দীর্ঘতম কানের চুল, গিনেসে নাম অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের
পৃথিবীতে কত মানুষ যে বিচিত্র সব চমকের সুবাদে বিশ্বরেকর্ড গড়ে ফেলেন, তার কতটুকু খোঁজ সাধারণ মানুষের গোচরে আসে। সর্বোচ্চ উচ্চতা থেকে শুরু করে দীর্ঘতম চুল
হোক, এমনকী দীর্ঘতম হাত-পায়ের নখ, নাক, চোখের অক্ষিগোলক— গিনেস বুকে আছে এমন বহু বহু রেকর্ড। তেমনই একজন মানুষ
অ্যান্টনি ভিক্টর। তবে যে চমকের কারণে তার নাম গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডরেকর্ডসে উঠেছে তা শুনে কেউ হাসতে পারেন, আবার কেউ ঘেন্নাও পেতে পারেন। অ্যান্টনি ভিক্টরের নিবাস তামিলনাডুর মাদুরাই। তিনি একটি হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। নিজের দীর্ঘতম কানের চুলের সুবাদে সম্প্রতি গিনেস ওয়ার্ল্ডরেকর্ড করেছেন। তার কানের চুলের দৈর্ঘ্য ১৮.১ সেন্টিমিটার বা ৭.১২ ইঞ্চি! স্বাস্থ্যসম্মত পরিচ্ছন্নতার কারণে কানের চুল বা লোম অধিকাংশ লোক কেটে ফেলেন। স্বাস্থ্য সচেতন লোকজন মোটেই কানের লোম
বা চুল পছন্দ করেন না। কিন্তু সেই কানের চুলই অ্যান্টনির নাম পৌঁছে দিল বিশ্বের
দরবারে। আদতে এই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক দীর্ঘতম কানের চুলের সুবাদে ২০০৭ সালেই গিনেস বুকে নিজের নাম তুলে ফেলেছিলেন। কিন্তু অতি সম্প্রতি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডরেকর্ডস তাদের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ভিক্টরের ছবি (সঙ্গের ছবি) দিয়ে জানায়, ১৫ বছরেও এখনও এই রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারেননি। ইনস্টাগ্রামে গিনেস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কানের দীর্ঘচুলের কারণে অ্যান্টনি ভিক্টরের সহকর্মীরা তাকে স্কুলে ‘কানে চুলওয়ালা স্যার’ বলে সম্বোধন করতেন এবং তিনি তাতে খুশিও হতেন। ইনস্টাগ্রামে গিনেসের এই পোস্ট দেখে লোকে বরং হাসাহাসিই বেশি করেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এমন আজব রেকর্ড কে গড়তে চায়!’ একজন ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, ‘এই রেকর্ড ভাঙাই এখন
আমার লক্ষ্য।’ তবে কানের চুল নিয়ে এই কীর্তির অধিকারী অ্যান্টনিই প্রথম নন। এর আগেও গিনেস বুকে এই ক্যাটেগরিতে নাম তুলেছিলেন এক ভারতীয়। উত্তরপ্রদেশের রাধাকান্ত বাজপেয়ীর কানের চুলের দৈর্ঘ্য ছিল ১৩.২ সেন্টিমিটার। ২০০৩ সালে গিনেস বুকে এই কারণে তিনি নাম তুলেছিলেন।