দলীয় প্রার্থীদের প্রচারে ১১ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী।
দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি।। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফের রাজ্য সফরে আসছেন। এদিন তিনি উদয়পুর ও আমবাসায় দুটি সভা করবেন। মূল লক্ষ ত্রিপুরায় দ্বিতীয়বারের জন্য দলকে ক্ষমতায় নিয়ে আসা। আমবাসাতে প্রধানমন্ত্রীর আসাকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না দলের জেলা এবং মন্ডলের নেতারা। ১১ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী কোথায় ভাষণ দেবেন,জায়গার সংকুলান,সব বিষয় খতিয়ে দেখতে ৭ ফেব্রুয়ারি আমবাসায় আসেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা। পরিদর্শন করেন জনসভার স্থলটি। ৮ ফেব্রুয়ারি পুনরায় দলের উত্তর পূর্বাঞ্চলের দায়িত্বে থাকা ইনচার্জ সম্বিত পাত্রা হেলিকপ্টার যোগে আমবাসা এসে স্বপার্ষদ জনসভাস্হলটি ঘুরে দেখেন। এদিন দলের ইনচার্জ সম্বিত পাত্রার সঙ্গে ছিলেন জনজাতি মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সমীর ওরাং দলের প্রদেশ কমিটির সহ-সভাপতি তাপস ভট্টাচার্য, ধলাই জেলা সভাপতি পরিমল দেববর্মা,অজয় অধিকারী,মৃদুল দত্ত,বাবুল দাম প্রমুখ। প্রধানমন্ত্রীর জনসভায়২৫ হাজার মানুষের উপস্থিতির কথা জানান ধলাই জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। জানা গেছে জেলার রাইমাভ্যালি, কমলপুর, সুরমা, আমবাসা, মনু এবং ছামনু থেকেই লোক আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত,২০১৮ সালে ধলাই জেলার ছয়টি বিধানসভা আসন বিজেপির পক্ষে বহুজনের আশীর্বাদ নিয়ে বিধানসভায় গিয়েছিল। এবারো পাঁচ বছরের কাজের নিরিখে ভোট চাইছে বিজেপি। এবারও ছয়টি আসন নিজেদের অনুকূলে রাখার সর্বতো চেষ্টা করছেন দলের রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে
চূড়ান্ত রূপ দিতে ইতিমধ্যেই জেলার প্রতিটি বিধানসভার প্রত্যেকটি বুথ এলাকায় জোর প্রচারে নেমেছে মন্ডল সহ বিভিন্ন মোর্চার নেতৃত্ব। লক্ষ্য কিন্তু পাহাড় বাসীর ভোট। যা নিয়ে পাহাড়ের প্রতিটি অলিগলিতে পৌঁছে গেছে জনজাতি মোর্চার নেতৃত্ব। আমবাসার অনতিদূর কুলাই ঠাকুরপল্লীর কৃষিজমিকে তৈরী করা হচ্ছে জনসভার জন্য। চারিদিকে সাঝ সাঝ রব। আমবাসার মত জায়গায় প্রধানমন্ত্রী আসছেন বলে কথা।