরা স্মরণ করছি। তার অমর সৃষ্টিকে জানতে হবে। এতে সুস্থ সমাজ গঠনে সহায়ক হবে। ত্রিপুরাকে মডেল রাজ্য হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকারী প্রয়াস জারি রয়েছে, যুবকরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। উৎসবের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী অদ্বৈত মল্লবর্মণের জীবনের নানা ঘটনাবলি উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে বলেন, ভারতবর্ষে এমন কয়েকজন ক্ষণজন্মা ব্যক্তিত্ব জন্ম নিয়েছেন যারা খুব অল্প সময়ে নিজেদের অমর সৃষ্টির জন্য মানুষের মননে জায়গা করে নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি স্বামী বিবেকানন্দ, কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের নাম উল্লেখ করেন। এইসব মনীষীরা অল্প সময়ে এমন সব কীর্তি রেখে গেছেন যে, আজও আমরা তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। তারা রয়ে গেছেন মানুষের মননে। অদ্বৈত মল্লবর্মণ উনার কালজয়ী উপন্যাস তিতাস একটি নদীর নামের জন্য স্মরণীয়। এই বইয়ে তিনি বহু কিছু তুলে ধরেছেন। নিম্ন বর্ণের জেলে, বাস্তবের অভিজ্ঞতা, কষ্টের নিয়মের কথা তুলে ধরেছেন। ছাত্র জীবনে একটা সময় ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনে তার স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা শামিল হলেও তিনি সেই আন্দোলনে শামিল হননি। কেননা তার আশঙ্কা ছিলো, পরবর্তী সময়ে এই ছাত্র আন্দোলনের প্রতি প্রতিহিংসা বসত ব্রিটিশ সরকার ছাত্র- ছাত্রীদের স্কলারশিপ বন্ধ করে দিলে অদ্বৈত মল্লবর্মণের স্কলারশিপ বন্ধ হয়ে যাবে। স্কলারশিপের টাকাতেই তিনি পড়াশোনা চালিয়ে আসছিলেন। সাহিত্যের প্রতি ছিলো তার গভীর অনুরাগ। বিভিন্ন ছোট ছোট ঘটনার মধ্য দিয়ে আমরা তা জানতে পারি। লোকসংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তার জন্য সরকার কাজ করছে। অদ্বৈত মল্লবর্মণের সংগ্রামী জীবনের কথা তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কালজয়ী এই উপন্যাসিক তিন কিলোমিটার পায়ে হেঁটে স্কুলে যেতেন।অন্নদা হাই স্কুলে পড়তেন। ভাষা সাহিত্যে ছিলো তার অসীম দখল।যা নিজের আয়ত্তে নিয়ে বাংলা ভাষায় তুলে ধরেছেন। প্রাইভেট টিউশনি করে পড়াশোনার খরচ চালাতেন। এক সময় আর্থিক অনটনে পড়াশোনা ছাড়তে হয়েছে। এরপর কলকাতায় চলে আসেন ১৯৩৮ সালে। নবশক্তি পত্রিকার সহ-সম্পাদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। অনেক পত্রপত্রিকায় কাজ করেছেন। দেশ পত্রিকার মতো সাহিত্য পত্রিকাতে কাজ করেছেন। বিশ্বভারতীর প্রকাশন বিভাগীয় কাজ করেছেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অসাধারণ কবিতা লিখে গেছেন। মানুষ আর প্রকৃতির মধ্যে এক অপূর্ব মেলবন্ধনে নানা গ্রন্থ লিখেছেন। বইপড়া এবং লেখাপড়া কোনও অবস্থাতেই ছাড়তে চাইতেন না। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার তপশিলি জাতি গোষ্ঠীর ছাত্রছাত্রীদের জন্য নানা সুযোগ সুবিধা চালু করেছে। তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তর ২০১৮-১৯ সাল থেকেই এই কাজ করে যাচ্ছে। চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে যারা পড়াশোনা করতে চায় তার জন্য সরকার নানা প্রকল্প যেমন নিয়েছে তেমনি তপশিলি জাতির ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য নানা পরিসংখ্যান তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ৫২টি ছাত্রছাত্রী নিবাস রয়েছে। ৬ হাজার ছাত্রছাত্রীকে ১০ কোটি টাকা বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। ৩২টি ছাত্রী নিবাসী বাসনপত্র নানা সরঞ্জাম ৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক স্তরের এক লক্ষ পঁচিশ হাজার ছাত্রছাত্রীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের স্কিমে নবম ও দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের ১১ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে বৃত্তি প্রদানের জন্য। অপরিচ্ছন্ন স্কিম ১ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা, আম্বেদকর মেধাবৃত্তি, নৃশংসতা রোেধ প্রকল্প, অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ছাত্রছাত্রীদের অর্থ সাহায্য, এককালীন অর্থ সাহায্য, মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনা সহ বহু স্কিম চালু রয়েছে তপশিলি জাতির ছাত্রছাত্রীদের জন্য। অদ্বৈত মল্লবর্মণ জন্মউৎসবে এছাড়া বক্তব্য রাখেন তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস। ৩দিনব্যাপী এই উৎসবে একজনকে অদ্বৈতমল্লবর্মণ স্মৃতি পুরস্কার,৬ জনকে অদ্বৈত মল্লবর্মণ সড়ক সম্মান,৩ জনকে রাজ্যভিত্তিক প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার জন্য কৃত করা হয়। ৪ জানুয়ারী উৎসবের তৃতীয় তথা শেষ দিনে সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব উপস্থিত থাকবেন। তেমনি এই দিনের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট বাউল শিল্পী কার্তিক বাউল উপস্থিত থাকবেন। ৩দিনব্যাপী উৎসবে আজ স্বাগত ভাষণ দেন তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের সচিব দীপা ডি নায়ার। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক পিনাকী দাস, সিপাহিজলা জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত,জেলা পুলিশ সুপার বি.জে রেড্ডি,জেলা সমাহর্তা সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল প্রমুখ।সভাপতিত্ব করেন বিধায়ক কিশোর বর্মণ।
প্রতিবেশী বাংলাদেশে গত ছয়মাস ধরে চলতে থাকা অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে একেবারে নিঃশব্দে এগিয়ে…
অনলাইন প্রতিনিধি:-প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা করছে না সরকার। জেআরবিটির মাধ্যমে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যেররাজধানী শহর আগরতলার যোগাযোগ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে উড়াল সেতু। শহরের পশ্চিম…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যেরসরকারী স্কুলে পরীক্ষার সূচি প্রকাশ হতেই রাজ্যের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের উপর জুলুমের অভিযোগ উঠেছে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট একটি প্রতীককে ত্রিপুরা সরকারের রাজ্য প্রতীক/লোগো হিসেবে ব্যবহারের…
অনলাইন প্রতিনিধি :-সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকালই বিজেপির দশটি সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের নামে চূড়ান্ত সীলমোহর পড়বে।…