৪৮৬ আসনে ভোটের পালা শেষ হয়েছে।আগামী শনিবার বাকি ৫৭টি আসনে নির্বাচন পর্ব মিটলেই সাঙ্গ হবে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন। শুক্রবার অন্তিম চরণে ভোটের প্রচার শেষ হবে।এবার একটা কথা রাজনৈতিক জন পরিসরে বিবিধ আলোচনায় উঠে এসেছে,তা হলো এবার কোনও ‘ওয়েভ’ নেই।অর্থাৎ ইতিপূর্বে প্রতিটি নির্বাচনে জনতার মধ্যে যে আবেগের তরঙ্গ উঠে, এবার তা উধাও। এটা সত্যি যে, এবারের ভোট তুলনায় নিস্তরঙ্গ।বুদ্ধির উৎস মস্তিষ্ক,আর আবেগ উৎসাহিত হয় হৃদয় থেকে।সরকার নির্বাচনের ক্ষেত্রে মস্তিষ্ক না হৃদয়, কার অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত,সে তর্কটি বহুদিনের।১৯৬৭ সালের আগের ভোটে তরঙ্গ নামক বস্তুটি কী,ভারতবাসী জানতেন না।মূলত সত্তরের দশকে ইন্দিরা গান্ধীর ‘গরিবি হঠাও’ আহ্বানের প্রেক্ষাপটে আহুত নির্বাচনের সময় থেকে তরঙ্গের উদ্ভব,যা বহমান থেকেছে প্রতিটি সাধারণ নির্বাচনে।ক্ষমতাসীন কংগ্রেসকে মাত্র চুয়াল্লিশটি আসনে নামিয়ে এনে দশ বছর আগে নরেন্দ্র মোদির আবির্ভাবও ছিল ওই তরঙ্গেরই অভিঘাত।তার সুদিনের স্বপ্ন ফেরিতে জনতা উদ্বেল হয়েছিল।এরপর ২০১৯ সালে তার প্রত্যাবর্তনী অভিযানেও ছিল সুপরিকল্পিত আবেগের তরঙ্গ। পুলওয়ামা-বালাকোট উত্তরপর্বে শৌর্য রাষ্ট্রবাদের স্লোগান হাতিয়ার করে তরঙ্গ সৃষ্টির কৌশল।এবার, সেই ঢেউ তুলবার প্রয়াস শুরু হয় গত জানুয়ারীতে অযোধ্যায় মহাসমারোহের কল্যাণে। কিন্তু,নির্বাচনে সায়াহ্নে এসে বাস্তব চিত্র বলছে, মোদি কি গ্যারান্টির প্রলোভন থেকে মঙ্গলসূত্র বেহাত হয়ে যাওয়ার ভয় এবং শেষলগ্নে মোদির নিজেকে ঈশ্বর প্রেরিত দূত হিসাবে তুলে ধরা -কিছুতেই অন্তত দৃশ্যত কোনও তরঙ্গের সৃষ্টি হয়নি।
ব্রিটেন, আমেরিকার মতো বহু দেশেই ভোটের আগে আবেগের তরঙ্গ সৃষ্টি হয় না। ভোট নিয়ে জনচিত্তে তেমন উন্মাদনাও থাকে না। জনজীবনের আর পাঁচটা নিয়মিত কর্মকাণ্ডের মতোই নির্বাচনও আসে এবং যায়, নাগরিকরা তাদের কর্তব্য হিসাবে ভোট দেন অথবা দেন না। ভারতের ভোটে এবার লহর তৈরি না হওয়ায় ভোট-পণ্ডিতদের একাংশ বলতে শুরু করেছেন,এ নাকি সরকার পরিবর্তনের পূর্বাভাস।নিরবচ্ছিন্ন দশ বছর দাপটের সঙ্গে দেশ শাসনের পর একজন নায়ককে কেন্দ্র করে ফের লহর উঠবে,এতটা প্রত্যাশাও ঠিক নয়।দেখার বিষয়, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আমজনতার ক্ষোভ বা আক্রোশ আছে কি?যদি না থাকে,প্রথমত ধরে নিতে হবে জমানা বদলের সম্ভাবনা নেই। দ্বিতীয়ত, বিরোধী শিবিরে এমন কোনও নেতা নেই, আমজনতা যাকে মোদির বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প হিসাবে ধরে নিতে পারে।এই কাজটি রাতারাতি করা সম্ভব নয়, বিরোধীদের সামনে সে সুযোগ ছিল, তারা তার সদ্ব্যবহার করেনি। মানে ‘টিনা’ (দেয়ার ইজ নো অলটারনেটিভ) ফ্যাক্টর এবারও নরেন্দ্র মোদির পক্ষে।মানুষ ভোটদানের সময় দল বা জোটের চেয়ে নেতৃত্বের প্রশ্নকে অধিকতর গুরুত্ব দেয়।গুরুত্ব দেয়,ব্যক্তিটি কে, কার হাতে দেশের শাসন সুরক্ষিত।নেহাত ঠেলায় না পড়লে জনতা জনার্দন ‘খিচুড়ি’ সরকার পছন্দ করে না।
মানুষের ক্ষোভের কারণে দিল্লীর শাহী তখত বদল হওয়ার বহু উদাহরণ আছে। ইন্দিরা জমানায় দুইবার, রাজীবের জমানায় একবার এবং মনমোহন জমানায় একবার।১৯৭৭ সালে জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে মানুষের পুঞ্জীভূত ক্রোধ জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা ইন্দিরা গান্ধীকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল।তার মাত্র তিন বছর পরে ফের সেই জনতাই ইন্দিরাকে বিপুলভাবে ক্ষমতায় ফিরিয়ে এনেছিল জনতা সরকারের কুশীলবদের সার্বিক অপদার্থতা এবং নিজেদের মধ্যে অনবরত খেয়োখেয়ি দেখে বিরক্ত হয়ে।ইন্দিরা হত্যার আবেগ দেশকে এমনভাবে আন্দোলিত করেছিল যে, তদপরবর্তী ১৯৮৪ সালের নির্বাচনে ৪১৩ আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসেন রাজীব গান্ধী। ১৯৮৯ সালে সেই রাজীবকেই ধরাশায়ী করেছিল তথাকথিত বোফর্স কেলেঙ্কারি ও তজ্জনিত জনতার রোষ।২০১৪ সালে মোদি গান্ধীনগর থেকে উড়ে এসে দিল্লী কব্জা করতে পেরেছিলেন মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের অকর্মণ্যতা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণরোষের পিঠে চেপে। অতএব, এবারের ভোটে যেমন তরঙ্গ নেই সত্য, সমধিক সত্য জনমনে সার্বিক ক্ষোভও নেই।আর সে ক্ষোভ থেকে থাকলেও তাকে শাসক- বিরোধিতায় রূপান্তরিত করার জন্য যে বিকল্প মুখের প্রয়োজন, অন্তত সেটি নেই। প্রতীক্ষার প্রহর তো আর মাত্র কিছুদিন।
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…
২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…