তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে ক্রমেই ভিড় বাড়ছে চৈত্রহাটে
দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি || দিন দিন ভিড় বাড়তে শুরু করেছে চৈত্রহাটে। নববর্ষ শুরুর আগে বছর শেষে চৈত্রমেলাকে ঘিরে প্রতিবছরই জমজমাট থাকে শহর আগরতলার শকুন্তলা রোড, হকার্স কর্নার এলাকাগুলি। এদিক থেকে এবছরও ভিন্ন হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে আগামী শনি এবং রবিবার আরও জমজমাট হয়ে উঠবে এই চৈত্রমেলা। দোকানিরাও সেই অনুযায়ী আরও বেশি করে পণ্যসামগ্রী বিক্রির আশায় বুক বাঁধছেন ৷সরকারী হিসাব মতো এ বছর চৈত্রহাট শুরু হয়েছে ৪ এপ্রিল থেকে।চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে সামান্য কিছু ক্ষেত্রে শুক্রবার গুডফ্রাইডের ছুটি ছাড়াও সরকারীভাবে ছুটি বলতে গেলে ৮ এবং ৯ এপ্রিল। স্বাভাবিকভাবেই ছুটির এই দিনগুলিতে চৈত্রহাটে যে ভিড়ের মাত্রা বাড়বে, তাও একপ্রকার নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। শুক্রবার গুডফ্রাইডের দিনটিই এই বার্তা মিলে। দুপুরের পর শুধুমাত্র শকুন্তলা রোড এলাকা নয়, হকার্স কর্নারের বিভিন্ন আশপাশ এলাকা, ওরিয়েন্ট চৌমুহনী এলাকা থেকে জ্যাকশন গেট পর্যন্ত মূল রাস্তাটির অবস্থা ছিলো প্রায় কানায় কানায় পূর্ণ যে কারণে নাগেরজলা – মোটরস্ট্যাও রুটে চলাচলকারী বিভিন্ন অটোগুলিবে পর্যন্ত ভীষণভাবেই বেগ পোহাতে হয়। ভিড়ে ঠাসা চৈত্রহাটে এদিন বছর দুয়েকের সন্তান কোলে এক দম্পতি বলেন, বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় চৈত্রহাটে সামান্য হলেও ছাড় মেলে । আমরা অন্তত এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে চাই। দোকানিদের অনেকেরই বক্তব্য, বড় মাপের ব্যবসায়ীরা বছর শেষে তাদের বিভিন্ন সামগ্রীগুলিকে ঠিক এভাবেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর মাধ্যমে বিক্রি করার কৌশল নেয়। তবে এ বছর এক্ষেত্রে বহু দূরদূরান্ত থেকেও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের তাদের নিজ নিজ পসরা সাজিয়ে বসতে দেখা গিয়েছে। আগরতলা পুর নিগম কর্তৃপক্ষও চাইছে, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা উপকৃত হোক এই মেলা থেকে। এদিকে, গত মঙ্গলবার থেকে চৈত্রহাটের দ্বার খুললেও শুক্রবারই প্রথম মাত্রাতিরিক্ত ভিড় লক্ষ্য করা যায় চৈত্রহাটকে কেন্দ্র করে। ব্যবসায়ীদের ধারণা, আবহাওয়া ঠিক থাকলে আগামী দু’দিনে ক্রমেই বাড়বে ভিড়ের মাত্রা। চৈত্রহাটের দিনগুলিতে আগামী শনি ও রবিবারই কার্যত ছুটি মিলছে চাকরিজীবীদের। আর্থিকভাবে সমাজের অন্যান্যদের তুলনায় তারা কিছুটা সচ্ছল হলেও অনেকেরই ধারণা, প্রয়োজনীয় সামগ্রী যদি সামান্য হলেও স্বল্পমূল্যে কেনা যায় তাতে মন্দই বা কীসে!