দঃজেলার ৫০%র বেশি গ্রাহকই বিদ্যুতের বিল জমা দেন নাঃ মন্ত্রী!!

 দঃজেলার ৫০%র বেশি গ্রাহকই বিদ্যুতের বিল জমা দেন নাঃ মন্ত্রী!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা গ্রহণকারী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বিল পেমেন্টের বেহাল অবস্থার কথা তুলে ধরলেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতনলাল নাথ। বুধবার রাজনগরে প্রধানমন্ত্রী মুফত বিজলী যোজনায় গ্রাহক রেজিস্ট্রি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ক্ষোভের সাথে বলেন গ্রাহকরা ঠিকভাবে বিদ্যুৎ বিল পেমেন্ট করছে না। প্রচুর বকেয়া পড়ে আছে। শুধু দক্ষিণ জেলা নয় রাজ্যের সব জায়গাতেই বকেয়ার পরিমাণ অনেক। এজন্য তিনি সচেতনতার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। মন্ত্রী আবার এও বলেছেন গ্রাহকরা নিয়মিত সবাই বিদ্যুৎ বিল৬ পরিশোধ না করলেও বিদ্যুৎ দপ্তর এর পরিষেবার উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। বিদ্যুৎ পরিষেবার উন্নয়ন চিত্র গত সাত বছরে সরকার কী কী করেছে তাও তুলে ধরেন। বিদ্যুতের বকেয়া বিলের পরিসংখ্যান তুলে ধরতে গিয়ে দক্ষিণ জেলার যে চিত্র তিনি উল্লেখ করেন তাতে দেখা গেছে বিলোনীয়ায় বিদ্যুৎ গ্রাহক সংখ্যা ২০ হাজার ৩৬৫ জন।বিল পেমেন্ট করছেন আট হাজার ১৪৬ জন। বোকাফা এলাকায় বিদ্যুৎ গ্রাহক সংখ্যা ২৪ হাজার ৬৭ জন।বিল পেমেন্ট করেছেন ৭২৮০ জন।ঋষ্যমুখ এলাকায় গ্রাহক সংখ্যা ৭৩১৫।বিল পেমেন্ট করছেন মাত্র ৩৫১১ জন।জোলাইবাড়ি ১৪৩৬৭ গ্রাহক সংখ্যার মধ্যে নিয়মিত বিল পেমেন্ট করছেন ৪৭০৮ জন। সাব্রুমে বিদ্যুৎ গ্রাহক সংখ্যা ১৮ হাজার ৩০৫ জন। নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পেমেন্ট করছে ৬৫৯২ জন। সাতচান এলাকায় ১৫৯৩৮ জন বিদ্যুৎ গ্রাহকের মধ্যেয় ৩৯৮৫ জন বিল পেমেন্ট করছেন। রাজনগরে ১৭৪০৯ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৬৩ জন বিল জমা দিয়েছেন। অর্থাৎ গড়ে ৪৮ শতাংশ বিদ্যুৎ গ্রাহক বিল পরিশোধ করছেন বলে মন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করে।বিদ্যুৎ পরিষেবার উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ১৩২ কেভি স্টেশন আগে ছিল বারোটা।এখন ১৯টা লাইন সম্প্রসারিত কিলোমিটারের হয়েছে জায়গায় ৮৮৫ কিলোমিটার। ৩৩ কেভি সাবস্টেশন আগে ছিল ৪২টা ৭ বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫টা।লাইনের সম্প্রসারণ হয়েছে ১৪৫৩৭ এর জায়গায় ১৮৮৫৬ কিলোমিটার। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ পরিষেবার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তারও তথ্য তুলে ধরেন।
মন্ত্রী বক্তব্যে বলেন, রাজ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ধীরে ধীরে কমছে রুকিয়া বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে আগে উৎপাদন করত ৬৩ মেগাওয়াট এখন হচ্ছে ১৯ মেগাওয়াট পালাটানায় ৭২৬ মেগাওয়াটের জায়গায় এখন উৎপাদন হচ্ছে ৫২০ মেগাওয়াট।রামচন্দ্রঘাটে ১৩৫ মেগাওয়াট।রামচন্দ্রনগর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে ১৩৫ মেগাওয়াটের জায়গায় এখন এসে দাঁড়িয়েছে ৮০ মেগাওয়াট উৎপাদন। ডম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে গত বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে ১৫৩০ মেগাওয়াট উৎপাদন বাড়াতে।
মন্ত্রী বলেন, রাজ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বিভিন্ন মাধ্যমে কমছে। ডম্বুর জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা কমছে। কারণ গ্যাসের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমে আসছে। প্রধানমন্ত্রী মুফত বিজলী যোজনা (সোলার ভিত্তিক) এই প্রকল্পের উপর রাজ্য সরকার এবং সচেতনতার উপর গুরুত্ব দিয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে একদিকে যেমন গ্রাহকরা নিজেরাই নিজেদের বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হবে। বিদ্যুৎ বিল পেমেন্ট করতে হবে না অন্যদিকে বাড়তি উৎপাদন করলে তা সরকারের কাছে বিক্রি করতে পারবে। পারিবারিক আরও বাড়বে। সবার প্রতি এই প্রকল্পে এগিয়ে আসার জন্য মন্ত্রী আহ্বান জানান।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.