অনলাইন প্রতিনিধি :-কেন্দ্রীয়
সরকারের সাথে ত্রিপুরার উপজাতি জন সমাজের আর্থ সামাজিক অধিকার রক্ষায় ত্রিপাক্ষিক চুক্তির দ্বিতীয় বৈঠক আগামী তেসরা ডিসেম্বর হবে নয়াদিল্লীতে। গত কুড়ি সেপ্টেম্বর দিল্লীতে ত্রিপাক্ষিক চুক্তির শর্তগুলির সঠিক রূপায়ণে কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে প্রথম পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল মথা নেতৃত্বর।কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঠিক তিন মাসের মধ্যেই আবার ত্রিপাক্ষিক চুক্তি বৈঠক হচ্ছে। গত দোসরা মার্চ দিল্লীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পৌরোহিত্যে তিপ্রা মথার সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণের নেতৃত্বে তিপ্রা মথার সাথে বহুচর্চিত ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও ওই সময়ে এই চুক্তি ঘিরে রাজনৈতিক মহলে নানা সংশয় ছড়িয়ে পড়ে।তবে এখন কেন্দ্রীয় সরকার তরফে রাজ্যের উপজাতি জন সমাজের স্বার্থে একের পর এক পদক্ষেপের পর আর কোনও সংশয় থাকছে না।
তিপ্রা মথার সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ জানান, তেসরা ডিসেম্বর ত্রিপাক্ষিক চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের বৈঠক হবে। তাই যারা ত্রিপাক্ষিক চুক্তি নিয়ে মিথ্যাচারে ব্যস্ত ছিলেন তারা এখন হতাশ। এই অংশটি এখন এই ত্রিপাক্ষিক চুক্তি ঘিরে বাঙালি জন সমাজকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তবে এই চুক্তির জন্য বাঙালি জন সমাজের কোনও সমস্যা হবে না। এই সত্যটা রাজ্যবাসী বুঝে গিয়েছেন। এরপরও রাজ্যবাসীকে তিনি সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী এডিসিকে সরাসরি অর্থ প্রদান করবে কেন্দ্রীয় সরকার। ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদকে সরাসরি অর্থ প্রদান করতে হবে। ট্রাইবেল মানুষকে তাদের ভাষার অধিকার, ভূমির অধিকার, আর্থ সামাজিক অধিকার, শিক্ষার অধিকার, অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের অধিকার প্রদান করতে হবে। ১২৫তম সংবিধান সংশোধনী বিল-এর আর্টিকেল ২৩-তে পর্যন্ত ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুমোদন করতে হবে। এটাই হলো গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড সাংবিধানিক সমাধান।
প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ বলেন, ত্রিপুরা বিধানসভায় ছাব্বিশটি আসন সংরক্ষিত করার লক্ষ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছে। এর মধ্যে একটি আসন সংরক্ষিত থাকবে মণিপুরি জনসমাজের জন্য। আর বাকি পঁচিশটি আসন থাকবে উপজাতি জনসমাজের জন্য সংরক্ষিত। তিনি বলেন, ২০২৮ সালে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের আগেই রাজ্যের ষাটটি বিধানসভা আসনের মধ্যে পঁচিশটি আসন রাজ্যের উপজাতি জনসমাজের জন্য সংরক্ষিত করতে হবে। তাই ত্রিপাক্ষিক চুক্তি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে দিল্লীতে বৈঠক হবে।
উল্লেখ্য, তেসরা ডিসেম্বর দিল্লীতে ত্রিপাক্ষিক চুক্তির বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার এবং ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। এদিকে, গত কুড়ি সেপ্টেম্বর বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় বিষয়ের উপদেষ্টা একে মিশ্র, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সচিব, কেন্দ্রীয় সরকারের যুগ্ম সচিব, আইবির যুগ্ম অধিকর্তা, রাজ্য সরকারের আধিকারিক, তিপ্রা মথার সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ, মথার সভাপতি বিজয় কুমার রাংখল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…
২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-আগরতলাগভর্নমেন্ট কলেজের আসন সংখ্যা ৫০ থেকে বেড়ে ৬৩ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। আইজিএম হাসপাতালে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-শারদউৎসব সম্পন্ন হওয়ার পর সামান্য দেরি হলেও বৃহস্পতিবার অনাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যসরকারের সাধারণ ডিগ্রি কলেজে প্রিন্সিপাল পদে নিয়োগ বিশবাঁও জলে। দু'বছর আগে রাজ্য সরকারের…
ভারত বাংলাদেশের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক বদলায়নি। তবে। দুই দেশের মধ্যেকার কূটনৈতিক আদানপ্রদান কমিয়াছে। ফলে দুই…