দলবদলের শেষদিনে ময়দানে টাউন, কল্যাণ
টাউন ক্লাব , কল্যাণ সমিতি , স্কাইলার্ক একেবারে শেষদিনে এসে ঘরোয়া ক্লাব ফুটবলের দলবদল পর্বে যোগদান করলো । তবে নাইন বুলেটস , সরোজ সংঘ , কেশব সংঘ , সবুজ সংঘ , আমরা কজনাকে আজ শেষদিনেও নিজেদের দল গোছাতে বা কোনও ফুটবলারকে ছাড়পত্রে সই করাতে টিএফএ মুখো হতে দেখতে পাওয়া গেলো না । এক সময়ের সেরা ফুটবল দল কৃষ্ণনগরের নাইট বুলেটস ক্লাব এবার একজনকেও সই করায়নি । কেন কি কারণে তা ফুটবল মহলেও অজানা । তবে তারচেয়ে বেশি অবাক হওয়ার বিষয় হলো সরোজ সংঘ এবারও দলবদলের বাইরে রাখলো নিজেদের । গত বছর আর্থিক সঙ্কটের জন্য ‘ বি ’ ডিভিশন লীগে দলই মাঠে নামায়নি । যে কারণে তাদের ‘ সি ’ ডিভিশনে অবনমন হয় । কিন্তু এবারও ‘ সি ’ ডিভিশনে তারা মাঠে নামবে কিনা তা নিয়েও কারোর কাছে খবর নেই । অথচ একটা সময় ময়দানে অন্যতম শক্তিশালী ও লড়াকু দল হিসাবে জগহরিমূড়ার সরোজ সংঘের বেশ জগহরিমুড়ার সরোজ নামডাকই ছিল । শুধু স্থানীয় ফুটবলারই নয় , বহি:রাজ্যের অনেক নামীদামি ফুটবলার সরোজ সংঘের জার্সিতে মাঠ মাতিয়ে গিয়েছিল । কিন্তু কালের স্রোতে এখন যেন সবই ভাটার টানে । এছাড়া অবাক কাণ্ড , সবুজ সংঘ , কেশব সংঘ ও আমরা কজনাও এবার দলবদলের বাইরে রাখলো । টাউন ক্লাব দলবদলে অংশ নেবে কি নেবে না এই নিয়েও একটা সংশয় ছিল টাউন ক্লাব সমর্থকদের মধ্যে ।
আজ শেষদিনে টাউন ক্লাব দলবদলে অংশ নেওয়ায় সংশ্লিষ্ট মহালও স্বস্তির নি : শ্বাস । ময়দানে টাউন ক্লাবের সমর্থক কিন্তু খুব কমও নয় । এদিকে , উমাকান্ত মাঠে অ্যাস্ট্রো টার্ফ বসানোর কাজ জুলাইয়ে শেষ হবে ধরে নিয়ে টিএফএ তার ঘরোয়া ফুটবল আগষ্ট কি সেপ্টেম্বর মাসে কাজল স্মৃতি স্কুল ফুটবল দিয়ে শুরু করার পরিকল্পনায় থাকছে । যদিও জুলাইয়ের মধ্যে উমাকান্ত মাঠ ফুটবলারদের জন্য কবে উন্মুক্ত হবে তা সময়ই বলবে । এদিকে , এ বছর বেশ কয়টা দল দলবদলে অংশগ্রহণ না করলেও গত বছরের চেয়ে এ বছর কিন্তু দলবদলের ছাড়পত্রে ফুটবলারদের সইয়ের সংখ্যা বেশিই । গেলো বছর মোট ২৩৩ জন ফুটবলার ছাড়পত্রে সই করেছিল । এবার এর থেকে ৭ জন বেশি করলো অর্থাৎ ২৪০ জন । আগামীকাল একদিনের জন্য থাকছে সই প্রত্যাহারপর্ব । এদিকে , নাইন বুলেটস , কেশব সংঘ , সরোজ সংঘ , সবুজ সংঘ , আমরা কজনা দলবদলে অংশগ্রহণ না করায় তাদের পুরানো দল নিয়েই মাঠে নামতে হবে । তবে প্রশ্ন হচ্ছে , তারা কি এবার মাঠে নামবে ? এদিকে , আজ দলবদলের শেষদিনে মোট ২৩ জন ফুটবলার ছাড়পত্র সই করে পুরানো ক্লাব ছেড়ে নতুন ক্লাবে যোগ দেয় । টাউন ক্লাব আজ মোট তিনজনকে সই করায় । এরা হলো রাকেশ রিয়াং , অভিনব হালাম , অভিনব কল্যাণ সমিতি থেকে এবং রাকেশ সবুজ সংঘ ছেড়ে টাউনে সই করে ।
‘বি’ ডিভিশনের দল কল্যাণ সমিতিও শেষদিনে চারজনকে সই করিয়ে নেয় । একটা সময় কল্যাণ সমিতি দলবদলে অংশ নেবে কিনা এ নিয়ে বেশ সংশয়ই ছিল । শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয় । এ দিন কল্যাণ সমিতিতে যে ৪ জন সই করেছে এরা হলো , মৌচাকের পরিমল দেববর্মা , ত্রিবেণীর হৃদয় ত্রিপুরা , কেশব সংঘের বিশ্বজিৎ রিয়াং । স্কাইলার্ক ক্লাবে সই করে ইউবিএসটির দীপু দেববর্মা ও এনএসআরসিসির এলেক্স ডার্লং ও বিপ্লব ত্রিপুরা । বিবেকানন্দ ক্লাবে সই করে নাইন বুলেট্স ক্লাবের বাবিদ দেববর্মা , অনিমেষ দেববর্মা এবং হেমন্ত দেববর্মা । ইউবিএসটি ক্লাবে সই করে এনএসআরসিরি দুলাল দেববর্মা ও বিবেকানন্দ ক্লাবের অভিষেক ধানুক । অবশ্য ইউবিএসটি ছেড়ে আনন্দ ভবনে সই করে দুষ্মন্ত রিয়াং , বীরেন্দ্র ক্লাবে সই করেছে এগিয়ে চলো সংঘের জাবেদিয়া ডার্লং । উমাকান্ত কোচিং সেন্টারে সই করেছে বিবেকানন্দের নিমাই দেবনাথ । ভারতরত্ন সংঘে সই করেছে রামকৃষ্ণ ক্লাবের রকিত দেববর্মা । আনন্দ ভবনের রিপন দেববর্মা সই করে এনএসআরসিসিতে , মৌচাক ক্লাবের প্রদীপ বর্মণ সই করে ত্রিবেণী সংঘে । এদিকে , শেষদিনে মহিলা ফুটবলে ত্রিপুরা স্পোর্টস স্কুল ছেড়ে বিশ্রামগঞ্জ প্লে সেন্টারের পক্ষে সই করে লাললুংমুই ডালিং ।