ত্রিপুরাকে দ্বিগুণ গতি দিয়েছে ডবল ইঞ্জিন: আদিত্যনাথ!!

 ত্রিপুরাকে দ্বিগুণ গতি দিয়েছে ডবল ইঞ্জিন: আদিত্যনাথ!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-ডবল
ইঞ্জিনের সরকার গঠনের আগে ত্রিপুরার পরিবেশ সেভাবে সুরক্ষিত ছিল না। বিজেপি সরকারের হাত ধরে বর্তমানে রাজ্যের সর্বত্র অনুকূল পরিবেশে সবকা সাথ সবকা বিকাশ হচ্ছে। ডবল ইঞ্জিনের সরকার দ্বিগুণ গতিতে এগিয়ে চলেছে।সেই গতিকে আরও বাড়াতে সকলের সহযোগিতা চাইলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সোমবার সিমনা বিধানসভার শান্তিকালী সেবাশ্রমের উদ্যোগে বড়কাঁঠালস্থিত সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের উদ্বোধন এবং বেদ বিদ্যালয়ের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী একথা বলেন। বিজেপি সরকারের কাজের অগ্রগতির তুলনা দিতে গিয়ে বলেন, এক সময় অবহেলিত উত্তরপ্রদেশে বুলডোজার চালিয়ে উন্নতির গতিপথ বাড়ানো হয়েছে।পাশাপাশি হিন্দু ধর্মেরও প্রচারের ধ্বজা উড়িয়ে বলেন,ধর্মকে রক্ষা করলে ধর্ম আপনাকে রক্ষা করবে।প্রধানমন্ত্রী মোদির কাজের ব্যাখ্যায় বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত নতুন পথের দিশা দেখাচ্ছে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশর পবিবেশের ইঙ্গিত করে তিনি বলেন,দেশের অনুকূল পরিস্থিতি নষ্ট করলে কেউ ছাড় পাবে না,বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের মতো।জম্মু কাশ্মীরের পরিস্থিতি বিষয়ে ভারতের কঠোর অবস্থানের উদাহরণ টেনে বলেন, শ্রীকৃষ্ণের হাতে যেরকম বাঁশি রয়েছে, তেমনি সুদর্শনও হাতে রয়েছে।নিজেকে সুরক্ষিত না করতে পারলে কীভাবে অন্যকে সুরক্ষিত করবে।তাই ভারতবর্ষ কৃষ্ণের দুটো রূপকে ধরে রেখেছে। এই মঞ্চে রাজ পরিবারের সদস্য প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণের বক্তব্যের মধ্যে হিন্দুত্ববাদ নিয়ে পরোক্ষভাবে সমালোচনার জবাব দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বুঝিয়ে দিতে চাইলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ দেশের সংস্কৃতি রক্ষা করার চেষ্টা করে যায়।তিনি এও বুঝিয়ে দিলেন নিজের শক্তিকে ব্যবহার করে শত্রু ও মিত্রের পার্থক্য বুঝে নিতে।আবার কংগ্রেসকেও নিশানায় রেখে বলেন,ভারত -পাকিস্তানের বিভাজন স্বীকার করে কংগ্রেস নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করেছিল।কিন্তু বিজেপি সবকা সাথ সবকা বিকাশ-এই মন্ত্রে এগিয়ে চলো।জাতি ও জনজাতি সব স্তরের মানুষের কল্যাণে কাজ করে। তিনি বুঝিয়ে দিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ মানব সেবার জন্যই কাজ করে।
তিনি বুঝয়ে দিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ মানব সেবার জন্যই কাজ করে। তাদের
মধ্যে ভেদভাব চিন্তা নেই।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা বলেন,৩৫ বছরে রাজ্যে নৈরাজ্যের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল।মানুষকে নাস্তিকে পরিণত করে দিয়েছিলো। কিন্তু বর্তমান সরকারের চিন্তাধারায় সেই পরিবেশ এবং পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়ে অগ্রগতি হচ্ছে।ডা.সাহা বলেন,রাজ্যে একটা সময় অস্থিরতার পরিস্থিতি বিরাজমান ছিল।এতে পিছিয়ে গিয়েছে একটা প্রজন্ম।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকার গঠনের পর স্থিতিশীলতা ফিরে আসে।
কারণ ঈশ্বরে বিশ্বাস ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়।ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা বজায় রাখতে হবে।তিনি বলেন, চিত্তরঞ্জন মহারাজের সমাজের প্রতি কাজ ও দায়বদ্ধতার জন্য গর্ব অনুভব করেন।তিনি বিভিন্ন স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেছেন।বর্তমানে প্রায় ২৪ টি আশ্রমে প্রায় ১,৫০০-এর অধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।রাজ্যের অন্যান্য পর্যটন স্থানগুলির মত এই সিদ্ধেশ্বরী মন্দির যেন পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে সেভাবে সবাইকে কাজ করতেও আহ্বান রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী।অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রাজ পরিবারের সদস্য প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ।তিনি অবশ্য ভাষণে পরোক্ষভাবে বিজেপি সরকারকে একটু খোঁচাও দিয়েছেন।তিনি রাজ্যের মানুষের জন্য কাজ করতে সরকার এবং অন্যান্যদের প্রতি আহ্বন রাখেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের শচীন্দ্র নাথ সিং।তিনি ভক্তির সাথে শক্তির সমন্বয়ের আহ্বান জানান।পাশাপাশি সমাজকে জাগ্রত করতেও সকলের সহযোগিতা চাইলেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ বিপ্লব দেব, সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য এবং শান্তিকালী আশ্রমের চিত্তরঞ্জন মহারাজ। তিনি বক্তব্যে শান্তিকালী আশ্রমের প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের পুরনো স্মৃতিগুলি তুলে ধরেন।তার সাথে মন্দিরের সেবা চিন্তাধারার বিষয়গুলিও তুলে ধরেন। কর্মসূচিতে রাজ্য মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন মন্ত্রী এবং বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন। এদিন বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ চার্টাড বিমান নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আগরতলায় আসেন।বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা, প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য সহ অন্যরা। বেলা সাড়ে চারটা নাগাদ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যত্যাগ করেন।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.