দুর্গা চৌমুহনীর কাছে বিপুল মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ, মামলা!!

 দুর্গা চৌমুহনীর কাছে বিপুল মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ, মামলা!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :- সরকারী হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিযে় সরকারী রোগীরা ওষুধপত্র না পেলেও সেই ওষুধের স্টোরে জমিয়ে রেখে পরে মেয়াদ উত্তীর্ণ করে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে দুর্গা চৌমুহনীর কাছে খালপাডে় মেয়াদউত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়ার ঘটনায় চলেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। ডেপুটি ড্রাগ কন্ট্রোলারের কার্যালয় থেকে ইন্সপেক্টিং অফিসার (ড্রাগস) সহ দল ৩ জানুয়ারী তারা সেখানে আইএফএ সিরাপ এবং ফলিক অ্যাসিড সিরাপের বোতল খুঁজে পান। তদন্তকালে সেখানে একটি নীল রঙের প্লাসি্টকের প্যাকেট পাওয়া যায়, যেখানে দুর্জয়নগর সাব সেন্টার লেখা ছিল। সরকারী নিয়ম মেনে বায়োওয়েস্ট ম্যানেজমেনে্টর প্যাকেটে সেগুলিকে রাখা হয়নি। ১১৩৮ বোতল সিরাপ আইএফএ সিরাপ এবং ফলিক অ্যাসিড সিরাপগুলি বাজারে বিক্রয় করার জন্য নয়, সেগুলো সরকারী সরবরাহকৃত ওষুধ। দু’দিন আগে কারা কোন উদ্দ্যেশ্যে এই ওষুধগুলো এভাবে এখানে ফেলে রেখে উপযুক্ত তদন্ত শুরু হয়েছে। ফেলে যাওয়া সমস্ত ওষুধের বোতলগুলো সেখান থেকে আধিকারিক ও কর্মচারীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে নিয়ে আসা হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ফেলে রাখার বিষয়টি নিয়ে দুর্গা চৌমুহনীস্থিত রাম্নগর আউটপোস্টে এফ আই আর দায়ের করা হয়েছে। এদিকে অভিযোগ উঠেছে রাজ্যে সরকারী হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে রোগীকে বিনামূল্যে ঔষধ দেওয়ার জন্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে ঔষধ পাঠালেও রোগীরা প্রেসকিশনের সিংহভাগ ওষুধ পাচ্ছেন না। ওষুধের সংকট দেখিযে় হাসপাতাল স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি থেকে অসহায় রোগীদের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে না। স্টোরে ওষুধ ফেলে রাখা হচ্ছে। আর রোগীরা দোকান থেকে চিকিৎসকের প্রেসকিপশনের সিংহভাগ ঔষুধ পকেট ফাঁকা করে খুব কষ্টে কিনে খাচ্ছেন। অথচ স্টোরে ওষুধ ফেলে রেখে, জমিযে় রেখে সেই ওষুধ মেয়াদ উত্তীর্ণ করে ফেলা হচ্ছে যা খুবই অপরাধমূলক কাজ। তাতে রাজ্য সরকারের বিপুল টাকা লোকসানে যাচ্ছে। কিন্তু রাজ্য সরকার ও স্বাস্থ্য দপ্তর কোন কোন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্টোরে ফেলে রাখা ঔষুধ মেয়াদ উত্তীর্ণ হযে় যাচ্ছে কিনা এর কোন দেখভাল ও খোঁজখবর নিচ্ছে না বলে অভিযোগ। ফলে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিপনা উদাসীনতায় এইভাবে বিপুল পরিমাণ ওষুধ স্টোরে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে নষ্ট হচ্ছে।এ ব্যাপারে রাজ্য সরকার ও স্বাস্থ্য দপ্তর কঠোর ব্যবস্থা নিতেই হবে বলে দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। এর আগেও রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিপুল পরিমাণ ওষুধ
স্টোরে ফেলে রেখে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.