দুর্নীতিতে নাম জড়ালো ভগবানের বীরজিতের প্রশ্নবাণে জোর গুঞ্জন।

 দুর্নীতিতে নাম জড়ালো ভগবানের বীরজিতের প্রশ্নবাণে জোর গুঞ্জন।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে সোমবার প্রশ্নোত্তর পর্বে উঠে এলো এক বড়সড় কেলেঙ্কারির তথ্য। তাও বর্তমান সরকারের আমলে এই দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে বলে তথ্যে প্রকাশ।শুধু তাই নয়,এর সাথে জড়িয়ে গেছে পাবিয়াছড়া কেন্দ্রের বর্তমান বিধায়ক তথা প্রাক্তন প্রাণী সম্পদ বিকাশ মন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাসের নাম।তবে পুরো বিষয়টি এখন রাজ্য পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে রয়েছে।এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। এরপরই জানা যাবে প্রকৃত ঘটনা কী? তবে সংশয় রয়েছে। আদৌ তদন্তের গতিপ্রকৃতি কোন্ দিকে এগোবে,* তা নিয়ে।ঘটনা ধামাচাপা পড়ার সম্ভাবনা প্রবল বলেই মনে করা হচ্ছে।সোমবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে কংগ্রেস বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা প্রশ্ন উত্থাপন করে জানতে চান, এটা কি সত্য যে, ঊনকোটি জেলার নটিংছড়া চা বাগানটির জমি জাতীয় সড়ক নির্মাণের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছিল ? সত্য হলে, জমি অধিগ্রহণ করার জন্য কত টাকা বরাদ্দ হয়েছিল এবং কত টাকা ব্যয় হয়েছে?এই দুটি প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা বিধানসভার বলেন,সত্য এবং এর জন্য ১ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। ব্যয় হয়েছে ৫৮ লক্ষ ২৮ হাজার ৪৭৬ টাকা।এরপরই বীরজিৎবাবু জানতে চান, এই নটিংছড়া চা বাগানের মালিক কে? এরপর যে তথ্য বেরিয়ে আসে, তা চোখ কপালে ওঠার মতো! বীরজিৎবাবু বলেন, এটা চা বাগানটির মালিক একটি চিটফাণ্ড। রাজ্য সরকার তাহলে কাকে টাকা দিলো?এখানেই শেষ নয়,শাসক দলের বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাস নিজে ঊনকোটি জেলা শাসককে চিঠি দিয়েছেন। চিঠি দিয়ে তিনি ডিএমকে বলেছেন সংশ্লিষ্ট চিটফাণ্ডকে টাকা দিয়ে দেওয়ার জন্য। এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন হচ্ছে, সেখানে চিটফাণ্ডের বিরুদ্ধে সরকার অনেক আগে থেকেই ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে, বহু চিটকাণ্ডের
সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, ধরপাকড় থেকে শুরু করে সিবিআই, কতকিছু হয়েছে। এখনও এইসব ব্যবস্থা অব্যাহত রয়েছে – স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, শাসক দলের বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাস জেলা শাসককে চিঠি দিয়ে কোন অ্যাকাউন্টে, কার অ্যাকাউন্টে জমি অধিগ্রহণের অর্থ প্রদান করতে বললেন? প্রকৃতপক্ষে কোন এবং কার অ্যাকাউন্টে এই জমি অধিগ্রহণের অর্থ গেছে?
সিপিআই(এম) বিধায়ক জিতেন্দ্ৰ চৌধুরীও এ বিষয়ে বিধানসভায় বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, একজন বিধায়ক কীভাবে চিঠি দিয়ে বলেন চিটফাণ্ডকে টাকা দিয়ে দেওয়ার জন্য।এ বিষয়ে তিনি তদন্তের দাবি জানান এবং রাজ্য সরকার কীভাবে ওই অর্থ পুনরায় ফেরত পাবে?তারও উদ্যোগে নেওয়ার দাবি জানান। সবথেকে বিসস্ময়কর ঘটনা হলো,বীরজিতবাবুর উত্থাপিত প্রশ্নের জবাব দিতে মুখ্যমন্ত্রী যখন দ্বিতীয়বার ওঠেন, তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বীরজিৎবাবু যা বলেছেন পুরোটাই সত্য।এ ব্যাপারে একটি মামলা হয়েছে, সেটি ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে রয়েছে। ক্রাইম ব্রাঞ্চ তদন্ত করছে। তদন্ত শেষ হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যে প্রেস গ্যালারিতেও গুঞ্জন শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে বিধানসভায় যখন আলোচনা চলছিল, তখন কিন্তু ভগবান চন্দ্র দাস নিজেও হাউসে উপস্থিত ছিলেন। তিনি কিন্তু টু শব্দও করেননি। পুরোটাই সত্য। এ ব্যাপারে একটি বিস্ময়কর ঘটনা হলো; বীরজিৎবাবুর উত্থাপিত প্রশ্নের জবাব দিতে মুখ্যমন্ত্রী যখন দ্বিতীয়বার ওঠেন, তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বীরজিৎবাবু যা বলেছেন।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.