সংবাদপত্রে টেণ্ডারের বিজ্ঞাপন, সংক্রান্ত অর্থ দপ্তরের বিতর্কিত সার্কুলার ঘিরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া!!
ত্রিপুরাকে শ্রেষ্ঠ রাজ্য বানাচ্ছে বিজেপি সরকার: সুশান্ত!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদি সবকা সাথ সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াসের স্লোগান দিয়েছেন। আর যেটাকে পাথেয় করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজ্য সরকার চাইছে এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়তে। বৃহস্পতিবার বিধায়ক এলাকা *উন্নয়ন তহবিলের অর্থে রাণীরবাজার পুরপরিষদ ও জিরানীয়া নগর পঞ্চায়েতকে দুটি সর্বসুবিধাযুক্ত অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্স প্রদান এবং রাণীরবাজার পুর পরিষদের বর্তমান পুর কাউন্সিলের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে পিঠাপুলি উৎসব ও পুষ্প প্রদর্শনী প্রতিযোগিতা এবং কাউন্সিলার, চেয়ারপার্সন, ভাইস চেয়ারপার্সনদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে একথাগুলো বলেন খাদ্য পরিবহণ ও পর্যটন দপ্তরেরমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি বলেন, বামফ্রন্ট সরকারের শাসনকালে রাজনীতির রং দেখে মানুষকে সরকারী সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হতো। বামফ্রন্ট সরকারের শাসনকালে বিরোধী দলের সদস্যদের সরকারী ঘর, ভাতা থেকে শুরু করে কোনও সুযোগ দেওয়া হতো না। ২০১৮ সালে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার পর থেকে দল মত ধর্ম বর্ণের ঊর্ধ্বে উঠে নানা সরকারী প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। পূর্বে রক্ত চক্ষু দেখিয়ে মিছিল মিটিংয়ে হাঁটতে বাধ্য করা হতো। বিজেপি সরকারের আমলে তা বন্ধ হয়েছে। মানুষ সরকারের কাজকর্ম দেখে সরকারকে ভালোবেসে সরকারী • নানা সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে স্বেচ্ছায় সভা অনুষ্ঠানে আসছেন। এটাই গণতন্ত্রের জয়। মন্ত্রী বলেন, মহিলাদের অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী করার জন্য বিজেপি সরকার স্বসহায়ক দলগুলোকে নানাভাবে সহায়তা করছে। পূর্বের তুলনায় ঋণ দেওয়া হচ্ছে বেশি বেশি করে। তিনি বলেন,পূর্বতন সরকারের আমলে রাজ্যে প্রায় সাত সাড়ে সাত হাজার স্বসহায়ক দল ছিল। বর্তমানে পঞ্চাশ হাজার ছাপিয়ে গেছে। রাজ্যে লাখপতি দিদি হয়েছেন বহু সংখ্যায়। মন্ত্রী বলেন, জিরানীয়া নগর পঞ্চায়েত ও রাণীরবাজার পুরপরিষদ পুর এলাকার নাগরিকদের চাহিদা পূরণে কাজ করে চলছে।আগামীদিনে সেই কাজকে আরও ত্বরান্বিত করা হবে। তিনি প্রতিটি ওয়ার্ডকে কীভাবে সাজিয়ে তুলে রাজ্যের মধ্যে রাণীরবাজার পুর পরিষদ শ্রেষ্ঠ পরিষদে পরিণত হতে পারে তার জন্য পারিষদের ওয়ার্ডের প্রতিটি জনগণের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজের গতি বৃদ্ধি করার কথা বলেন। এদিনের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, রাণীরবাজার ও জিরানীয়া হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স স্বল্পতার কারণে অনেক সময় রেফার করা রোগীদের নিদৃষ্ট সময়ে হাসপাতালে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে ব্যাঘাত সৃষ্টি হতো। ফলে মানুষের সেবায় দুটি সর্বসুবিধাযুক্ত অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করা হলো বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিলের অর্থে। পূর্বেও জিরানীয়া হাসপাতালে একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করা হয়েছে। মন্ত্রী পুর প্রশাসনকে কীভাবে আরও গণমুখি করে তোলা যায় সেই চেষ্টা জারি রাখার কথা বলেন।এদিন দুদিনব্যাপী পিঠাপুলি উৎসবে স্বসহায়ক গোষ্ঠীর মহিলারা স্টল খুলে বসেন পরিষদদের কর্পোরেটর, চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারপার্সনদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে ছিলেন মহকুমা শাসক শান্তিরঞ্জন চাকমা, রাণীরবাজার পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন অপর্ণা শুক্ল দাস, ভাইস চেয়ারম্যান প্রবীর কুমার দাস, জিরানীয়া নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারপার্সন রতন দাস, সমাজ সেবী গৌরাঙ্গ ভৌমিক, রণজিৎ রায় চৌধুরী সহ অন্যরা।