অনলাইন প্রতিনিধি :-ভোটমুখী ছত্তিশগড়ের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন,’প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অম্ল যোজনার অধীনে আগামী আরও পাঁচ বছর ধরে ৮০কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে।
এর পরেই এ নিয়ে যথারীতি বিজেপি নেতারা ছত্তিশগড়ের পাশাপাশি ভোটমুখী আরও তিন রাজ্য রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানায় প্রচারে নেমে পড়েছেন।সেটাই স্বাভাবিক।গরিব কল্যাণে সিদ্ধাস্ত তাই কোনও রাজৈনতিক দলই প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার বিরোধিতা করেনি।কেউ নির্বাচনি আচরণ বিধিভঙ্গের অভিযোগে তোলেনি।কেউ এমন প্রশ্ন তোলেননি যে, স্বাভাবিক নিয়মে যে সিদ্ধান্ত সংসদে কিংবা মন্ত্রিসভায় আলোচনা সাপেক্ষে প্রশাসনিকভাবে ঘোষিত হওয়ার কথা ছিল,তা নির্বাচনি -জনসভায় কেন ঘোষিত হলো।আদলে,নির্বাচন কেবল শাসকদলের নয়, বিরোধীদের কাছেও সমধিক বালাই। অতএব,দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসকের মুখ এমন সাধু ঘোষণার পরে এই প্রশ্নটিও অনর্থক।ভোট সত্যিই বড় বালাই।প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদের উদ্দেশে রেউড়ি রাজনীতি’ ভেঙে বললে খয়রাতি রাজনীতির সমালোচনা করলেও,অন্যান্য রাজনীতিকের মতো ভোট হাওয়ায় গরিবদের উপহার দেওয়ার তাগিদ এড়াতে পারেননি।বস্তুতই, এখানে সমালোচনার অবকাশ নেই। গরিব মানুষের পেটের ভাত নিশ্চিত হয় তেমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানোই সকলের কর্তব্য।দরিদ্র জনতার খাদ্য সুরক্ষার বিষয়টিকে শাসক ও বিরোধী উভয়পক্ষেই রাজনৈতিক হাতিয়ারের বদলে যদি উন্নয়নের মৌলিক শর্ত হিসাবে দেখে, তার চেয়ে মঙ্গল আর কি হতে পারে।এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল, লোকসভা নির্বাচনের আগে এক বছর বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে। এখন নির্বাচনের হাটে সেটাই বেড়ে হয়েছে আরও পাঁচ বছর। তবে এর জন্য রাজকোষে যে বিরাট বোঝা বাড়বে, তা নয়।এমনকি,করোনাকালে খাদ্য সুরক্ষা যোজনার ভর্তুকি বাবদ যে অর্থ খরচ হচ্ছিল, বরং তার তুলনায় খরচ কমছে ১৭শতাংশ।এর কারণ হলো, লকডাউন-উত্তর পূর্বে প্রধানমন্ত্রর গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনায় যে বাড়তি রেশন দেওয়া হচ্ছিল,তা পরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।দেশে যখন কোভিডের গ্রাসে গ্রস্ত, তখন বিশেষত গরিব পরিবারকে সুরাহা দিতে শুরু হয় প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা।সেই সময় দুই থেকে তিন টাকা কিলো দরে মাসে মাথা পিছু পাঁচকিলো রেশনের উপর পাঁচ কেজি করে অতিরিক্ত খাদ্যশস্য রেশন হিসেবে দেওয়া হতো। প্রধানমন্ত্রীর সেই সিদ্ধান্তের ফলে বিপুল ভারতবর্ষের অগণিত গরিব মানুষ ওই সঙ্কটকালে অন্তত খাদ্যভাবে ভোগেননি।২০২২ সালে ডিসেম্বরে কেন্দ্র ঘোষণা করে, বাড়তি রেশন আর দেওয়া হবে না। তবে, আগে যেমন রেশনে মাথাপিছু পাঁচ কিলো করে চাল /গম বিনামূল্যে দেওয়া হতো, সেই নীতি অপরিবর্তিত থাকবে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, আরও পাঁচ বছর ‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনায় বিনামূল্যে রেশন চালিয়ে যেতে আগামী অর্থবর্ষে বাজেটে ৭শতাংশ বেশি খরচ করতে হবে।চলতি অর্থ বছর অর্থাৎ ২০২৩-২৪ সালের বাজেটে খাদ্য ভর্তুকিকে বরাদ্দের পরিমাণ ১ লক্ষ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।বছর শেষে নাকি সংশোধিত খরচ বেড়ে হবে ২ লক্ষ ২৩ হাজার কোটি টাকা। খাদ্য নিগম বাজারে চাল-গমের দাম জরিপ করে মনে করছে, আগামী অর্থবর্ষ অর্থাৎ ২০২৪-২৫ সালে খাদ্য ভর্তুকিতে খরচ করতে হবে ২ লক্ষ ৩৯ হাজার কোটি টাকা। যার অর্থ, চলতি বছরের তুলনায় মাত্র ১৬ হাজার কোটি টাকা বা ৭ শতাংশ বেশি।ইউপিএ সরকারের খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী, শহরের ৫০ শতাংশ এবং গ্রামের ৭৫ শতাংশ মানুষের বিনামূল্যে রেশন পাওয়ার কথা। ২০১১ সালের জনগণনার ভিত্তিতে ৮০ কোটি মানুষকে রেশন দেওয়া শুরু হয়েছিল।২০২১এ জনগণনা হয়নি।এতদিন জনসংখ্যা বেড়ে ১৪০ কোটি ছাড়িয়েছে বলে অনুমান।সেই প্রেক্ষাপটে অন্তত ৯০ খাদ্য সুরক্ষার আওতায় আসার কথা।অথচ বাড়তি দশ কোটি মানুষ গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনায় নেই।হিসাবের বিশ্লেষণ বাহ্য, মূল কথা খাদ্য একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার।প্রতিটি মানুষের মুখে অন্ন জোগানের ধর্ম থেকে কোনও কল্যাণকামী রাষ্ট্র বিচ্যুত হতে পারে না।যে কোনও সরকারকেই এ দায়িত্ব গ্রহণ করতে হয়। তাই ভোটবাজারে এই ঘোষণা উপহার নয়,নয় দয়ার দান, এটি রাষ্ট্রের আবশ্যিক কর্তব্যসমূহের অন্যতম।
অনলাইন প্রতিনিধি :-বাংলায় চুনি, ইংরেজিতে রুবি।চুনির রং কতটা টকটকে লাল, তার উপর এই মানিকের দাম…
অনলাইন প্রতিনিধি :-চাঁদারজুলুম নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে তথাকথিত সুশাসনের রাজ্যে প্রশাসনের নির্লজ্জ দ্বিচারিতা প্রকাশ্যে এলো।…
কেন্দ্রে ১০০ দিন পূর্ণ করল তৃতীয় মোদি সরকার।যদিও বর্তমান ক্ষমতাসীন কেন্দ্রীয় সরকারকে মোদি সরকার আখ্যা…
নিগো বাণিজ্যের রমরমা চালানোর জন্যই কি ১৮ সালে রাজ্যের মানুষ বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো?রাজ্যের আকাশ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-এয়ারইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের কর্মীর চরম গাফিলতি ও উদাসীনতার কারণে রীতা বণিক (৫৯) বিমান যাত্রীর…
হরিয়ানা কি বিজেপির হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে?শাসক বিজেপির হাবভাব দেখে তেমনটাই অনুমান করছে রাজনৈতিক মহল।প্রধানমন্ত্রী…