দুই বছরে ধানবীজ উৎপাদনে আত্মনির্ভর হবে রাজ্য: কৃষিমন্ত্রী!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-উচ্চফলনশীল ধানবীজ উৎপাদনে রাজ্যকে স্বয়ম্ভর করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর।এই লক্ষ্যে রাজ্য কৃষি গবেষণাকেন্দ্রটি ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু হয়েছে।অভিজ্ঞ কৃষিবিদদের সেখানে নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন দপ্তরের মন্ত্রী রতনলাল নাথ।গত বছর থেকে উচ্চফলনশীল জাতের আলুবীজ উৎপাদনের কাজ শুরু হয়েছে রাজ্যে।এর ব্যাপক সুফলও মিলেছে। কৃষিমন্ত্রী বলেন,আলুবীজ উৎপাদনে রাজ্যকে আগামী ৪ বছরের মধ্যে স্বয়ম্ভর করে তোলার লক্ষ্যে সর্বাত্মক কাজ চলছে।এবারের লক্ষ্য উচ্চফলনশীল ধানবীজ উৎপাদনে রাজ্যকে স্বয়ম্ভর করা।পাশাপাশি উত্তরপূর্বাঞ্চলের অন্য রাজ্যগুলিতেও ধানবীজ সরবরাহ করার লক্ষ্য রয়েছে। ইতোমধ্যে মিজোরাম ও মণিপুর এই দুই রাজ্যে সীড সার্টিফিকেশনের দায়িত্ব ত্রিপুরাকে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।ধান উৎপাদনে পূর্বোত্তরের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্য ত্রিপুরায় সার্টিফিকেশন রয়েছে সীড এজেন্সি। অরুন্ধতীনগরস্থিত কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে সীড গবেষণা ও উন্নয়নের কাজ দীর্ঘদিন মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে।
মূলত কৃষিবিজ্ঞানী বাহারুল ইসলাম মজুমদার এই গবেষণা কেন্দ্র থেকে বদলি হয়ে যাবার পর দীর্ঘ ৮/৯ বছর ধরে এই গবেষণাকেন্দ্রেও বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি হয়।ফলে রাজ্যে
উচ্চফলনশীল সংরক্ষিত ধানবীজের উৎপাদন ক্রমেই হ্রাস পায়। অন্য রাজ্য থেকে প্রতিবছর ধানবীজ আমদানি করতে হচ্ছিল। এবারও একশ টন উচ্চফলনশীল ধানবীজ কিনতে হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন,আমাদের ৫টি জেলা ধান উৎপাদনে স্বয়ম্ভর।ধান বীজ এখানেই উৎপাদন করা সম্ভব। পরিকাঠামো রয়েছে।সদিচ্ছা থাকলে সফলতা আসবেই। আগামী দুই বছরের মধ্যে আমরা চাহিদার পুরোটাই শংসিত উচ্চফলনশীল ধানবীজ উৎপাদন করে দেখাবো। সেই সাথে মণিপুর ও মিজোরামেও শংসিত ধানবীজ পাঠাবো। তিনি জানান, এই দুই রাজ্যের সার্টিফিকেশনের দায়িত্ব আমাদের রাজ্যের কৃষি দপ্তরকে দেওয়ায় আমরা খুশি। এখন থেকে ত্রিপুরার সীড সার্টিফিকেশন এজেন্সি একযোগে কেন্দ্রীয় ধান গবেষণা কেন্দ্র ও দেশের মুখ্য সীড গবেষণা কেন্দ্রগুলির সাথে কাজ করবে।সীড সাব কমিটিকে আরও গতিশীল করা হচ্ছে।কেন্দ্রীয় ও অন্য রাজ্যের মুখ্য গবেষণাকেন্দ্রের দ্বারা উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল ধানবীজ ত্রিপুরা ও উত্তরপূর্বাঞ্চলের জন্য অনুমোদনের ক্ষেত্রে ত্রিপুরা সীড সার্টিফিকেশন এজেন্সি বড় দায়িত্ব পালন করবে। নিউক্লিয়ার সীড,ব্রীডার সীড, ফাউন্ডেশন সীডগুলির উৎপাদন ও গুণগত মান রক্ষায় রাজ্যের কৃষি গবেষণাকেন্দ্রের কৃষিবিদদের সতর্ক ও মনোযোগ সহকারে কাজ করার জন্য আহ্বান রেখেছেন মন্ত্রী।তিনি জানান, এটা আমরা চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছি। রাজ্যের মাঠে যেসমস্ত ধান বীজ চাষাবাদ করছেন চাষিরা সেগুলি অনেক পুরনো হয়ে গেছে। অনেক ক্ষেত্রে বীজের বিশুদ্ধতা নষ্ট হয়ে গেছে।এই বীজগুলি পরিবর্তন জরুরি। তাহলে ফলন আরও বৃদ্ধি পাবে। জৈবিক বৈচিত্রতা রক্ষা করে গুণগত বীজ প্রদান করা গেলে হাইব্রিডের কাছাকাছি ফলন পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন মন্ত্রী। বীজের বিশুদ্ধতা বজায় রেখে উৎপাদন বাড়াতে চাষিদেরও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ।