ত্রিপুরাকে ১০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে বিজেপিঃ মানিক

 ত্রিপুরাকে ১০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে বিজেপিঃ মানিক
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি।। ত্রিপুরার উন্নয়নের গতিকে ১০ বছর পেছনে ফেলে দিয়েছে বর্তমান বিজেপি সরকার। শুক্রবার বাম যুব সংগঠনদ্বয়ের ডাকে আয়োজিত খোয়াইতে একটি সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার এই অভিযোগ তুললেন। খোয়াই শ্রীনাথ বিদ্যানিকেতন স্কুল মাঠে বাম যুব সংগঠন ডি ওয়াই এফ আই এবং উপজাতি যুব সংগঠন টি ওয়াই এফ এর ডাকে একটি জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার।

বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে ত্রিপুরাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। ত্রিপুরার সার্বিক উন্নয়নকে ১০ বছর পেছনে ফেলে দিয়েছে। বিশেষ করে রাজ্যের যুবক যুবতীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে এই সরকার। ১০ হাজার ৩২৩ শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে নির্বাচনের পূর্বে তাদের একাংশকে ব্যবহার করেছিল বিজেপি দল। কিন্তু আজ অব্দি তাদের দিকে ফিরেও তাকায়নি সরকার। এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৩২৩ শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে ১৪৮ জন মৃত্যুবরণ করেছে। রাজ্য সরকার তাদের পরিবারের পাশে তো দাঁড়ায়নি এমনকি দুঃখ প্রকাশ পর্যন্ত করেনি।

মানিক সরকার অভিযোগ তুলে বলেন, বামেদের আমলে রেগা প্রকল্পে যে জায়গায় বছরে ৯৪ দিন কাজ হতো আজ এই সংখ্যাটা ৩৫ থেকে ৪০ দিন। শহরে টুয়েপ প্রকল্পে ১০-১৫ দিনের বেশি কাজ হচ্ছে না। অথচ বামেদের আমলে সেই সংখ্যাটা ছিল ৭০ থেকে ৭৫ দিন। এডিসি এলাকার উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজ্যে এডিসিই তৈরি হতো না বামফ্রন্ট সরকার না থাকলে। আর বর্তমানে রাজ্য সরকার এডিসিকে শুকিয়ে মারছে। এডিসি এলাকায় উন্নয়নের কাজ স্তব্ধ। তিনি দাবি করেন এডিসিতে যতটুকু উন্নয়ন হয়েছিল তা বামেদের আমলই হয়েছিল। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা, পানীয় জলের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সবকিছুতেই উন্নয়ন থমকে আছে।

পাহাড়ি জনজাতিদের আজ মৌলিক চাহিদা মেটাতে সরকারের কাছে দাবি জানাতে হয় রাস্তা অবরোধের মাধ্যমে।
রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনার পাশাপাশি তিনি ওইদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন, বিগত দিনে আমরা সব কাজকর্ম ভালোভাবে করতে পেরেছিলাম তা নয়। মানুষের বাড়িতে বাড়িতে জনসংযোগের জন্য গেলে কেউ যদি পূর্বতন সরকারের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেন, তাহলে তা ভুল হয়ে থাকলে স্বীকার করুন। তাতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংযোগ বৃদ্ধি পাবে।

সন্ত্রাস প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি পরিষ্কারভাবে বলেন ২০১৮ তে সরকার পরিবর্তন হবার পর পুর নির্বাচন, লোকসভা নির্বাচন, উপনির্বাচন ইত্যাদি গুলোতে সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারেনি। ২০২৩এ সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে না রাজ্যের মানুষজন। কারন এই নির্বাচনটা সরকার পরিবর্তনের নির্বাচন। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মোকাবেলা করতে, এমনকি সকল কঠিন পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে তিনি দলীয় কর্মীদের উপদেশ দেন। দীর্ঘ প্রায় এক ঘন্টার ভাষনে তিনি রাজ্য সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করেন। এছাড়াও এই জনসমাবেশে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় বিধায়ক নির্মল বিশ্বাস, প্রাক্তন মন্ত্রী অঘোর দেববর্মা সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.