অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে ইদানীংকালে যান দুর্ঘটনার খবর প্রায়শই সংবাদ রা শিরোনামে থাকছে।এই যান দুর্ঘটনায় যেমন মানুষের প্রাণহানি ঘটছে তেমনি অনেকেই আহত হচ্ছেন, কারোর অঙ্গহানি হচ্ছে, কেউবা সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে।অর্থাৎ যান দুর্ঘটনায় কোনও কোনও পরিবারে একেবারে অন্ধকার নেমে আসে।সাম্প্রতিককালে একটি যান দুর্ঘটনায় এক তরুণী গৃহবধূর মৃত্যু গোটা রাজ্যকে নাড়িয়ে দিয়েছে।ওই তরুণী গৃহবধূর বিয়ে হয়েছিল মাত্র সাতদিন আগে। সাতদিনের মধ্যে তার মর্মান্তিক পরিণতিতে বাকরুদ্ধ সকলেই।যান দুর্ঘটনা তার জীবনের অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায়।রাজ্যে কোনও মতেই যান দুর্ঘটনার উপর নিয়ন্ত্রণ আনা যাচ্ছে না।যা এক ভয়ঙ্কর ঘটনা।ছোট এই রাজ্যে একদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যানবাহনের সংখ্যা,তেমনি বাড়ছে যান দুর্ঘটনাও। কোনও মতেই যান দুর্ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না। এমন কোনও দিন নেই যে রাজ্যে যান দুর্ঘটনা ঘটছে না।যান দুর্ঘটনা রুখতে প্রশাসন কিছু ভূমিকা নিচ্ছে।কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়।সবচেয়ে বড় কথা হল এটি ধারাবাহিকভাবে করা চাই।বিশেষ করে সচেতনতা বৃদ্ধি।সচেতনতামূলক প্রচার সারা বছরব্যাপী করতে হবে। ইদানীংকালে রাজ্যে রেকর্ড সংখ্যক যান বৃদ্ধির ফলে যান চালকদের মধ্যেও একটা অসম প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে বলা যায়।এই অসম প্রতিযোগিতা আর কিছুই নয়। আইন না মানার প্রতিযোগিতা।রাজ্যের একটা সিংহভাগ যান চালকই ট্রাফিক আইন মানেন না। এমনকী ট্রাফিক আইন সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষই অজ্ঞ।রাজধানীতে বাইক চালকদের সিংহভাগের মধ্যে এই প্রবণতা রয়েছে।বাইক চালাতে গেলে যিনি চালকের পেছনের সিটে বসবেন তাকেও হেলমেট পরতে হবে। কিন্তু খুব কম মানুষই হেলমেট (দ্বিতীয় ব্যক্তি)পরেন।এ বিষয়টি দেখা দরকার।বরং বলা চলে ট্রাফিক দপ্তর এমর্মে কড়া মনোভাব পোষণ করুক। রাজ্যে একসময় সবাই ইন্ডাস্ট্রি হেলমেট পরিধান করতেন।কিন্তু ট্রাফিক পুলিশের কড়াকড়ি এবং দাবড়ানিতে আইএসআই মার্কা হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক করা হয়।এখন সিংহভাগ মানুষই হেলমেট পরেন।সুতরাং এটা লক্ষণীয় যে আইন কড়াকড়ি করলে মানুষ তা মানেন।সুতরাং এবার দ্বিতীয় বাইক আরোহীর হেলমেট পরাও একশ শতাংশ নিশ্চিত করার জন্য উদ্যোগী হতে হবে ট্রাফিক পুলিশ সহ প্রশাসনকে।দ্বিতীয়ত, বেপরোয়া গতি রুখতে উপমন্ত্র ভূমিকা নিতে হবে প্রশাসনকে।রাজধানীর বাইরে জাতীয় সড়ক থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন সড়কগুলিতে বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণে কোনও সদর্থক ভূমিকা নেই।যার ফলে আকছার দুর্ঘটনা ঘটছে। জীবনহানি হচ্ছে।এছাড়া ডিভাইডার নেই।ডিভাইডার থাকলে কী হয় যানগুলি তুলনামূলকভাবে কম স্পিডে চলাচল করে।প্রয়োজনে একটির পেছনে আরেকটি চলে।ফলে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ থাকে যানবাহনের গতির। কিন্তু ডিভাইডার না থাকলে যা হয় শুধু ওভারটেকের প্রবণতা আর বেপরোয়া গতি। যানবাহনের দুর্ঘটনার জন্য যা বেশিরভাগই দায়ী।কাজেই জাতীয় সড়ক সহ অন্য সড়কগুলিতে বেশিরভাগই ডিভাইডার দেওয়া যায় কিনা এনিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হোক।তাছাড়া চলে নেশায় বুঁদ হয়ে গাড়ি চালনা।এ ঘটনা হয় রাতের দিকে। এদিকে পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন।সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে সারা বছরব্যাপী আলোচনা, সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড চালানো দরকার।শুধু বছরে একবার নয়।সম্প্রতি দপ্তরের তরফে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় যে এ রাজ্যে বছরে ২৫০ জনের মতো মানুষের মৃত্যু হয় যান দুর্ঘটনায়।ছোট এই রাজ্যে যান দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার অনেক বেশি।এর কারণ অবশ্যই আইন না মানা, বেপরোয়া গতি,হেলমেট না পরা,ওভারটেক করা, নেশাগ্রস্ত হয়ে গাড়ি চালানো। সব মিলিয়ে যান দুর্ঘটনা রুখতে কঠোর মনোভাব পোষণ করা জরুরি।বিশেষ করে সরকারী প্রশাসনের। তবে এ কাজ্যে সরকারী প্রশাসনের পক্ষে তা এক করা সম্ভব নয়।মানুষকেও সচেতন হতে হবে।একাজে বিভিন্ন এনজিও-কে কাজে লাগাতে হবে।যান দুর্ঘটনাকে কমিয়ে আনতে মিশন মুডে কাজ করতে হবে।তাহলেই কিছু যদি সাফল্য আসে। কেননা মানুষের জীবন বাঁচানো একান্ত কর্তব্য আমাদের সকলের।
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…
২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…