২০২৩-এর – হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল রাজনীতির কুশীলবদের অনেক কিছু বার্তা ও ইঙ্গিত দিয়েছে। বার্তা দিয়েছে শাসক-বিরোধী উভয় দলকেই। বার্তা দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেও। বার্তা দিয়েছে উভয় দলের রাজ্য নেতৃত্বকেও। ২০২৩-এর নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে শতাব্দীপ্রাচীন কংগ্রেস দল এই রাজ্যে এখন সিপিএমের উপর নির্ভরশীল। এই বার্তাও রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় স্তরে পৌঁছে গেছে। বার্তা পৌঁছে গেছে কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছেও। সিপিএমের সাথে জোট না হলে কংগ্রেস এবার শূন্য হয়ে যেত। ফলাফল থেকে এমন ইঙ্গিতই পাওয়া গেছে। দলে থেকে দলের বিরুদ্ধে ব্যক্তিস্বার্থে আওয়াজ তুললে দলবিরোধী কার্যকলাপে শামিল হলে, অন্যের প্ররোচনা ফাঁদে পা দিয়ে দলে অস্থিরতা সৃষ্টি করলে তিনি যত বড় নেতা বা নেত্রী হোন না কেন, মানুষ যে ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারে, তার বার্তাও এবার নির্বাচনি ফলাফল থেকে স্পষ্ট হয়েছে। এর সবথেকে বড় উদাহরণ ১৮ সূর্যমণি নগর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রামপ্রসাদ পাল। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময়ও তিনি ঝুলে ছিলেন। সবার ধারণা ছিলো, তিনি কম করে দশ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবেন। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গেল তিনি মাত্র ১৯০৮ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। এই বার্তা অনুধাবন করতে পারলে ভবিষ্যতের জন্য মঙ্গল হবে। বামুটিয়া কেন্দ্রের প্রার্থী কৃষ্ণধন দাস, বড়জলা কেন্দ্রের প্রার্থী ডা. দিলীপ কুমার দাস কেন পরাজিত হয়েছেন, সেটা কেউ না জানুক, ওই দুই প্রার্থী ভালো করেই জানেন ৷৯ নং বনমালীপুর কেন্দ্রে বিজেপি প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যের পরাজয়ের প্রধান কারণ হচ্ছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। শ্রী দেবকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা বনমালীপুরের মানুষ মন থেকে মানতে পারেনি। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ইভিএমে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দলের সভাপতির পরাজয়ের মাধ্যমে বিজেপি দিল্লীর নেতৃত্বকেও বনমালীপুরের মানুষ বার্তা দিয়েছে।মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা জয়ী হলেও, তার জয়ের ব্যবধান মাত্র ১২৫৭ ভোট। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য এবং অবশ্যই রাজ্য বিজেপির জন্য এটা একটা বার্তা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ধর্মনগর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বিশ্ববন্ধু সেন জয়ী হয়েছেন ঠিকই। কিন্তু তাঁর জয়ের ব্যবধান মাত্র ১০৯৮ ভোট। ভোটের ঠিক আগে রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের সাথে বিবাদে জড়ানো, তাঁর ভোটে প্রভাব পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এমন আরও বেশ কিছু বার্তা রয়েছে।অপরদিকে, বিরোধী জোটে যিনি মুখ্যমন্ত্রীর মুখ তাঁর জয়ের ব্যবধান নোটার চাইতেও কম। সাক্রম থেকে তিনি জয়ী হয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তাঁর জয়ের ব্যবধান মাত্র ৩৯৫ ভোট। গ্রাম-ত্রিপুরা যে জোটকে প্রত্যাখ্যান করেছে, সেই জোটের অন্যতম প্রধান উদ্দ্যোক্তা তিনি নিজে। ফলাফল থেকে স্পষ্ট, শহরে এই জোটের সমীকরণ কাজ করলেও, গ্রাম-ত্রিপুরায় জোটের রসায়ন কাজ করেনি। ভবিষ্যতের জন্য এটি একটা বার্তা। শুধু তাই নয়, এবার নির্বাচনে এমন দশজন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন, যাদের জয়ের ব্যবধান এক হাজারের নীচে। এরা হলেন ৫৭ যুবরাজনগর কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী শৈলেন্দ্ৰ চন্দ্ৰ নাথ (ব্যবধান ২৯৬ ভোট), ৩৮ জোলাইবাড়ি কেন্দ্রের আইপিএফটি প্রার্থী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া (ব্যবধান ৩৭৫ ভোট), ৪০ সাক্রম কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী জিতেন্দ্র চৌধুরী (ব্যবধান ৩১৬ ভোট), ৩৫ বিলোনীয়া কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী দীপঙ্কর সেন (ব্যবধান ৪০৩ ভোট), ৫০ পাবিয়াছড়া কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ভগবান চন্দ্র দাস (ব্যবধান ৪০৮ ভোট), ৪৭ আমবাসা কেন্দ্রের তিপ্রামথা প্রার্থী চিত্তরঞ্জন দেববর্মা (ব্যবধান ৪৯৩ ভোট), ৩৯ মনু কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মাইল্যফ্লু মগ (ব্যবধান ৫৪৭ ভোট), ৫২ চন্ডীপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী টিঙ্কু রায় (ব্যবধান ৫৭৭ ভোট), ১৯ চড়িলাম কেন্দ্রের তিপ্রামথা প্রার্থী সুবোধ দেববর্মা (ব্যবধান ৮৫৮ ভোট) এবং ৭ রামনগর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুরজিৎ দত্ত (ব্যবধান ৮৯৭ ভোট)।এই ভোট থেকে আরও একটি বড় বার্তা পাওয়া গেছে। গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড ও রাজ্যভাগ রাজ্যের জনজাতিদের একটা বড় অংশই চায় না। এই ভোট থেকে সেই বার্তাও দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বার্তাগুলো থেকে রাজনৈতিক দলগুলি শিক্ষা নিলে মঙ্গল। নতুবা আগামী দিনে আরও বড় বিপর্যয় অপেক্ষা করে থাকবে। এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
দিল্লী বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে যেন প্রতিশ্রুতির প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ভোটারদের মন…
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…