বিলোনীয়ার মাটি দুর্জয় খাঁটি বিলোনীয়ার মাটি শিক্ষিত মানুষের মাটি , গণতন্ত্রকামী মানুষের মাটি । বিলোনীয়ার শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন জনগণ রাজ্যের উন্নয়নের দিশা দেখিয়েছে । আগামী দিন হবে তৃণমূল কংগ্রেসের শক্ত মাটি । ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনের কর্মকাণ্ড সোমবার থেকে শুরু হয়েছে । ধমকে চমকে তৃণমূল কংগ্রেসকে দমানো যাবে না । আমরা এমন একটা দল করি , যেটা মমতা ব্যানার্জির দল । যত আক্রান্ত হবে ততো শক্ত হবে তৃণমূল কংগ্রেস । ২০১৮ সালে বাম হটাও , রাজ্য বাঁচাও স্লোগানে সবাই যোগ দিয়েছিল বাম সরকারকে হটাতে । বিজেপি ক্ষমতায় আসার চার বছরে কি পেয়েছে রাজ্যবাসী । নির্বাচনের আগে দেওয়া একটি প্রতিশ্রুতিও পালন করেনি বিজেপি সরকার । কথাগুলি বললেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং ত্রিপুরার সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা তৃণমূলের রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ।সোমবার বিলোনীয়া এক নং টিলায় তৃণমূল কংগ্রেসের এক সভায় বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করেন ।তিনি আরও বলেন , ত্রিপুরাবাসী চেয়েছিল সরকার পরিবর্তনের পর ব্যক্তি স্বাধীনতা পাবে , দুবেলা খেতে পারবে , ঘরে ঘরে পানীয় জল পাবে ,প্রতি ঘরে রোজগার হবে ।
বেকারদের আশা ছিল কর্মসংস্থান হবে , সাধারণ মানুষের স্বপ্নকে চার বছরে চুরমার করে দিয়েছে ত্রিপুরার বিজেপি শাসন ব্যবস্থায়।রাজ্যে নতুন চাকরি তো নেই , তার উপর ১০ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষককে বিনা অপরাধে চাকরিচ্যুত করে দিয়েছে , বিজেপি সরকার । রাজ্যে শিল্প তৈরি হচ্ছে না । স্বাস্থ্য পরিষেবা সম্পূর্ণ রূপ ভেঙে পড়েছে । চিকিৎসার জন্য রাজ্যের জনগণকে বাংলায় ছুটতে হচ্ছে । রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার কথা বলতে গিয়ে বলেন , রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য থেকে স্পষ্ট শিক্ষা ব্যবস্থা কোন্ ধারায় বইছে। যে মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যর্থতার দায়ে কুর্শী থেকে সরে যেতে হয়েছে , রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী সেই মুখ্যমন্ত্রীকে স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে তুলনা করছেন । যে শিক্ষামন্ত্রীর স্বামী বিবেকানন্দ , রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর , নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু সম্বন্ধে ন্যূনতম ধারণা নেই তিনিই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী । এবার মমতা ব্যানার্জীর লক্ষ্য ত্রিপুরা । তৃণমূল সরকারের আমলে পশ্চিমবঙ্গে কীকী উন্নয়ন হয়েছে , ত্রিপুরার জন্য কী কী করবেন তা মমতা ব্যানার্জি নিজে এসে রাজ্যবাসীকে বলে যাবেন । আর তাতেই রাজ্য বিজেপি নেতাদের থরহরিকম্পন শুরু হয়ে গেছে । তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা হুজ্জতি শুরু করে দিয়েছে । পার্টি অফিস ভাঙছে । মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিচ্ছে । দুয়ারেগুন্ডা পাঠাচ্ছে । তিনি বলেন , মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে দুয়ারে দুয়ারে উন্নয়ন পৌঁছে যাবে । আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস বিলোনীয়া সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু হয়েছে । সোমবার বিলোনীয়া শহরে এক নং টিলায় তৃণমূল কংগ্রেসের সভা অনুষ্ঠিত হয় । তার আগে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং রাজ্যে বিজেপি অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিলোনীয়া শহরে তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে ।
