ত্রিপুরা রাজ্যের মুক্তির রাস্তা আরও প্রশস্ত করার আহ্বান বিপ্লবের!!

 ত্রিপুরা রাজ্যের মুক্তির রাস্তা আরও প্রশস্ত করার আহ্বান বিপ্লবের!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-২০১৮ সালে ত্রিপুরা রাজ্যে মুক্তির জন্য যে রাস্তা তৈরি করেছি সেই রাস্তাকে আরও প্রশস্ত করুন। আমার বিশ্বাস সেই আশা পূর্ণ হবে। আজ নলছড়ে অদ্বৈত মল্লবর্মণ জন্ম শতবার্ষিকীর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব এই মন্তব্য করেন। এই মঞ্চ দাঁড়িয়ে পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের কঠোর সমালোচনায় মেতে উঠেন তিনি। তিনি বলেন সিপিএম অদ্বৈত মল্লবর্মণকে নিজেদের কবি হিসেবে পরিচয় দিতো। একটি বিশেষ পরিচিতিতে রেখে দিতে চেয়েছিলেন। সিপিএম কংগ্রেসকে কে বুঝাবে। তারা কেবল মাও সে তুং কে মানে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দ তাদের কাছে বুর্জোয়া। ভোটব্যাঙ্কের জন্য কেবলমাত্র তাদের জয়গান গায়। সিপিএম দল স্বামী বিবেকানন্দ, বল্লভভাই প্যাটেলকে ভালোবাসেনি। তিনি কোনও সরকারী অনুষ্ঠানে বিজেপি দলের কার্যকর্তাদের কেন মঞ্চে স্থান দেওয়া যাবে না সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন, কেন সমাজসেবী নাম দেওয়া হবে। বিজেপির জাতীয় দল, সব সময় একই প্রথার উপর থাকা যায় না প্রথা ভাঙতে হবে। এদেশে সবার বাক্ স্বাধীনতা রয়েছে বলে অনেক কিছু রয়েছে। কংগ্রেস জরুরি অবস্থা জারি করে ভারতবাসীর বাক্ স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। মোদিকে আটকাবার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিল। বলা হয়েছিল ২০২৪ সালে ক্ষমতায় এলে সংরক্ষণ প্রথা তুলে দেওয়া হবে। অথচ বিজেপি আমলেই সংবিধান দিবস পঞ্চ তীর্থ দিবস পালন করা হয়। যা সিপিএম কিংবা কংগ্রেস আমলে করা হয়নি। বর্তমান কেন্দ্রীয় তপশিলি জাতি তপশিলি উপজাতির সংখ্যা অনেক বেশি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কোনও সংরক্ষণ ব্যবস্থায় এসসি, এসটিকে বেঁধে রাখতে চাননি। অসংরক্ষিত আসনেও এসসি এসটিকে প্রার্থী করেছে। সিপিএম নিজেদের সংরক্ষণের বেড়াজালে নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখতে চেয়েছিল। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর কংগ্রেস সরকার যা করেছে তার জন্য আমাদের ভুগতে হচ্ছে। তিনি বলেন, সিপিএম সংবিধান কতটা জানে। সংবিধানের কয়টা পাতা আছে আর সিপিএম বলতে পারবে না। যে সমাজ থেকে সমাজে সবচেয়ে শিক্ষিত মানুষ দেশের সংবিধান রচনা করেছেন তিনি আম্বেদকর অথচ দীর্ঘ ৬০ বছরের শাসনে কংগ্রেস ওনাকে মর্যাদা দেয়নি। উনাকে ভারতরত্ন উপাধিতে ভূষিত করেনি। ভি পি সিং সরকারের সময়কালে যে সরকার বিজেপির সমর্থনের উপর দাঁড়িয়ে ছিল সেই সরকার আম্বেদকরকে ভারতরত্ন উপাধিতে ভূষিত করে। ইন্দিরা গান্ধী রাজীব গান্ধী নিজেদের ভারতরত্ন হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন অথচ তারা আম্বেদকরকে স্বীকৃতি দেয়নি, তৎকালীন সরকার কেবলমাত্র আম্বেদকরকে নিয়ে রাজনীতি করেছে। জওহরলাল নেহরু প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন মুম্বাই পুরসভার চেয়ারম্যান মোমের তৈরি আম্বেদকরের মূর্তি বসাতে চেয়েছিলেন কিন্তু নেহরু বলেছিলেন কোনও বেসরকারী লোকের মূর্তি সরকারী টাকায় বসানো যাবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার আগে ভারতবর্ষের বাজেট ইংল্যাণ্ডের সময় এর উপর নির্ভর করে পেশ করা হতো। ব্রিটেনের রাণী ভিক্টোরিয়া ভারতবর্ষের বাজেট দেখতেন। ভারতের বাজেট যখন পেশ হতো এ সময় ভারতীয় সময় ছিলো বিকাল পাঁচটা আর ইংল্যাণ্ডের সকাল দশটা। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হয়ে এই ব্যবস্থাকে পাল্টে দিয়েছিলেন। ভারতীয় সময় সকাল দশটাতেই বাজেট পেশ হয়। রেল বাজেট ও সাধারণ বাজেট আলাদাভাবে না করে একসঙ্গে পেশ করা হয়। ২০২৪ সালে নরেন্দ্র মোদিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখার জন্য যে চক্রান্ত হয়েছিল দেশের মানুষ সেই চক্রান্ত রুখে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিপ্লব কুমার দেব।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.