তীর্থ যাত্রার পথে গ্রেপ্তার পাঞ্জাবের ত্রাস ‘ডাকু হাসিনা’।

 তীর্থ যাত্রার পথে গ্রেপ্তার পাঞ্জাবের ত্রাস ‘ডাকু হাসিনা’।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

লুধিয়ানার সিএমএস ইনফো সিস্টেম প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির সাড়ে আট কোটি টাকা যাচ্ছিল ব্যাঙ্কে।পথে সেই গাড়ি পড়ে ডাকাতদলের খপ্পরে। ডাকাতেরা সব টাকা লুঠ করে চম্পট দেয়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানিয়েছিলেন,ডাকাতদলের সর্দার ছিল এক সুন্দরী মহিলা। পুলিশের বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে, এই কাণ্ডেরও ‘নায়িকা’ ডাকু হাসিনা। সুন্দরী বলে কুখ্যাত সমাজে তার নাম হয় ডাকু হাসিনা।আসল নাম মনদীপ কৌর। সম্প্রতি উত্তরাখণ্ড থেকে মনদীপ ও তার ডাকাত স্বামী জসবিন্দর সিংকে গ্রেপ্তার করেছে পাঞ্জাব পুলিশ। লুধিয়ানা লুঠ কাণ্ডের পর দিব্যি স্বামীকে নিয়ে অমরনাথে তীর্থ যাত্রায় রওনা দিয়েছিল হাসিনা। পরে ওই দলের আরও পাঁচ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পাঞ্জাবের ডিজিপি টুইট করে এই তথ্য জানিয়েছেন।ডিজিপি লিখেছেন, লুধিয়ানা পুলিশের জন্য তিনি গর্বিত।১০০ ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে লুধিয়ানা ক্যাশ ভ্যান ডাকাতির মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।স্বয়ং ডিজিপি পর্যন্ত মনদীপ কৌরকে ‘ডাকু হাসিনা’বলে টুইট করেছেন। ডাকু হাসিনা ওরফে মনদীপ কৌর ওরফে মোনা লুধিয়ানার ডেহনার বাসিন্দা। কুখ্যাত এই ডাকাতরানির মা আজও লোকের বাড়িতে বাসন মাজা, ঘর মোছার কাজ করেন।সেই ঘরের মেয়ে হয়ে ওঠে ডাকাত দলের নেত্রী। মোনার সঙ্গে জসবিন্দরের বিয়েও বেশি দিন নয়। পুলিশ সূত্রে খবর জসবিন্দরের সঙ্গে খুব বেশি দিনের পরিচয় নয় মনদীপের। ইনস্টাগ্রামে দুজনের আলাপ। কথাবার্তা হতো। সেখান থেকেই প্রেম।আলাপের মাত্র আড়াই মাস পরেই গত ১৬ ফেব্রুয়ারী জসবিন্দরকে বিয়ে করে নেয় ডাকু হাসিনা।বিয়ের আগে প্রেমিকের কাছে সে নিজেকে একজন আইনজীবী বলে পরিচয় দিয়েছিল। বিয়ের আগে তার একটি ব্যবসা ছিল।তবে পুলিশ জানিয়েছে,এই দম্পতির লক্ষ্য ছিল,খুব দ্রুত ধনী হয়ে ওঠা। আর তার জন্য ব্যবসা ছেড়ে শর্টকাটে ধনী হওয়ার চেষ্টা করছিল তারা। দুজনে মিলে চার মাস আগে থেকেই এই ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিল।সেই উদ্দেশ্যেই ওই সংস্থার মনজিন্দর নামে এক কর্মীর সঙ্গে আলাপ জমায় দুজনে। মনজিন্দর সেখানে গাড়ি চালাত। তাকেও খুব তাড়াতাড়ি বড়লোক হওয়ার লোভ দেখিয়ে নিজেদের দলে টেনে নেয় মোনা।পুলিশ জেনেছে, জসবিন্দর মোনার তৃতীয় অথবা চতুর্থ স্বামী। ডেহনা গ্রামের লোকজন বলছে, পুলিশ যদি মোনার মোবাইলের গত ২ থেকে ৩ বছরের তথ্য খতিয়ে দেখে, তাহলে মোনার হানিট্র্যাপের শিকার হতে পারে এমন অনেক যুবকের পরিচয় পাওয়া যাবে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.