দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি, বিলোনীয়া।।
প্রথমে নিখোঁজ, ছয়দিন পর জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় গৃহবধূ সবিতার পঁচা গলা লাশ। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যে মূল অভিযুক্ত সহ অন্য এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে খুনে ব্যবহার করা ডাট্। যা দিয়ে মাথায় আঘাত করে সবিতা দেবনাথকে হত্যা করা হয়েছিলো। হত্যাকাণ্ড যেখানে সংগঠিত করা হয়েছে, সেই ঘটনাস্থলের কাছে থেকেই বৃহস্পতিবার পুলিশ অভিযুক্ত শ্রীকৃষ্ণ দেবনাথের স্বীকারোক্তি ভিত্তিতে সেই ডাট্ উদ্ধার করে।
জানাগেছে ত্রিকোন প্রেমের (পরকিয়া) পরিণতিতেই প্রাণ দিতে হয়েছে ৪৭ বছর বয়সের সবিতা দেবনাথ কে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে সেসব তথ্যই উঠে এসেছে।
সবিতা দেবনাথ এর প্রতিবেশী অভিযুক্ত কৃষ্ণ
দেবনাথ। সে বিবাহিত এবং তার সন্তানও রয়েছে। অন্যদিকে আরেক প্রতিবেশী চম্পা দেবনাথ। তারও স্বামী সন্তান রয়েছে। সবিতা দেবনাথের(৪৭) স্বামী, পুত্র সন্তান সবই রয়েছে। পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিতে কৃষ্ণ দেবনাথ জানায়, তার সাথে সবিতা দেবনাথের প্রণয় সম্পর্ক ছিল। অনেক দিন ধরেই এই অবৈধ সম্পর্ক । অন্যদিকে নতুন করে কৃষ্ণ দেবনাথ (৪০) প্রতিবেশী চম্পা দেবনাথের (২৯) সাথেও প্রণয় সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। চম্পা দেবনাথ-এর সাথে কৃষ্ণ দেবনাথের এই অবৈধ সম্পর্ক জানতে পেরে সবিতা দেবনাথ অভিযুক্ত কৃষ্ণ দেবনাথের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় কুৎসা রটাতে শুরু করে। এতে কৃষ্ণ দেবনাথ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। সবিতা দেবনাথের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মনে মনে তৈরি হয়। আর কৃষ্ণ দেবনাথকে সহযোগিতায় এগিয়ে আসে নতুন করে প্রণয় সম্পর্ক গড়ে ওঠে চম্পা দেবনাথ।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পূজা হয় সবিতা দেবনাথের বাড়িতে। পরের দিন খাওয়া দাওয়া ছিল পূজা উপলক্ষে।
১৯ তারিখ চম্পা দেবনাথ সন্ধ্যায় সবিতা দেবনাথের বাড়িতে যায়, চা খায়। এই দিনেই সবিতা দেবনাথ বাপের বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বরজ কলোনি বাড়ি থেকে বের হয়। সবিতা বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর চম্পা দেবনাথ ফোনে কৃষ্ণ দেবনাথ কে সেই তথ্য জানায়। এরপর রাস্তায় কৃষ্ণ দেবনাথ সবিতা কে নিয়ে বরজ কলোনী এলাকায় গভীর জঙ্গলে চলে যায়। সেখানে আকন্ঠ মদ্যপান করে। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি ডাট্ দিয়ে সবিতা দেবনাথের মাথার পেছনে আঘাত করে। সবিতা সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
পুলিশ রিমান্ডে থাকা অভিযুক্ত কৃষ্ণ দেবনাথকে নিয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী বৃহস্পতিবার বিকেলে বরজ কলোনী এলাকায় যায়। সবিতা দেবনাথ কে কিভাবে, কোথায় হত্যা করেছে, তা পুনর্নির্মাণ করে দেখায়। ঘটনাস্থল থেকে কৃষ্ণ দেবনাথের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ ডাট্ উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য, উনিশ সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর সবিতা দেবনাথ আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। গত ২৬ সেপ্টেম্বর বরজ কলোনী গভীর জঙ্গল থেকে তার পচাগলা মৃতদেহ পুলিশ উদ্ধার করে। এদিন গভীর রাতেই পুলিশ প্রতিবেশী কৃষ্ণ দেবনাথ ও চম্পা দেবনাথকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। সাতাইশ সেপ্টেম্বর পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে দুই অভিযুক্তকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করে। গ্রেপ্তার হওয়া দুইজন বর্তমানে পুলিশ রিমান্ডে রয়েছে। পুলিশ রিমান্ডে থাকা অবস্থায় টানা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ অনেক তথ্য জানতে পারে। হত্যাকাণ্ডের কিনারা প্রাথমিকভাবে উন্মোচন করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…
২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…