দিনে ১৬টি সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখেও মহাকাশে নিশ্চিন্তে ঘুম!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-আমরা যারা পৃথিবীর বাসিন্দা, দিনে একবার সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখি।সেই মতোই স্থির হয়ে থাকে আমাদের দিনমান। সূর্যের নিয়মে ঠিক থাকে আমাদের সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার কর্মসূচি।কিন্তু, পৃথিবীর কক্ষপথের বাইরে, মহাশূন্যে স্থাপিত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ইন্টারন্যাশনাল স্পেস এজেন্সি বা আইএসএস)-এ যে নভোশ্চরীরা গবেষণার কাজে নিযুক্ত,তারা প্রতিদিন ১৬ বার সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত প্রত্যক্ষ করে।প্রশ্ন হল,তা সত্ত্বেও কী উপায়ে তারা সেখানে ঘুমের চক্র বজায় রাখে?এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি তথা ইএসএ। মহাকাশ স্টেশনে নভোচরদের ঘুম-চক্র নিয়ে সম্প্রতি তারা ইনস্টাগ্রামে একটি দীর্ঘ পোস্ট লিখেছে।আসলে ওই পোস্টটি লেখা হয়েছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কর্মরত ইএসএ-র নভোচর আন্দ্রেয়াস মোগেনসেনের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাকে কেন্দ্র করে। মহাশূন্যের ওই ঘরে বসে, কাজের ফাঁকে তিনি এ সম্পর্কে নিজের মতো করে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিলেন।আন্দ্রেয়াস রোজ সতীর্থদের কাছে জানতে চাইতেন,’গত রাতে আপনার কি ভাল ঘুম হয়েছিল?’আইএসএসে নভশ্চরেরা প্রতি দিন পৃথিবীকে একবার করে প্রদক্ষিণ করেন।সেই সূত্রে প্রতি ৯০ মিনিট অন্তর পর্বে একটি করে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত প্রত্যক্ষ করেন।এভাবে সারা দিনে মোট ১৬ বার সূর্যোদয়, ১৬ বার সূর্যাস্ত দেখেন তারা।এই অ-প্রকৃত রুটিনের সঙ্গে জীবনচক্রকে মানিয়ে নেওয়ার কাজটি অতীব কঠিন, লিখেছে ইএসএ।শুধু পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতেই সংগ্রামে লিপ্ত থাকতে হয় নভশ্চরদের। তার পরেও যে তারা দিনমান ঠিক রেখে কাজ করে চলেন তার প্রধান কারণ তারা মহাকাশ স্টেশনে ‘গ্রিনউইচ মিন টাইম’ অনুসরণ করেন।যা নিয়মিত জেগে ওঠা এবং শয়নকালের রুটিনের সঙ্গে একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ সময়সূচি রাখতে সহায়তা করে,লিখেছে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি।
নিজের ‘হুগিন মিশন’-এর সময়, আন্দ্রেয়াস মহাকাশে ঘুমানোর উপর দুটি পরীক্ষা চালান।সেই সঙ্গে তুলেছিলেন মহাকাশচারীদের ঘুমিয়ে থাকার একাধিক ছবি।সেই সব ছবিও সমাজমাধ্যমে পোস্টের সঙ্গে শেয়ার করেছে ইএসএ।পোস্টের পাশে প্রচুর মন্তব্য জমা পড়েছে।একজন লিখেছেন,’আমি মহাকাশচারীদের বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতা,শারীরিক এবং মানসিক শক্তি, দক্ষতা এবং আত্মৎসর্গের প্রশংসা করি। তারা আমাদের সবার অনুপ্রেরণা।আমিও ইএসএ- তে কাজ করতে চাই।’