১ নং টিলায় পথসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মন্ত্রী , সর্বভারতীয় ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যের ইনচার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় । ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভাপতি সুবল ভৌমিক , সহসভাপতি প্রকাশ চন্দ্র দাস , ত্রিদিব দত্ত , মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি পান্না দেব , সাধারণ সম্পাদক বাণ্টু চক্রবর্তী , ব্লক নেতৃত্ব কাজল বণিক , প্রশান্ত সেন । ১ নং টিলায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি ত্রিদিব দত্ত । তিনি অভিযোগ এনে বলেন , রোদে দাঁড়িয়ে সভা করার কথা ছিলো না ।বিলোনীয়া নতূন মোটরস্ট্যান্ডে অবস্থিত বলাকা গেস্ট হাউসে কর্মী সম্মেলন করার কথা ছিলো । সকাল এগারোটা থেকে তিনটা পর্যন্ত সম্মেলন করার অনুমতিও দেওয়া হয়েছিল । শেষ মুহূর্তে সেখানে সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি । গেস্ট হাউসকে কে বা কারা তালা দিয়ে রেখেছে । বাধ্য হয়ে কাঠফাটা রোদে দাঁড়িয়ে সভা করতে হচ্ছে । তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুবল ভৌমিক বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন , গত ২৫ বছরের বাম অপশাসনে ত্রিপুরাবাসীর যখন নাভিশ্বাস উঠেছিল তখন ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যবাসী দলমত নির্বিশেষে বিজেপিকে সমর্থন জানিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠা করেছিল । কিন্তু বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর মানুষের সমস্ত আশা আকাঙ্ক্ষাকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে বাম শাসনের মতো খুন , রাহাজানি , তোলাবাজি শুরু করেছে । নির্বাচনের আগে যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার একটাও পূরণ করতে পারেনি । কিছুদিন আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তন হয়েছে । কিন্তু কি কারণে মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তন হয়েছে রাজ্যবাসী এখনও জানতে পারেনি । দেড় বছর আগে স্টেট গেস্ট হাউসে হাজার হাজার বিজেপি কর্মী সমর্থকরা স্লোগান তুলেছিল বিপ্লব হটাও , রাজ্য বাঁচাও , তখন মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তন হয়নি । যখন দুর্নীতিতে বিপ্লব সরকার বাম আমলকে ছাপিয়ে গেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বুঝতে পেরে মুখ্যমন্ত্রীপরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে । মুখ্যমন্ত্রী না থেকেও সরকারী কোষাগার শূন্য করে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে চলেছেন । অন্যদিকে , বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী সড়ক পথে চলেছেন । গত আট বছরে ভারতবর্ষে যত নির্বাচন হয়েছে তার প্রায় সবগুলোতে বিজেপি ক্ষমতা দখল করেছে । কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এসে মমতা ব্যানার্জির কাছে বিজেপি দল নাকানিচুবানি খেয়েছে ।ডেইলি পেসেঞ্জারি করেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি , স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডারা বাংলা জয়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পারেনি । বাংলা হারিয়ে গা জ্বলছে বিজেপির । সিবিআই , ইডি , আয়কর দপ্তরকে লেলিয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের পিছনে ।
অনলাইন প্রতিনিধি :-স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ নিতে গিয়ে এমপ্লয়িজ স্টেট ইনশিয়োরেন্স কর্পোরেশন (ইএসআইসি) ভুক্ত সাধারণ কর্মচারী…
২০১৯ সালে করোনা মহামারির পাঁচ বছর পর ফের শিরোনামে চিন।এবার এইচএমপিভি (HMPV) নামক নয়া ভাইরাসের…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যসরকারের বিদ্যাজ্যোতি স্কুলের পড়াশোনাও লাটে উঠেছে। বিদ্যাজ্যোতি স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়ন করছে না শিক্ষা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৫৩ জনের মৃত্যু। তাছাড়াও ৬০ জন আহত হয়েছেন। তবে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-কেন্দ্রীয়সরকারের সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রক ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমার জাতীয় সড়ক নির্মাণের জন্য…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ফ্লোরেন্সনাইটিঙ্গেলের কথা স্মরণ করে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ জন্মগ্রহণ…