বিভৎস ট্রেন দুর্ঘটনা, ছিটকে গেল চলন্ত তিনটি মালগাড়ির কামরা!!
তরুণ প্রজন্মের কাছে নেতাজী একজন আদর্শ মনীষী: মানিক!!

অনলাইন প্রতিনিধি :- নেতাজী জন্মজয়ন্তীতে বৃহস্পতিবার অন্যান্যবারের মতো এ বছরও চিরাচরিত শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করে নেতাজী সুভাষ বিদ্যানিকেতন। বিদ্যানিকেতনের পনেরোটি পৃথক পৃথক ট্যাবলো সহ অন্যান্য স্কুল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠনের ট্যাবলো মিলে মোট পঁচিশটি ট্যাবলো অংশ নেয় শোভাযাত্রায়। প্রতিটি ট্যাবলো-ই সামাজিকভাবে গঠনমূলক বার্তা নিয়ে একে একে এগিয়ে যায়। নেতাজী সুভাষ বিদ্যানিকেতন প্রাঙ্গণ থেকে বেরিয়ে শোভাযাত্রাটি পোস্ট অফিস চৌমুহনী হয়ে প্যারাডাইস চৌমুহনী, আইজিএম চৌমুহনী, ওরিয়েন্ট চৌমুহনী, জ্যাকশন গেট, কামান চৌমুহনী, নেতাজী কর্নার হয়ে
নেতাজী চৌমুহনী এবং সবশেষে বিদ্যানিকেতন প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। রাজধানীর প্রায় সব অংশের মানুষ দীর্ঘ দুই ঘন্টারও বেশি সময় ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে এদিন উপভোগ করেন গোটা শোভাযাত্রাটি। শোভাযাত্রা প্রদর্শনের আগে বিদ্যানিকেতন প্রাঙ্গণে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা সহ উপস্থিত অন্য অতিথিরা। এরপরই স্বাধীনতা সংগ্রামীর ১২৯তম জন্মদিবসে নেতাজী সুভাষ বিদ্যানিকেতন আয়োজিত এক অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, এই স্কুলটি যার নামে তিনি তরুণ প্রজন্মের কাছে একজন আদর্শ মনীষী, পথপ্রদর্শকও। যাকে দীর্ঘদিন তাঁর যোগ্য সম্মানটুকু প্রদান করা হয়নি, সেই তাঁকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিষ্ঠার পর ২০২১ সালে যোগ্য সম্মান প্রদান করা হয়। তার জন্মদিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য দেশের সরকার দিনটিকে পরাক্রম দিবস হিসাবে পালন করছে প্রতিবছর। বনেদি স্কুল নেতাজী সুভাষ বিদ্যানিকেতন আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের ভূয়সী প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই স্কুলের বহু ছাত্রছাত্রী শুধু এই রাজ্যে নয়, দেশ তথা বিদেশের মাটিতেও সুনামের সাথে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্কুলের নিয়মশৃঙ্খলা, সামাজিক কাজকর্ম, খেলাধুলা এসব কিছুরই এদিন প্রশংসা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আপোশহীন এক যোদ্ধার নাম। তিনি যুবসমাজের কাছে একজন অনুপ্রেরণা। তার আদর্শ, জীবনধারা এবং কর্মধারা তরুণ প্রজন্মের কাছে আরও বেশি করে অনুপ্রেরণা জোগাবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে কাউকে যদি স্মরণ করতে হয় তবে চিরস্মরণীয় বলতে এক কথায় যার নাম উচ্চারণ করতেন হয় তিনিই সেই সুভাষ চন্দ্র বসু। স্বাধীনতা আন্দোলনে তিনি ছিলেন অন্যতমা একজন কিংবদন্তি নেতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশ শাসক নেতাজীকে এগারোবার কারারুদ্ধ করেও আটকাতে পারেনি। ব্রিটিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে জাপানের রাজনৈতিক, কূটনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেছিলেন তিনি। তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব- তার এই উত্তি আজও দেশবাসীর কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে। অনুষ্ঠানে এছাড়াও স্বাগত ভাষণ রাখেন নেতাজী সুভাষ বিদ্যানিকেতনের বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সহ-সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার দাস। অন্যদের মধ্যে আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপবা মজুমদার, কর্পোরেটর রত্না দত্ত, বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সম্পাদক তপন চক্রবর্তী, নেতাজী সুভাষ জন্মোৎসব উদ্যাপন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়িকা সান্তন দেববর্মা, বিদ্যানিকেতনের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা মিনারাণী কলই সহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর অতিথিদের সাথে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডা মানিক সাহা বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার সূচনা করেন।