তেইশের বিধানসভা নির্বাচনে একা সরকার গড়ার মতো অবস্থায় নেই সিপিএম। শুক্রবার আস্তাবলের সমাবেশে কার্যত একথা স্বীকার করে নিয়েছে বামেরা। যার জন্যই তারা সমমনোভাবাপন্ন অন্য দলগুলোকে পাশে চেয়েছে। শনিবার বিজেপি অফিসে সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই বললেন প্রদেশ বিজেপির সহসভাপতি ডা. অশোক সিন্হা । তিনি বলেন, আঠারোর নির্বাচনের আগে রাজ্যের পঞ্চাশটি বিধানসভা কেন্দ্রে তাদের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছিল। এখন এই সামান্য কয়টি বছরের মধ্যেই তাদের অন্য দলগুলির সাহায্য নিতে হচ্ছে। আস্তাবলের সমাবেশে এদিন সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার, সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী সহ অন্যরা যা বলেছেন এদিন তার পাল্টা দেন ডা. সিন্হা। ইয়েচুরি বলেছিলেন, গত কয়েক বছরে দেশে গরিবের সংখ্যা বেড়েছে। ডা. সিন্হা এর প্রেক্ষিতে বলেন, বাস্তবে তেমন নয়। রাষ্ট্র সংঘের রিপোর্টে গত পাঁচ বছরে দেশে গরিব অংশের মানুষ ২২ শতাংশ থেকে নেমে ১০ শতাংশে চলে এসেছে। ১০,৩২৩ নিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শ্রী সরকারের আত্মম্ভরিতার জন্যই ওই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল। তিনি বলেন, চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের নিয়ে বাম আমলে যে ছেলেখেলা হয়েছিল বর্তমান রাজ্য সরকার তা করতে চায় না। সংবিধানের গণ্ডির মধ্যে থেকেই তাদের জন্য সমাধান সূত্র বের করার চেষ্টা হয়েছে। যা সম্ভব নয়, তা নিয়ে ছেলেখেলায় যাবে না বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শ্রী সরকারকে এদিন তিনি সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে জানতে চান, তিনি দেশের সংবিধানকে মান্যতা দেন না সিপিএমের দলীয় সংগঠনকে মান্যতা দেন। সাহস থাকলে একথা প্রকাশ্যে ঘোষণা করতেও শ্রীসরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন বিজেপি সহসভাপতি। শ্রী সরকারের ধর্মনিরপেক্ষতার প্রসঙ্গ নিয়ে ডা. সিন্হা বলেন, তার হাতে ইস্যু নেই বলেই এ সব অবাস্তব প্রসঙ্গের অবতারণা করছেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরীর অভিযোগ প্রসঙ্গে ডা. সিন্হা বলেন, বাম আমলে চার বছরে মিলেছে চার হাজারের মতো ঘর। তাদের আমলে একই সময়ে দেওয়া হয়েছে আড়াই লক্ষের মতো ঘর। এত বিশাল বহরের কাজের ক্ষেত্রে কিস্তির টাকা প্রদান সহ বিভিন্ন বিষয়ে কিছুটা সমস্যা হতেই পারে। তিনি বলেন, বিজেপি ভিশন ডকুমেন্টে যা বলেছে এখনও তা সম্পূর্ণভাবে করা যায়নি। করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদেশ বিজেপির এসসি মোর্চার সভাপতি টুটন দাস এবং বিজেপি মিডিয়া ইনচার্জ সুনীত সরকারও ছিলেন।
এদিকে জোটের প্রসঙ্গে ডা. সিন্হা বলেছেন, জোটসঙ্গী আইপিএফটিকে নিয়ে তারা আসন্ন বিধানসভা ভোটে যেতে চান। তবে গোটা বিষয়টা জোটসঙ্গীর উপর নির্ভর করবে। অন্যান্য দলগুলোর সাথে জোটের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিজেপির কাছে এলে অন্যদের সাথেও জোট নিয়ে আলোচনা হতে পারে ।
নিগো বাণিজ্যের রমরমা চালানোর জন্যই কি ১৮ সালে রাজ্যের মানুষ বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো?রাজ্যের আকাশ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-এয়ারইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের কর্মীর চরম গাফিলতি ও উদাসীনতার কারণে রীতা বণিক (৫৯) বিমান যাত্রীর…
হরিয়ানা কি বিজেপির হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে?শাসক বিজেপির হাবভাব দেখে তেমনটাই অনুমান করছে রাজনৈতিক মহল।প্রধানমন্ত্রী…
অনলাইন প্রতিনিধি:-মুখ্যমন্ত্রীডা. মানিক সাহার নির্বাচনি এলাকার আপনজন ক্লাবের চাঁদার নামে বড় অঙ্কের তোলাবাজির অভিযোগের রেশ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ইচ্ছে ছিলো অনেক আগে থেকেই। অবশেষে নিজের ইচ্ছেকেই বাস্তবে পরিনত করলো ঝুমা দেবনাথ।…
রাজ্যে কি সত্যিই আইনের শাসন রয়েছে?সাধারণ মানুষ কিন্তু প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।সরকার বলছে রাজ্যে সুশাসন…