রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
ত্রিপুরায় কি তৃণমূল কংগ্রেসের ঝাপ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে?
দৈনিক সংবাদ অনলাইন, আগরতলা।। পার্থ -অর্পিতা কান্ডের পর অনুব্রত মন্ডল, বঙ্গ তৃনমূল সরকার এবং দল এখন প্রবল চাপ ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পরেছে। এই দমবন্ধকর পরিস্থিতিতে শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয়, অন্য রাজ্য গুলিতেও দল দারুণ সংকটে। বিশেষ করে ত্রিপুরায় পরিস্থিতি খুবই খারাপ। একের পর এক নেতা দল ছাড়ছেন। দলের রাজ্য সভাপতি সুবল ভৌমিক একপ্রকার ঘরে বসে গেছেন। শোনা যাচ্ছে তাঁর সাথে তৃণমূলের বঙ্গ নেতাদের প্রবল মতানৈক্য তৈরি হয়েছে। সদ্য অনুষ্ঠিত রাজ্যের চার বিধানসভার উপ নির্বাচনে সুবল বাবুর কোনও কথাই নাকি কর্ণপাত করেনি বঙ্গ নেতারা।
উপ নির্বাচনে দলের ফলাফল কি, তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। শোনা যাচ্ছে সুবল বাবুও তৃণমূল ছেড়ে দিতে পারেন।
কিছু দিন আগে দলের এক যুবনেতা বাপ্টু চক্রবর্তী তৃণমূল ছেড়ে পুনরায় কংগ্রেস দলে ফিরে গেছে। সোনামুড়া মহকুমার বাসিন্দা এবং বর্তমানে ত্রিপুরা তৃণমূলের রাজ্য কমিটির অন্যতম সদস্য ধ্রুব লাল চৌধুরীও দল ছাড়ছেন। ইতিমধ্যে তিনি পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন দলের সভাপতির কাছে। একইসাথে পদত্যাগের কপি দিয়েছেন অভিষেক ব্যানার্জি,রাজীব ব্যানার্জি এবং সুস্মিতা দেবকেও।
পদত্যাগ পত্রে ধ্রুব বাবু লিখেছেন,
“বর্তমানে আমি ৫৬ বছর বয়সী একজন তৃনমুল কংগ্রেস রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব। সুদীর্ঘ ৩৭ বছর ডানপন্থী রাজনৈতিক জীবনে রাজনৈতিকভাবে কিংবা সামাজিকভাবে কখনোই নিজেকে দুর্নীতি, অবৈধভাবে রোজগার, কিংবা কোনোধরনের কলঙ্কের অধ্যায়ে নিজেকে জড়াইনি।
রাজনীতিতে এসেছিলাম শুধুমাত্র সম্মান ও দুস্থঃ/ অপারগ/অসহায়/ ও কর্মহীন জনগনদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবো ভেবে।
ভেবেছিলাম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃনমুল কংগ্রেস দলটি দুর্ণীতিমুক্ত একটি দল হিসাবে স্বীকৃত দল হবে।
যেহেতু, দিদি এই দলের নেতৃত্বে আছেন – সেই ভেবে। এইবার উপ-নির্বাচনে দলীয় ফলাফল দেখে আমি আশাহত।
তাছাড়া, এই মুহূর্তে তৃনমুল কংগ্রেস দলে বিশেষ করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো একজন বরিষ্ঠ ও নিষ্ঠাবান নেতৃত্বকে অর্থ ও নারী কেলেঙ্কারি, এই দুই চরিত্রে দেখতে পাবো, তা কল্পনাও করতে পারিনি। পাশাপাশি অনুব্রত মন্ডলের মতো একজন দক্ষ সংগঠককে সিবিআই গরু পাচারকান্ডে গ্রেফতার করেছে। এই সব দেখে আমি আশাহত ও মর্মাহত…!!
আপনার নিকট এবং দলনেত্রী ও দলের যুব আইকন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিকট আমার একান্ত অনুরোধ, আমাকে যেন দলের ত্রিপুরা প্রদেশের কার্য্যকারিনী সদশ্য পদ থেকে অব্যাহতি দেন..!!
তাই, আজ আমি ও আমার সাথে যোগদান করা সকল নেতা কর্মীরা সৎভাবনা ও সজ্ঞানে সর্ব্বভারতীয় “তৃনমুল কংগ্রেস” দল ত্যাগ করতে বাধিত হলাম।
আমি ব্যক্তিগতভাবে যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এই দল ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। “
এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে ত্রিপুরাতেও তৃণমূল কংগ্রেস গভীর সংকটে।