তিস্তা নিয়ে ভারতের উপর ভরসা রাখলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাসিনার প্রত্যাশা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে মতপার্থক্য দূর হয়ে তিস্তা সমস্যা সমাধান হবে। বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ৩০ নভেম্বর শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকার করার সময় হাসিনা এই কথাগুলো বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক মধুর, এরমধ্যে ভারত বাংলাদেশের কাছে সর্বাধিক অগ্রাধিকারে থাকা বিশ্বস্ত প্রতিবেশী। এখানে উল্লেখ্য, শেখ মুজিবের আমল থেকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক উষ্ণতার পরশ মাখানো । শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে বর্তমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কের বিষয়টি একটি ভিন্নমাত্রার নিয়ে গেছেন। তিস্তার জলবন্টন সহ অভিন্ন নদীগুলোকে নিয়ে কমবেশি মতপার্থক্য সবসময় রয়েই গেছে। গঙ্গাজল বন্টনের চুক্তি দু’দেশের সম্পর্কের মধ্যে একটা মাইলস্টোন। সেখানে তিস্তার মত বিষয়টি ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবু জট লেগে আছে। নীতিগতভাবে নয়াদিল্লী তিস্তার জল বাংলাদেশকে দিতে তেমন আপত্তি নেই। তিস্তা নিয়ে একটা খসড়া চুক্তি মনমোহন সিংয়ের আমলে হওয়ার শেষ মুহূর্তে তা বাতিল হয়ে যায়। সেই চেনা জট আজও খোলেনি। ফলে তিস্তা নিয়ে ভারত- বাংলাদেশ ফেনিয়ে উঠা বিতর্ক আজ অবসান হয়নি। তবুও বাংলাদেশ আশাবাদী। ভারত-বাংলা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। হাসিনা আবার বলেছেন ভারত আমাদের কাছে শুধু সু-প্রতিবেশী নয়, বন্ধুত্বের সম্পর্ক কষ্টিপাথরে লেখা। ভারত আমাদের কাছে অগ্রাধিকার তালিকায় একদম শীর্ষে। বাংলাদেশ রাজনীতির অভ্যন্তরীণ চাপ, হাসিনাকে টলানো যায়নি। তিস্তা নিয়ে ঢাকার সামনে লোভনীয় টোপ রয়েছে। তিস্তা থেকে জল পাওয়া যাবে না এমন ধারণা আবর্তিত ঢাকার আমলা মহলের একাংশে। এরাই এখন নানাভাবে কলকাঠি নাড়াচ্ছেন। এশিয়া উপমহাদেশে চিন ভূ-রাজনৈতিক কৌশলে ঢাকাকে কাছে পেতে চায়। তিস্তা নিয়ে একটা বড় প্রকল্পের টোপ দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশকে। তিস্তা মহা পরিকল্পনা নামে ৮ হাজার কোটি টাকার একটা প্রজেক্ট নিয়ে কৌশলে এগোতে চাইছে বেইজিং। তিস্তা নদীর বাংলাদেশের অংশে পর্যাপ্ত জল সংগ্রহ করা সহ নদীর দুই পাশে বিশাল সুবিধার জন্য পরিকাঠামো গড়ার লক্ষ্য নিয়ে একটি বড় পরিকল্পনা করা হয়েছে। বাংলাদেশের কাছে এটা লোভনীয় প্রস্তাব । এবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের পর তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠে ঢাকার একাংশ আমলা, যারা বরাবরই ভারতবিরোধী। তারা হাসিনাকে বোঝাতে চেষ্টা করেন ভারতের কাছ থেকে তিস্তার জল পাওয়া যাবে না। এর একমাত্র বিকল্প চিনের ৮ হাজার কোটি টাকার মহা তিস্তা। নয়াদিল্লীর সাথে ঢাকার সম্পর্ক চিনের মহা পরিকল্পনা কার্যকর হলে দু’দেশের বিশ্বাসের আকাশে কালো মেঘ জমতে শুরু করবে। তাই বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট সংবেদনশীল শেখ হাসিনা ৷ গত ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশে ভারতীয় নবনিযুক্ত হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সাথে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকারের সময় বলেছেন ভারত আমাদের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু। তিস্তার জল সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে নয়াদিল্লীর আগ্রহ আগামী দিন বাস্তবতার পথ ধরে হাঁটবে।
অনলাইন প্রতিনিধি :-আট উইকেটের বড়সড় জয় দিয়েই সিনিয়র মহিলাদের একদিবসীয় আমন্ত্রণমূলক ক্রিকেটের সুপার সিক্সে নিজেদের…
অনলাইন প্রতিনিধি :- উড়ান আয়োজিত ত্রিপুরা লিটারেচার ফেস্টিভ্যালের তৃতীয় দিনেও রাজ্যের সাহিত্যপ্রেমী মানুষের উপচে পড়া…
মার্কিন অনুদান নিয়ে ট্রাম্পের একের পর এক। মাঘি বিস্ফোরক মন্তব্য ঘিরে ভারতীয় রাজনীতিতে চাপানউতোর এখন…
অনলাইন প্রতিনিধি :-জেলা,মহকুমা ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির দৈন্যদশায় রাজ্যের প্রধান সরকারী হাসপাতাল জিবিতে রোগীর অস্বাভাবিক চাপ…
অনলাইন প্রতিনিধি:-রাজ্যের স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার অস্তিত্ব সংকটে। সরকারী স্কুলগুলিতে নিয়মিত পড়াশোনা হচ্ছে না। গত ১০…
অনলাইন প্রতিনিধি :-লাগাতার চুরি, ছিনতাই। মহিলারাও কোনোভাবে সুরক্ষিত নন। একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে…