দালান-জমির এরিয়া নিরূপণে পুর এলাকায় চালু নকশা প্রকল্প!!

অনলাইন প্রতিনিধি:- আগরতলা পুর নিগম এলাকায় বাড়িঘর, সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের দালান-ভবন, জায়গা-জমির এরিয়া প্রকৃতভাবে নিরুপণে এবার ‘নকশা’ প্রকল্প চালু হল। মঙ্গলবার পুর নিগমের সেমিনার হলে নকশা প্রকল্পের উদ্বোধন করেন বিধানসভার উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক তথা আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, বিধায়ক মিনা রাণী সরকার, পুর কমিশনার শৈলেশ যাদব প্রমুখ। নকশা হল কেন্দ্রীয় সরকারের একটি প্রকল্প। কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষিত দেশের ১৫২টি শহরের মধ্যে আগরতলাকেও এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নকশা প্রকল্পের কাজ হল আগরতলা পুর নিগম এলাকায় কত বাড়িঘর, ফ্ল্যাট, দালান ভবন রয়েছে ড্রোন ক্যামেরার সাহায্যে তার প্রকৃত এরিয়া নির্ণয় ও নিরুপণ করা। প্রকৃত মালিকের নাম অন্তর্ভুক্ত করা, রেকর্ড করা। তাছাড়া প্রকৃত ও বৈধভাবে কার কতটুকু জায়গা-জমি রয়েছে ড্রোন ক্যামেরার সাহায্যে তা চিহ্নিত করা। রেকর্ডভুক্ত করা। শুধু বেসরকারী ক্ষেত্রেই নয়, সরকারী ক্ষেত্রেও নকশা প্রকল্প ড্রোন ক্যামেরার সাহায্যে একই পদ্ধতিতে সবকিছু রেকর্ডভুক্ত করা হবে। আগরতলা পুর নিগম এলাকায় কোথায় কোথায় কত সংখ্যক সরকারী, আধাসরকারী, বিভিন্ন সংস্থার দালান, অফিস-বাড়ি রয়েছে তার এরিয়া সহ রেকর্ডভুক্ত করা হবে। সেসঙ্গে সরকারী জায়গা, খাস জায়গা, জবরদখলকারী জায়গাও ড্রোন ক্যামেরায় উঠে আসবে। রেকর্ডভুক্ত করা হবে। নকশা প্রকল্পের উদ্বোধনের পর রাতে বিধায়ক তথা মেয়র দীপক মজুমদার জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত এজেন্সি এই সার্ভে করবে। প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বহি:রাজ্যের সার্ভে এজেন্সি সংস্থার কর্মকর্তা এম কে স্ট্যালিনও উপস্থিত ছিলেন। মেয়র শ্রীমজুমদার জানান, আগেও একবার পুর নিগমের তরফে বহি:রাজ্যের এজেন্সির সাহায্যে ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে বাড়িঘরের দালান এরিয়া ইত্যাদি সার্ভে করা হলেও এখন কেন্দ্রীয় সরকারের নকশা প্রকল্পের সার্ভের মাধ্যমে নতুনভাবে বিশদ ও বিস্তারিতভাবে সবকিছু উঠে আসবে। মেয়র জানান, প্রতিটি বাড়িতে ড্রোন ক্যামেরা যাবে। সরকারী, আধা সরকারী, নানা সংস্থার অফিসেও ড্রোন ক্যামেরা যাবে। তিনি আরও জানান, নকশা সার্ভের মাধ্যমে প্রকৃতভাবে মানুষের ঘরের, ফ্ল্যাটের, ভবনের এরিয়া পরিমাপ করা সম্ভব হবে। তাতে যে সমস্ত পুর নাগরিকের এরিয়া পরিমাপ সঠিকভাবে না আসায় পুর করও সঠিকভাবে আদায় হয়নি। এই সার্ভের ( মাধ্যমে সঠিক তথ্য উঠে আসবে বলে দাবি করে মেয়র জানান তাতে পুর কর সঠিক আদায় হবে। মেয়র শ্রীমজুমদার আরও জানান, ড্রোন ক্যামেরায় জায়গা-জমির সঠিক পরিমাণ, তথ্য ও মালিকের নাম উঠে আসবে বলে তখন জানা যাবে কারা সরকারী জায়গা, খাস জায়গা কতটা পরিমাণ দখল করে নিয়েছেন। নকশা। সার্ভে প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন করে বাড়ি, জায়গা জমির সঠিক মালিকের নামে দলিল পরচাও দেওয়া হবে। শুধু বসত বাড়িঘরই নয়, দোকানপাট, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানেও এই পদ্ধতিতে সার্ভে করা হবে। তিনি জানান, সার্ভের পরই দেখা যাবে কোন কোন অসাধু ব্যক্তি সরকারী ও খাস জায়গা কোথায় কতটুকু জবর দখল করে রেখেছে। তাতে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। মেয়র শ্রীমজুমদার জানান, ড্রোন ক্যামেরায় সার্ভে করার পর এজেন্সি সংস্থা আবার স্বশরীরে তথা ম্যানুয়েল পরিদর্শনে ও রেকর্ডভুক্ত করতে সব জায়গা ও সব বাড়িতে যাবেন। ড্রোন ক্যামেরায় রেকর্ডের সঙ্গে সব মিলে আছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে এজেন্সি। তিনি জানান, নকশা সার্ভে রিপোর্ট বের হওয়ার পর এই রিপোর্ট নিয়ে কারোর কোন আপত্তি ও ভুলভ্রান্তি থাকলে তা ঠিক করার জন্য সুবিধা থাকবে। তারপরই সার্ভের চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে বলেও মেয়র জানান।