ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে ইন্ডিয়ান আইডল জয়ী পবনদীপ,অবস্থা আশঙ্কাজনক!!
দশ বছর আগে মৃত বাবার চেক পেয়ে একরাতে ধনকুবের

ঈশ্বর যাকে দেন, তখন নাকি ছাদ ফুঁড়ে দেন! এই আপ্তবাক্যটি হুবহু মিলে গেল চিলির যুবক : এক্সিকুউল হিনোজোসার জীবনে। দশ বছর আগে প্রয়াত হয়েছিলেন হিনোজোসার বাবা। প্রয়াত বাবার একটি ব্যাঙ্কচেক এতদিন বাদে হাতেপেয়ে ছেলে বনে গেলেন কোটিপতি।সংবাদ সংস্থা গেলেন রাতারাতি সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এক্সিকুয়েল হিনোজোসা নামে সান্তিয়াগোর বাসিন্দার বাবা দশ বছর আগে মারা যান। ২০২২ সালে তিনিএকটি পুরনো ব্যাংক চেক বই খুঁজে পান। যেখানে দেখা যায়, ১৯৬০-৭০ এর দশকে তার বাবা বাড়ি কেনার জন্য সঞ্চয় করেছিলেন। ওই সময় তার সঞ্চয় ছিল ১৪০,০০০ পেসো বা ১৬৩ ডলার। তবে সেই অর্থ সুদ ও মুদ্রাস্ফীতির কারণে বেড়েদাঁড়িয়েছে প্রায় ১০০ কোটি পেসো, অর্থাৎ ১.২ মিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৯,৯৬৮ কোটি টাকা)। এক্সকুয়েল হিনোজোসা রয়টার্সকে জানান, দশ বছর আগে তার বাবা প্রয়াত হলেও কেউই তার কোনওসঞ্চয় বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিষয়ে জানতেন না। সম্প্রতি একটি ঘর পরিষ্কার করতেগিয়ে তিনি একটি বাক্স খুঁজে পান। সেই বাক্সে কয়েক দশক আগে সংরক্ষণ করা একটি চেক বইখুঁজে পান।যদিও সেই অ্যাকাউন্টটি অনেক আগেই বন্ধহয়ে গেছিল। তবে ওই চেক বইয়ে ‘রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টিযুক্ত’ বলে একটি শব্দবন্ধ লেখাছিল। এর অর্থ, ব্যাঙ্ক অর্থ না দিতে পারলেও সরকার বিষয়টি নিষ্পত্তি করবে। ফলে প্রয়াত বাবার ওই চেকবই হাতে পেয়ে হিনোজোসা আদালতের শরণাপন্ন হন। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মামলায় জিতে যান হিনোজোসা। সরকার তাদের পুরনো প্রতিশ্রুতিকে সম্মান জানিয়ে প্রদেয় অর্থ ফেরত দেয় বলে জানায়। এক্সকুয়েল হিনোজোসা বলেন, “ওই টাকা আমাদের পরিবারের। আমার বাবা সত্যিইকঠোর পরিশ্রম করে এটিকে রক্ষা করেছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটি খুঁজে পাওয়ার আগে আমরা কখনোই এই সঞ্চয় সম্পর্কে জানতাম না। আমি এটিও ভাবিনি যে এটার জন্য আমাকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে। ‘হিনোজোসার দাবি, ‘এই অর্থ তার বাবার কষ্টার্জিত সঞ্চয়। যেটি সরকারই ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।’ তিনি বলেন, ‘বিচারব্যবস্থা, সুপ্রিম কোর্ট, আপিল আদালতআমার পক্ষে রায় দিয়েছে। উচ্চ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যদিও চিলি সরকার শীর্ষ আদালতে আপিল করেছিল। কিন্তু সম্প্রতি এ দেশের সুপ্রিম কোর্টও হিনোজোসার পক্ষেইরায় দেয়।