ত্রিপুরার সাহিত্য চর্চায় নয়া ইতিহাস রচনা করেছে উড়ান: জয় গোস্বামী।।
ত্রিপুরা ভবনগুলিতে পরিষেবার মানোন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক।

দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি || বিভিন্ন রাজ্যস্থিত ত্রিপুরা ভবনগুলির পরিষেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সোমবার মহাকরণে পর্যালোচনা বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। এদিনের বৈঠকে পাঁচটি ত্রিপুরা ভবনের পরিকাঠামো সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ও খতিয়ে দেখা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে ভবনগুলির কাঠামো খতিয়ে দেখতে খুব সহসাই ইঞ্জিনীয়ারদের একটি দল খুব সহসাই সর্বত্র যাবে। মেরামতি এবং বিভিন্ন বিষয় সংযোজনের লক্ষ্যেই বাস্তুকারদের দল প্রতিটি ভবনে যাবে।সবকিছু খতিয়ে দেখে ভবনগুলির সংস্কার এবং রিনোভেটের লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেবে।এদিনের বৈঠকে মুখ্যসচিব জে কে সিন্হা,মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের সচিব প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী সহ বিভিন্ন দপ্তরের সচিব এবং আধিকারিকগণ ছিলেন।বৈঠকে ভবনগুলিতে খাবার গুণমান, হাউস কিপিংয়ের সাথে জড়িত কর্মীদের যথাযথ ভূমিকা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিশেষ জোর দেওয়া হয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায়।রাজ্যের পর্যটনের বিকাশে ভবনগুলিকে আরও কীভাবে সুচারুভাবে কাজে লাগানো যায় এলক্ষ্যেও এদিন বিস্তৃত পরিসরে আলোচনা হয়। ত্রিপুরা ভবনগুলির পরিষেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে।এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে উদ্ভূত বিষয় মোকাবিলায় আলোচনা হয়।সাধারণ মানুষকে রেহাই দেওয়ার জন্য ভিন্ রাজ্যে ভবনগুলি গড়ে তোলা হলেও চিকিৎসা সহ জরুরি প্রয়োজনের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ ভবনগুলিতে ঘরের বুকিং পান না— এমন প্রচুর অভিযোগ প্রতিনিয়ত মিলছে।এদিনের বৈঠকে এসব প্রসঙ্গেও আলোচনা হয়।যার প্রেক্ষিতে চিকিৎসার জন্য যারা অন্য রাজ্যে যান তাদের অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে।ভবনগুলির পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাতেও বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।আরও কয়েকটি রাজ্যেও ত্রিপুরা ভবন গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা চলছে। এদিনের বৈঠকে এসব বিষয়েও আলোকপাত করা হয়। মুম্বাইয়ে একটি ত্রিপুরা ভবন গড়ে তোলার পরিকল্পনা স্থির করা হয়েছিল প্রথম বিজেপি আইপিএফটি জোট সরকারের কার্যকালে। বর্তমানে ওই প্রক্রিয়ার গতি অনেকটাই বেড়েছে।যতদুর জানা গেছে, মুম্বাইয়ে সহসাই ভবনের নির্মাণের কাজ শুরু হতে পারে। অন্যদিকে চেন্নাই, ব্যাঙ্গালোর এবং হায়দ্রাবাদেও ত্রিপুরা ভবন চাইছেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ। চিকিৎসার জন্য অনেকেই পাড়ি জমান ওই সব স্থানে।যার প্রেক্ষিতেই রাজ্য সরকার এসব বিষয়ও খতিয়ে দেখছে বলে জানা গেছে।