তামাকের বিরুদ্ধে জনসাধারণকে সচেতনতার ডাক

 তামাকের বিরুদ্ধে জনসাধারণকে সচেতনতার ডাক
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

১ মে ওয়ার্ল্ড নো টোব্যাকো ডে । বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার পক্ষ থেকে এবছর সিগারেট বর্জন করে স্বাস্থ্যের সঙ্গে পরিবেশের সুরক্ষা বজায় রাখার ডাক দেওয়া হয়েছে । বিশ্ব ধুমপান বিরোধী দিবস উপলক্ষ্যে নারায়ণ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হাওড়ার ক্যানসার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে তামাকের বিরুদ্ধে জনসাধারে সচেতন হওয়ার ডাক দিলেন । তামাক বা সিগারেট , বিড়ি গুটখা বা জর্দার মতো বিভিন্ন তামাকজাত পণ্যর নেশা বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের প্রধান কারণ । কিন্তু সংখ্যাটা ঠিক কতঃ হেড অ্যান্ড নেক ক্যানসারের ৯০ % ক্ষেত্রে দায়ি হল তামাক । আবার এর ন প্রধান ওরাল বা মুখের ক্যানসার । আমাদের দেশে সব থেকে বেশি জর্দা, গুটখা বা দোক্তার মতো চেবানো বা মুখে রাখার মতো তামাকজাত পণ্যের নেশা করা হয় বলে ওরাল ক্যানসারে আমাদের দেশ একেবারে প্রথম সারিতে । নারায়ণ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সিনিয়র ক্লিনিক্যাল অংকোলজিস্ট ডা . বিবেক আগরওয়াল জানিয়েছেন , ক্যানসার , হার্ট ডিজিজ ও অন্যান্য মারণ অসুখে আমাদের দেশে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে ১ জন , দৈনিক ২২০০ জন এবং বছরে কমপক্ষে ৮ লক্ষ মানুষ মারা যান সিগারেট , বিড়ি আর গুটথা খেয়ে । প্যাসিভ স্মোকিং – এর শিকার হয়ে মারা যান বছরে প্রায় ৬ লক্ষ মানুষ ।

এই হাসপাতালেরই ওপর সিনিয়র অঙ্কলজিস্ট ডা . আশুতোষ দাগার জানিয়েছেন , স্মোকাররা সিগারেটের ধোঁয়ার সঙ্গে নিকোটিন ছাড়াও বেঞ্জিন , বিভিন্ন ধরনের নাইট্রোস অ্যামিন , ক্যাডমিয়াম ধাতুর কণার মতো বহু ক্ষতিকর রাসায়নিক নিজের শরীরে টেনে নেন । এর মধ্যে অন্তত আঠাশটি ‘ কারসিনোজেনিক বা ক্যানসার উদ্দীপক । বিড়ি , চুরুট বা হুঁকোর মতো কোনও কিছুর নেশাই সিগারটের মতো কম ক্ষতিকারক নয় । আবার গুটখা , জর্দা বা নস্যির মতো মুখে রাখা বা শোঁকার মতো তামাক উপজাতেও থাকে একই রকম ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য । এই জন্যই স্মোকিং বা জর্দা , পান কী গুটখা ক্যানসার , হার্টের রোগ থেকে ইনফার্টিলিটি বহু অসুখের প্রধান কারণ । ‘ তামাক স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর ’ এই বিধি সন্মত সতর্কীকরণ সকলেই জানেন কিন্তু নেশাকারীরা কেউই মানেন না । ’ কারণটাই বোধহয় বলেছেন আমেরিকান ঔপন্যাসিক মারিও পুজো তাঁর গড ফাদার উপন্যাসে । তার কথায় ধূমপান ক্ষতিকর জেনেও কেউ ছাড়েন না কারণ সকলেই মনে করেন যে , সিগারেট খেয়ে কেউ আগামী কাল মারা যাবেন না । কিন্তু তামাকের স্লো পয়জনিং যে কতটা ভয়ঙ্কর সেটি একজন শেষ পর্যায়ের ক্যানসার রোগীর কষ্ট দেখে বোঝা যায় । তাই সাংবাদিক সম্মেলনের উপস্থিত চিকিৎসক ও নারায়ণ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পক্ষ থেকে ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ডা . চন্দ্ৰকান্ত এম ভি বিশ্ব ধূমপান বিরোধী দিবসের প্রাক্কালে সকলকে তামাক বর্জনের আহ্বান জানালেন ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.