ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে লঙ্ঘন নীতিমালা, চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষোভ!!

 ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে লঙ্ঘন নীতিমালা, চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষোভ!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-প্রফেসর
পদে নিয়োগ বন্ধ ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে।অথচ ত্রিপুরা বিশ্যবিদ্যালয়ের কোষাগার থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা খরচ করে আবার অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর এবং অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। তবে আদালতের রাতে বাধ্য হয়ে অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর এবং অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর পদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ নীতি মানা হচ্ছে না। অভিযোগ উল্টো যেদিন অধ্যাপক,অধ্যাপিকা পদে নিয়োগের মৌখিক সাক্ষাৎকার হচ্ছে,সেদিনই তড়িঘড়ি করে অধ্যাপক এবং অধ্যাপিকা পদে নিয়োগপত্র প্রদান করে দিচ্ছে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।যা ভূ-ভারতে ব্যতিক্রম।কারণ দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে যেদিন শিক্ষক শিক্ষিকা পদে ইন্টারভিউ, সেদিনই নিয়োগপত্র প্রদানের প্রথা নেই।এই নিয়ম মানছে না ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।এমনকী কেন প্রায় ৪৫টি প্রফেসর পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ।এ প্রশ্নের উত্তরও ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে নেই।ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর প্রায় তিন বছর আছে অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসার পদে প্রায় ৪৮ জন এবং প্রফেসর পদে প্রায় ৪৫ জনকে নিয়োগের বিজ্ঞাপন দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়।তবে ওই সময়ে সংরক্ষণ নীতি মানা হয়নি।এই অভিযোগে আদালতে মামলা হয়।ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়া মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়।তবে এখন আবার আদালতের রায়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু হলেও আবারও সংরক্ষণ নীতি মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।শুধু তাই নয়, প্রফেসর পদে নিয়োগ বন্ধ রেখে অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এবং অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর নিয়োগের জন্য একটি ইন্টারভিউ কমিটিও করেছে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।এই ইন্টারভিউ বোর্ডের ৮ জন সদস্যের মধ্যে ৫ জন সদস্য আবার বহিঃরাজ্যের।ফলে ইন্টারভিউ বোর্ডের সদস্যদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কোষাগার থেকে খরচ হচ্ছে প্রায় ২ কোটি টাকা।অথচ সারা দেশেই বিশ্ববিদ্যালয়ে একসাথে প্রফেসর, অ্যাসোসিয়েট, প্রফেসর, অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর পদে এক সাথে নিয়োগ হয়। এমনকী এই তিনটি পদে নিয়োগের জন্যে একটিমাত্র ইন্টারভিউ বোর্ড গঠিত হয়। তবে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ পথে যায়নি। উল্টো পরবর্তী সময়ে প্রফেসর পদে নিয়োগের সময় আবার ইন্টারিভউ বোর্ড গঠনের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগার থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা গায়েব হয়ে যাবে।অভিযোগ ইউজিসির নিয়ম লঙ্ঘন করে ইন্টারভিউর দিন অফার বিলি এবং চাকরিতে জয়েনিং-এর জন্যও নানা প্রশ্ন উঠেছে। কারণ রাজ্যে সব ধরনের নিয়োগ বাি প্রক্রিয়ায় এবং টিপিএসসি, টিসিএস, টিপিএস, এবং টিপিএসসি আয়োজিত অধ্যাপক, অধ্যাপিকা, নিয়োগের ক্ষেত্রে সকল চাকরিপ্রার্থীর নাম একসাথে প্রকাশ ও অফার বিলি করা হয়।ফলে এক্ষেত্রে একই পদে চাকরির ক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে সিনিয়র,ও জুনিয়রের কোন সমস্যা নেই।তবে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের স্বজনপোষণ ও বাড়বাড়ন্তের জন্য অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর ও অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর নিয়োগে সিনিয়র এবং জুনিয়রের সমস্যা হচ্ছে।কারণ নিয়োগ প্রক্রিয়ার নীতিমালা অনুযায়ী যেহেতু একটি বিজ্ঞাপন দিয়ে অ্যাসিটেন্ট প্রফেসর পদে প্রায় ৪৮ জন এবং অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর পদে প্রায় ৪৮ জনকে নিয়োগ করা হবে। তাই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ হলে সকলকে একসাথে অফার বিলি করা হবে।কিন্তু এ পথে যাচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।ফলে আবারও বিষয়টি আদালতে যাচ্ছে।যদিও সম্প্রতি ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অধ্যাপক, অধ্যাপিকারা এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার ত্রুটির বিষয়ে উপাচার্যের সাথে দু-বার সাক্ষাৎও করেছেন। তবে কোন পদক্ষেপ হয়নি। উল্টো আবারও সংরক্ষণ নীতি মানা হচ্ছে না। অভিযোগ এই কারণে উপজাতি সংরক্ষিত আসন কমে দিয়েছে।এমনকী ইউআর পোস্ট ওবিসি হয়ে গিয়েছে।এসটি আসন কমে গিয়েছে।এসসি পোস্ট বাতিল হয়েছে।এসটি,এসসি,ওবিসি ওয়েলফেয়ার দপ্তরের অনুমতি পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে সূত্রে খবর ২০০৭ সালের আগে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে উপজাতি সংরক্ষণ ছিল ৩২ শতাংশ আর ২০০৭ সালে তা হয়ে যায় ৭.৫ শতাংশ কিন্তু ২০০৭ সালের আগের ওই ৩২ শতাংশ উপজাতি সংরক্ষিত পদগুলির ব্যাকলগ বর্তমান নিয়োগে নেই।যার ফলে উপজাতি সংরক্ষিত পদ গায়েব। অভিযোগ এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় রাজ্যের যুবক-যুবতীদের মেধা থাকা সত্ত্বেও বহিঃরাজ্যের বেকারদের চাকরি প্রদানে মেলা চলছে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে।ফলে রাজ্যের বেকারদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.