ভোট প্রচারে এসে মঙ্গলবার তৃণমূল এবং বিজেপি শাসিত সরকারের তফাৎ বোঝালেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । তার কথায় , তৃণমূল কংগ্রেস হচ্ছে উচ্চ মানসম্পন্ন ডিভিডি প্লেয়ার । আর বিজেপি হচ্ছে , ভাঙা অডিও ক্যাসেট । ডিভিডি প্লেয়ারে আপনি যখন সুইচ অন করবেন তখন কানে যেমন শুনতে পাবেন , চোখেও দেখতে পাবেন । আর অডিও ক্যাসেট চালালে কানেই শুধু শুনতে পাবেন , চোখে কিছু দেখতে পাবেন না । বলে তাৎপর্য বুঝালেন এদিন । প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিশ্রুতি খেলাপকারী বিজেপিকে আক্রমণ করে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক এদিন বলেন , তৃণমূল যা বলে তা করে দেখায় ।
তৃতীয়বারের মতো দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে বাংলায় গৃহকর্ত্রী জনজাতিদের জন্য মাসিক এক হাজার টাকা এবং গৃহকর্ত্রী সাধারণ নাগরিকদের জন্য পাঁচশো টাকা করে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা দিয়েছিলেন । ক্ষমতায় আসার পর মাত্র তিন মাসের মধ্যে তিনি তা কার্যকর করে দেখিয়েছেন । তিনি বলেন , ‘ আমরা কথা দিয়ে কথা রাখি । আর তারা কথা দিয়ে কথা রাখে না । ভোট গেলে টাটা , বাই – বাই , হাওয়া । এটাই তো পার্থক্য ‘ । উপভোটের প্রচারে মঙ্গলবার সকালেই রাজ্যে আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । গান্ধীঘাট এলাকা থেকে একটি হুডখোলা গাড়িতে করে রোড শো’য়ও অংশগ্রহণ করেন । সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ত্রিপুরা সভাপতি সুবল ভৌমিক । ৮ – টাউন বড়দোয়ালী এবং ৬ আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে দলের মনোনীত দুই প্রার্থী যথাক্রমে সংহিতা ব্যানার্জি এবং পান্না দেবকে সামনে রেখেই রোড শো থেকে করজোড়ে ভোট চাইলেন।
রোড শো টাউন বড়দোয়ালী এবং আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন পথ প্রদক্ষিণ করে বেলা প্রায় আড়াইটে নাগাদ জিবি বাজার এলাকায় একটি পথসভায় শেষ হয় । রোড শোয় ছিলেন প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের ইনচার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় , বাংলার মন্ত্রী গোলাম রাব্বানী , রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব , সায়নী ঘোষ প্রমুখ । উপস্থিত ছিলেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও । বেলা তিনটে নাগাদ পথসভায় মিনিট পঁচিশের ভাষণে এদিন আগাগোড়াই শাসক বিজেপিকে নিশানা করেন অভিষেক । তিনি বলেন , বিজেপি যদি ভাইরাস হয়ে থাকে তবে এর ভ্যাকসিন হতে পারে কেবলমাত্র তৃণমুল । সাধারণ জনগণের উদ্দেশে জানিয়ে রাখেন , বিজেপিকে সরাতে লড়াইটা করতে হবে আপনাদেরই । এক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা করবে তৃণমূল কংগ্রেস । তেইশে বিধানসভা নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেস এক ছটাক জমিও ছাড়বে না ।
তিনি মনে করিয়ে দেন , মানুষই গণতন্ত্রের শেষ কথা বলে । মানুষ যদি ভোট দিতে পারেন তবে তেইশে দুয়ারে সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে এখানেও । রাজ্যের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন , ভোটের আগে বেকারদের কর্মসংস্থান নিয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও এখন বেকারত্বে শীর্ষে রয়েছে একের পর এক ত্রিপুরা সহ বিজেপি শাসিত রাজ্য হিমাচল , গোয়া , উত্তরপ্রদেশ , রাজস্থান , গুজরাটের মতো রাজ্যগুলি । এনসিআরপির রিপোর্ট অনুযায়ীও উত্তর – পূর্বাঞ্চলে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের দিক থেকে শিরোনামে উঠে এসেছে এ রাজ্যের নাম । তিনি বলেন , পেট্রোল – ডিজেল সহ রান্নার গ্যাসের দাম এখন আকাশছোঁয়া । শিক্ষা , স্বাস্থ্য , রাস্তাঘাট , পর্যটন সবক্ষেত্রেই এক বেহাল অবস্থা । তাই তার আহ্বান , ‘ কংগ্রেসকে যেমন দেখেছেন এ রাজ্যের জনগণ , তেমনি দেখেছেন বামেদেরও । আর এখন দেখছেন বিজেপিকে । সুযোগ এসেছে এবার , তাই টিএমসিকে দিয়ে দেখুন না । ‘
প্রতিবেশী বাংলাদেশে গত ছয়মাস ধরে চলতে থাকা অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে একেবারে নিঃশব্দে এগিয়ে…
অনলাইন প্রতিনিধি:-প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা করছে না সরকার। জেআরবিটির মাধ্যমে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যেররাজধানী শহর আগরতলার যোগাযোগ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে উড়াল সেতু। শহরের পশ্চিম…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যেরসরকারী স্কুলে পরীক্ষার সূচি প্রকাশ হতেই রাজ্যের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের উপর জুলুমের অভিযোগ উঠেছে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট একটি প্রতীককে ত্রিপুরা সরকারের রাজ্য প্রতীক/লোগো হিসেবে ব্যবহারের…
অনলাইন প্রতিনিধি :-সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকালই বিজেপির দশটি সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের নামে চূড়ান্ত সীলমোহর পড়বে।…