ত্রিপুরা এনার্জি ভিশন ২০৩০ রোড ম্যাপ প্রকাশ!!
বৃহস্পতিবার আগরতলা ভুতুরিয়াস্থিত বিদ্যুৎ ভবনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিদ্যুৎমন্ত্রী রতন লাল নাথ ত্রিপুরা এনার্জি ভিশন ২০৩০ রোড ম্যাপের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা ক্রমবর্ধমান। আগামীতে আরও বাড়বে এই চাহিদা । বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে কিভাবে সুচারু ভাবে পরিচালিত করা যায় তা নিয়েই তৈরি হয়েছে এই ত্রিপুরা এনার্জি ভিশন ২০৩০ রোড ম্যাপ। অর্থাৎ আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত ত্রিপুরার বিদ্যুৎ পরিষেবা ও পরিস্থিতি কোন জায়গায় যাবে? তার একটি পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে। ভিশন ২০৩০ রোডম্যাপ মূলত তিনটি ভাগে ভাগ করে করা হবে। এর মধ্যে প্রথমটি স্বল্পমেয়াদী, দ্বিতীয়টি মধ্যমেয়াদী ২০২৫ থেকে ২০২৭ সাল এবং তৃতীয়টি দীর্ঘমেয়াদী ২০২৮ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত। এর মধ্যে ট্রান্সমিশন, ডিস্ট্রিবিউশন, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উন্নয়ন, বিতরণ ইউটিলিটি গুলির আধুনিকীকরণ, বিতরণ পরিকাঠামোর উন্নতিকরণ এবং আন্তঃসীমান্ত পাওয়ার এক্সচেঞ্জের উপর জোর দিয়ে এই রোডম্যাপের লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। এর মধ্যে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, শিল্প বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা এবং সরকার তথা নিগমের জন্য লাভজনক রাজস্ব আদায়ের বিষয়টিও নিশ্চিত কড়ার উপরে জোর দেয়া হয়েছে। এনার্জি ভিশন ২০৩০ এর লক্ষ্য পূরণের জন্য বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গ্যাস-ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দক্ষতার উন্নতি, গ্রামীণ এলাকায় পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির বাস্তবায়ন, ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে আন্তঃরাজ্য ট্রান্সমিশন সিস্টেমকে শক্তিশালী করা, প্রিপেইড স্মার্ট মিটারিং এবং ক্ষতি হ্রাস কার্যক্রমকে অগ্রসর করা, গ্রিড আপগ্রেড করা এবং নেটওয়ার্ক অবকাঠামো উন্নত করা। এছাড়াও বিল পেমেন্ট, নতুন সংযোগ, বিরামহীন ইন্টার অ্যাকশনের জন্য একটি ভোক্তা এনগেজমেন্ট ওয়েব পোর্টালও তৈরি করা হবে। যা রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিষেবা ক্ষেত্র কে ভোক্তাদের কাছে আরো বেশি সহজলভ্য এবং উন্নত মানের পরিষেবা পৌঁছে দিতে সমর্থ হবে। এ ধরনের বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে এনার্জি ভীষণ ২০৩০ রোড ম্যাপে।