দুই মাসেও সাক্রমে যুক্ত হলো না এক্সপ্রেস ট্রেন!!

 দুই মাসেও সাক্রমে যুক্ত হলো না এক্সপ্রেস ট্রেন!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের দক্ষিণাংশের মানুষের সরাসরি দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেনে চাপা এখনও স্বপ্নই রয়ে গেছে।তাদের এখন পর্যন্ত রাজ্যের রাজধানী আগরতলা এসেই দূরপাল্লার ট্রেনে চাপতে হচ্ছে।অথচ এমন হওয়ার সঙ্গত কোনও কারণ নেই রেলের তরফেই রাজ্যের দক্ষিণ প্রান্তের f স্টেশন সাব্রুম থেকে দূরপাল্লার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস চলাচল শুরু করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।খোদ উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের জিএম চেতন কুমার শ্রীবাস্তব এই আশার কথা জানান।তিনি রাজ্যের প্রধান রেল স্টেশন আগরতলায় আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস সাব্রুমে চলাচল করবে বলে উল্লেখ করেন।পাশাপাশি সীমান্ত রেলের তরফে এ নিয়ে এক বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়।তারপর কেটে গেছে প্রায় দুইমাস।কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস সাব্রুমে চলাচলের কোনও খবর নেই। ফলে সাব্রুম, উদয়পুর সহ রাজ্যের দক্ষিণাংশের রেল যাত্রীদের মধ্যে একাধারে হতাশা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।রেলের ঘোষণার প্রতি বিশ্বাসভঙ্গ হওয়ার মতো পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে রাজ্যের দক্ষিণাংশের মানুষের মধ্যে।সীমান্ত রেলের তরফে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস সাব্রুম পর্যন্ত চলাচলের ঘোষণায় অবশ্য কোনও দিনক্ষণের উল্লেখ করা হয়নি। জানানো হয়নি সাক্রমে দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল শুরুর চূড়ান্ত সময়সীমা।আর এই সুযোগেই সীমান্ত রেলের তরফে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস সাব্রুমে চলাচলের ক্ষেত্রে গড়িমসি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।রাজ্যের দক্ষিণাংশের বড় অংশের মানুষের মধ্যে এ কারণে ক্রমান্বয়ে ক্ষোভ বাড়ছে। অভিযোগ উঠেছে সাব্রুম সহ রাজ্যের দক্ষিণাংশকে বঞ্চিত করার।তবে রেল সূত্রে পাওয়া খবর অনুসারে এই অভিযোগের সত্যতা নেই। সীমান্ত রেল অথবা সীমান্ত রেলের লামডিং বিভাগের তরফে কোনও অংশকে বঞ্চিত করার কারণও নেই। সূত্রের দাবি রেল দ্রুততার সঙ্গে সাক্রমে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের চলাচল শুরু করার জন্য কাজ করছে। ভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবরে এর জন্য প্রয়োজনীয় কাজের ক্ষেত্রে চলছে ঢিলেমি।ফলে কাঞ্চনজঙ্ঘা অথবা অন্য কোনও দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেনের সংযোগ রাজ্যের দক্ষিণাংশের প্রান্তিক স্টেশন সাক্রমে করার ক্ষেত্রে বিলম্ব ঘটছে।এক্ষেত্রে রেলের তরফে যথাযথ নজরদারি ও তদারকির অভাব রয়েছে বলে খবর।তার জেরে দূরপাল্লার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের মতে ট্রেনে সাব্রুম স্টেশনজুড়ে যাওয়ার সময় পিছিয়ে চলছে।রাজ্যের দক্ষিণ জেলার প্রান্তিক মহড়া সাব্রুম।সাব্রুম শহর তথা নগর পঞ্চায়েত লাগোয়া সাতচাদ ব্লকের পশ্চিম জলেফায় অবস্থিত স্টেশনটি।সাব্রুম স্টেশনটিই রাজ্যের একমাত্র প্রান্তিক, রেলের পরিভাষায় টার্মিনাল স্টেশন। এই স্টেশনের পর আরও কোনও রেলপথ অথবা স্টেশন নেই। রাজ্যের আর কোথাও এমন স্টেশন নেই। সে যাই হোক, দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচলের প্রশ্নে সাব্রুমে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কাজ চলছে। ইতোমধ্যে কিছু কাজ শেষ হয়ে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে স্টেশনে রেলের চালক, সহচালক ও গার্ডদের বিশ্রাম ও খাবারের জন্য বিশ্রামাগার তথা রেলের পরিভাষায় রানিং রুম।রানিং রুমের পাশাপাশি ট্রেনে জল ভরা ও ট্রেন সাফাইয়ের প্রয়োজনীয় প্রাথমিক পরিকাঠামো গড়া হয়েছে।এই উপলক্ষে জলবাহি পাইপলাইন বসানো সহ আনুষঙ্গিক যাবতীয় কাজ শেষ।মুশকিল হয়ে গেছে ট্রেনের বাতানুকূল তথা এসি কামরার জন্য ব্যবহৃত ব্যাটারি ইত্যাদির চার্জিং ব্যবস্থার ক্ষেত্রে।এর জন্য আবশ্যিক বৈদ্যুতিক পরিকাঠামো গড়ার কাজ শেষ হয়নি প্রাপ্ত খবর অনুসারে।এই ঘাটতির জন্য দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেনের সংযোগ সাক্রমে স্থাপন করা যাচ্ছে না।কেন না উপযুক্ত বৈদ্যুতিক পরিকাঠামো গড়া না গেলে শুধু ট্রেনের বাতানুকূল কোচের ব্যাটারি চার্জ করা নয়, এছাড়াও আনুষঙ্গিক বহু সমস্যা দেখা দেবে। মূলত স্টেশনের উপযুক্ত বৈদ্যুতিক পরিকাঠামো গড়তে না পারার কারণেই সাক্রমে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের সংযোগ আটকে আছে বলে খবর।এনিয়ে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হয় সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচি দের সঙ্গে।তিনি পুরো বিষয়টি খতিয়ে না দেখে মন্তব্য করা – সম্ভব নয় বলে জানান।তার বক্তব্য বিষয়টি দ্রুত যথাযথ কর্তৃপক্ষের গোচরে নেওয়া হবে।সীমান্ত রেলের লামডিঙ বিভাগের প্রধান ডি আর এস প্রেম রঞ্জন কুমার এবং বিভাগের দ্বিতীয় প্রশাসনিক প্রধান সাই সিং মুঙাগ্রিমাইয়ের সঙ্গেও এ নিয়ে জানতে চেয়ে মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। তবে তারা বৈঠকে ব্যস্ত থাকায় কথা বলতে পারেননি।ফলে তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।বস্তুত রেল বোর্ডে অনুমোদন পাওয়ার পর কোনও দূরপাল্লার ট্রেনের নির্দিষ্ট স্টেশনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের এতো দেরি করার নজির বড় একটা নেই বলে জানা যায়।আরও জানা যায় আগরতলা স্টেশনের উপর থেকে চাপ কমাতে ভবিষ্যতে কাঞ্চনজঙ্ঘার মতো দেওঘর এবং অন্যান্য এক্সপ্রেসের চলাচল শুরু হবে সাক্রমে।সেই ক্ষেত্রে সাক্রম হয়ে উঠবে রাজ্যের দ্বিতীয় প্রধান রেল স্টেশন।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.