অনলাইন প্রতিনিধি :- বর্তমানে দুর্নীতির আঁতুড় ঘর হয়ে উঠেছে ধর্মনগর ডিডব্লিউএস মহকুমা অফিসটি। অফিসে চলছে নানা অনৈতিক কাজকর্ম এবং সরকারী অর্থের হরির লুঠ। বিভিন্ন মহল থেকে এমনই অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। কেন্দ্রের মোদি সরকার যখন এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে, একইসাথে রাজ্যের ডবল ইঞ্জিনের সরকার যখন এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে চলেছে, তখন ওই অফিসের কিছুদুর্নীতিগ্রস্ত কর্মচারী অফিসটিকে ঘুঘুরবাসা বানিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের সর্বনাশ ডেকে আনছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খোদ দপ্তরের আদেশ উক্ত অফিসে কলাপাতা বলে বিবেচিত হয়। এমনই এক প্রমাণ পাওয়া গেল গত ৩১ জানুয়ারী। জানা গেছে, গত ২৭ জানুয়ারী এই অফিসের কর্মরত এসডিও সুবোধ ধর প্রয়াত হয়েছেন। সুবোধ ধর জীবিত ও প্রচণ্ড অসুস্থ থাকা অবস্থায় রাজ্যের পূর্ত দপ্তরের সহকারী সচিবের আদেশ মূলে একই অফিসের সহকারী ইঞ্জিনীয়ার সুভাষ দেবনাথকে ওই স্থানে স্থলাভিষিক্ত করা হয়। অভিযোগ,সেই সময় থেকে সৎ ও সহজ সরল সুভাষবাবুকে এই দায়িত্বভার গ্রহণ করতে বাধা দেয় এবং মানসিকভাবে নিগৃহীত করে কতিপয় ঠিকাদার সহ । তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা। সুবোধবাবুর মৃত্যুর পর স্বাভাবিকভাবেই দায়িত্বভার গ্রহণ করার কথা সুভাষ বাবুর। কিন্তু তিনি – সুবোধবাবুর মৃত্যুর পর সেখানে দায়িত্বভার গ্রহণ করতে গেলে পুনরায় বাধা দেওয়া হয়। অভিযোগ, এর পেছনে প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে অফিসেরই এক বিত্তশালী জুনিয়র ইঞ্জিনীয়ার। যিনি বাম আমলে বড় কমরেডের ভূমিকা পালন করলেও বর্তমানে তিনি তিলকধারী রামভক্ত। ২০০৯ সালে তিনি ধর্মনগর ডিডব্লিউএস মহকুমা অফিসে যোগ দেন। রাম আমলে বছর খানেক আগে অন্যত্র বদলি হলেও, নিজের প্রভাব কাটিয়ে তিনি একই অফিসে দিব্বি আছেন দীর্ঘ বছর ধরে। উনাকে কেউ কিছু বলার সাহস নেই, কারণ তিনি বর্তমানে শাসক দলের ছত্র ছায়ায় লাল থেকে গেরুয়া হয়েছেন। আর এর পেছনে কাজ করছে প্রচুর টাকা এমনটাই অভিযোগ। বর্তমানে তিনি এতোটা ক্ষমতা রাখেন, দপ্তরের আদেশ অমান্য করে যে কাউকে চাইলেই তিনি অফিসের এসডিও পদে বসাতে পারেন। যেমনটা হয়েছে সুভাষ বাবুর ক্ষেত্রে। ফলে সুভাষ বাবু ঝামেলায় না জড়িয়ে একই অফিসে চুপ করে বসে আছেন। কারণ তিনি জানেন এর প্রতিবাদে করতে গেলে উনার ক্ষতি হতে পারে। রাজ্য পূর্ত দপ্তরের সহকারী সচিবের আদেশে সুভাষবাবুকে ওই অফিসে এসডিও পদে দায়িত্বভার গ্রহণ করার আদেশ বলবৎ থাকলেও, পরবর্তীতে সুভাষবাবুর জায়গায় ধর্মনগর ডিভিশনের কার্যনির্বাহী প্রকৌশলী মনোরঞ্জন দেববর্মার আদেশে ধর্মনগর মহকুমা অফিসের এসডিও পদে বসেন মোহাম্মদ সোহেল আহমেদ। মোটা টাকার বিনিময়ে এই আদেশ জারি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, তিনি ওই জুনিয়র ইঞ্জিনীয়ারে- খাস লোক। এই লজ্জাজনক ঘটনায়, ভয়ে কেউ মুখ খুলতে না পারলে ধর্মনগরের সাধারণ মানুষ সহ অফিসের অন্যান্য কর্মচারীরা এর তীব্র নিন্দা জানান আরও বিস্ময়কর ঘটনা হলো, এই ঘটনায় রহস্যজনকভাবে দপ্তরও চুপ। এ ব্যাপারে সুভাষবাবুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছু বলতে চাননি।
অনলাইন প্রতিনিধি :-শুক্রবার রাতভর ইউক্রেনের একাধিক শহরে ৪০০-র বেশি ড্রোন এবং অন্তত ৪০ মিসাইলের মাধ্যমে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ফের একবার জুন মাসে রাজ্য সফরে আসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । সূত্রের…
অনলাইন প্রতিনিধি :-কর্নাটকের শিবমোগা জেলার সমাজকর্মী এএম বেঙ্কটেশ ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে অভিযোগ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-কেদারনাথ যাওয়ার পথে ঘটল বিপত্তি। ছয়জন পুণ্যার্থী নিয়ে কেদারনাথ যাওয়ার পথে রাজপথেই জরুরি…
অনলাইন প্রতিনিধি :-পবিত্র ঈদুল আজহার দিনেও থেমে থাকল না গাজার মৃত্যমিছিল। স্থানীয় চিকিৎসা সূত্রের দাবী,…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পবিত্র ঈদুল আজহারে তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। একটি বন্দিদের জন্য…