দেওয়ালির আগে বাজারে সোনার মিষ্টি, ১ কিলো ১১০০০ টাকা!
আক্ষরিক অর্থেই মহার্ঘ মিষ্টি। যাকে বলে সোনার জল দিয়ে বাঁধানো মিষ্টি। দামও সে রকম। ১ কিলো , সোনার মিষ্টির দাম ১১০০০ টাকা । মহারাষ্ট্রের অমরাবতীর বাজারে এই মিষ্টি বিক্রি হচ্ছে। দীপাবলির আগে কার্যত হট কেকের মতো বিক্রি হচ্ছে সোনার মিষ্টি। কেনার লোকেরও চবে কী অভাব নেই। ১১ হাজার টাকার এই মিষ্টি এই মুহূর্তে আমরাবতীতে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। ড্রাই ফ্রুটের আবিষ্ক সঙ্গে সোনার প্রলেপ দিয়ে তৈরি করা এই মিষ্টি। শুধু কিনতেই নয়, কাচের শো কেসের বাইরে দিয়ে এই মিষ্টি দেখতেও দেদার ভিড় করছেন উৎসাহী মানুষ। দোকানদার জানান, ২০২২ সালের দীপাবলিকে সামনে রেখে বিশেষভাবে এই মিষ্টি তৈরি করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে রঘুবীর মিষ্টির দোকান এমনিতেই দারুণ জনপ্রিয়। সেই দোকানের দীপাবলির প্রধান আকর্ষণ ‘সোনার মিষ্টি। এমন মিষ্টি যার মস্তিষ্ক প্রসূত সেই কারিগরের নাম চন্দ্রকান্ত পোপট। কী জাদু আছে এই মিষ্টিতে? চন্দ্ৰকান্ত বলেন, এই মিষ্টিটি ড্রাই ফ্রুট থেকে তৈরি করা হয়েছে। তারপর এতে দেওয়া হয়েছে সোনার প্রলেপ। সোনার প্রলেপ খেলে মানুষের শরীর উত্তরবঙ্গে খারাপ হবে না ? চন্দ্রকান্ত দাবি করেন, ‘বরং উল্টোটা। আয়ুর্বেদ প্রমাণ করেছে সোনা মানুষের স্বাস্থ্যের অত্যন্ত উপকারী। বিশেষত সোনার নির্যাস স্বাস্থ্যের জন্য আরও ভাল। তাই এই মিষ্টি শুধু চোখের শোভা নয়, স্বাস্থ্যেরও শোভা।’ চন্দ্রকান্ত জানান, বাদাম, পেস্তা এবং অন্যান্য ড্রাই ফ্রুট হল এই মিষ্টির কাঁচামাল। দোকানে এই মিষ্টির স্বাদ নিতে আসা জনৈক গ্রাহক সুরেশ শিন্ডে রসিকতার সুরে বলেন, ‘এই দিওয়ালিতে বাজি কম ফাটান, কিন্তু এই মিষ্টি অবশ্যই ট্রাই করুন। সোনার মিষ্টি, স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভাল।’