দাদুর সাথে নদীতে স্নান করতে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু তিন শিশুর!!
দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি || ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস। গ্রীষ্মের স্কুল ছুটিতে মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল মার সাথে ভাগ্নে ভাগ্নিরা। বাড়ি ফিরে যাওয়ার ঠিক একদিন আগে নদীতে দাদুর সাথে স্নান করতে গিয়ে নদীর জলে ডুবে প্রাণ হারালো ভাগ্নে ভাগ্নি সহ পার্শ্ববর্তী আরো এক শিশু কন্যা। অত্যন্ত বেদনাদায়ক এই দুর্ঘটনাটি ঘটে রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টায়।
খোয়াই পশ্চিম গণকী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রহরমুরা সেতু সংলগ্ন এলাকায় খোয়াই নদীতে দাদু গোপাল দাসের সঙ্গে নদীতে স্নান করতে যায় নাতনি মৌটুসী দাস, নাতি সপ্তদ্বীপ নম: এবং প্রতিবেশী রণজিৎ রায়ের কন্যা বাবলী রায়। দাদুর সাথে নদীতে নেমে পড়ে এরা স্নানের জন্য। যে স্থানটিতে এরা নেমেছিল সেই স্থানে নদীতে জল ছিল বেশি। মুহূর্তের মধ্যেই এই তিন শিশু নদীর জলে তলিয়ে যায়। দাদু গোপাল দাসের আত্মচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। খবর দেওয়া হয় দমকলবাহিনী এবং স্থানীয় পুলিশকে। এর আগেই স্থানীয় লোকজন নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সপ্তদ্বীপ নম: এবং বাবলী রায়কে উদ্ধার করে খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা তাদেরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অপরদিকে গোপাল দাসের নাতনি মৌটুসী দাসকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। শেষে দমকল বাহিনীর কর্মীরা, এলাকার মানুষ এবং স্থানীয় জেলেরা নদীতে নামে তাকে উদ্ধার করার জন্য। দীর্ঘ দেড় ঘন্টা চেষ্টার পর মৌটুসী দাসকে মৃত অবস্থায় নদীর জল থেকে উদ্ধার করা হয়। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এলাকা জুড়ে কান্নার রোল ছড়িয়ে পড়ে।
জানা যায় স্থানীয় প্রতিবেশী গোপাল দাসের দুই মেয়ে ঝুমা এবং সুষমা শ্বশুর বাড়ি থেকে বাপের বাড়িতে আসে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য। ঝুমার শ্বশুর বাড়ি খোয়াইয়ের মোহরছড়া এলাকায় এবং সুষমার শশুর বাড়ি বিশালগড় লক্ষ্মী বিল এলাকায়। বাপের বাড়িতে বেড়াতে এসে এভাবে দুই কন্যা সন্তানকে হারিয়ে একপ্রকার মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছেন ঝুমা এবং সুষমা।