ত্রিপুরার জ্ঞানের আলোকের গল্প মুম্বাই চলচ্চিত্র উৎসবে!!

 ত্রিপুরার জ্ঞানের আলোকের গল্প মুম্বাই চলচ্চিত্র উৎসবে!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-কোন আলোত জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালিয়ে তুমি ধরায় আস! কথাটা শুনতে কাব্যিক মনে হলেও, একযোগে বাংলা ও ককবরক ভাষায় স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য ভারতের একমাত্র ই-লার্নিং একটি মোবাইল অ্যাপ কেমন ভাবে ত্রিপুরার গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে এবং তাতে স্কুলের পড়ুয়ারা কী ভাবে উপকৃত হচ্ছে, সহজতর পদ্ধতিতে স্কুলপাঠ্য হৃদয়ঙ্গম করছে– সেই গল্পই অ্যানিমেশন আঙ্গিকে তথ্যচিত্রে তুলে ধরেছে ‘আহরণ’। ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের সঙ্গে ছবিটি যৌথ ভাবে প্রযোজনা করেছে নেটফ্লিক্স। মুম্বাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে গুলশন মহলে গত ১৬ তারিখ ছবিটি প্রদর্শিত হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে।১৫ জুন থেকে শুরু হয়ে মুম্বাই চলচ্চিত্র উৎসব শেষ হবে কাল, ২১ তারিখ। উৎসবের দ্বিতীয় দিনে ‘আজাদি কি অমৃত কাঁহানিয়া’ সিরিজে ভারতের মাত্র যে তিনটি স্টার্ট-আপ সংস্থার ‘হয়ে-ওঠার’ কাহিনি পর্দায় দেখানো হয়েছে, তার একটি ত্রিপুরার ‘আহরণ’। বাকি দুটি স্টার্ট-আপের ঠিকানা রাজস্থানের উদয়পুর এবং মহারাষ্ট্রের পুণে। অর্থাৎ, সামাজিক উদ্ভাবনের প্রশ্নে আন্তর্জাতিক আঙিনায় রাজস্থান ও মহারাষ্ট্রের পাশে ত্রিপুরায় জায়গা করে নেওয়ার যাত্রাপথ নিশ্চয়ই সহজ ছিল না। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত বছর গোটা দেশ থেকে এক হাজারের বেশি স্টার্ট-আপ তাদের কাজকর্মের উপর আধারিত তথ্যচিত্র তৈরির জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছিল। যার মধ্যে থেকে সমাজসৃজন ও জনহিতার্থে অনুপ্রেরণামূলক তিনটি গল্পের মধ্যে স্থান পায় ‘আহরণ’- এর হয়ে-ওঠার কাহিনি। ২ মিনিট ৮ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের এই ছবিতে আবহ-উ কণ্ঠ দিয়েছেন বলিউড অভিনেতা রাজকুমার রাও। ছবিটি অ্যানিমেশনে তৈরি হলেও, বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, কার্টুন চরিত্রদের পাশে সশরীরে দেখা গেছে আগরতলা-কেন্দ্রিক ‘আহরণ’ স্টার্ট- আপের দুই সহ-প্রতিষ্ঠাতা অমিত ঘোষ এবং দীপ্তনু চক্রবর্তীকে। এত স্বল্প পরিসরে ত্রিপুরার স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে ‘আহরণ’-এর ভূমিকাটি যথাযথ বিধৃত হয়েছে, ছবিটির বিশেষত্ব এখানেই।ছবিটি শুরু হচ্ছে এই ভাবে- সুপার হিরো তারাই, যারা নিজের উর্জা পারিপার্শ্বিক সমাজ ও জনহিতার্থে বিনিয়োগ করেন। এমন হিরো শুধু কল্পনার বুদবুদে নয়, আমাদের চারপাশে বাস্তবের রুক্ষ জমিতেই অবস্থান করেন।এ ছবি দর্শকদের জানায় যে, শিক্ষান্তে অমিত ঘোষ ত্রিপুরা গ্রামীণ উন্নয়ন বিভাগে চাকরি পেয়েছিলেন। কিন্তু তার শিক্ষাব্রতী মনটি নিছক একটি চাকরিকে আবদ্ধ ছিল না। তিনি চাইতেন এমন কিছু করতে যাতে চারপাশের মানবসমাজ কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারে। সেই ভাবনা থেকেই ২০১৯ সালে ‘আহরণ’ পথ চলা শুরু। ছবিতে অমিতের প্রয়াসকে বলা হয়েছে ‘সুপারশক্তি’ এবং সেই শক্তিকে আবার দাবি করা হয়েছে ‘প্রবলেম সলভিং’ বলে।তথ্য-সম্প্রসার মন্ত্রকের ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গুলশন মহলে ‘আহরণ’-এর প্রদর্শন শেষে সেখানে প্রশ্নোত্তর পর্বের একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ‘আহরণ’-কে সংবর্ধনা দেন এনএফডিসির এমডি প্রিথুল কুমার। ছবিটি সম্পর্কে অমিত ঘোষ জানান, যে কেউ এটি ইউটিউবে ‘আহরণঃ আজাদি কি অমৃত কাঁহানিয়া’ লিখে টাইপ করলেই দেখতে পারবেন (সঙ্গের ছবিটি আহরণ-এর একটি ফ্রেম)।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.